রাতের অর্গান
তবু আমি সেই রতিক্লান্ত তপস্বীর কাছে ফিরে আসি, গঞ্জিকা সেবনের অবসরে গেয়ে ওঠে যদি, ‘আঁখি ঝরে---
বালুতীর জুড়ে, অনেক ছড়ানো তাস, ধর্মপ্রহরীর দল খুঁড়ে চলে ট্রেঞ্চ, কখনো উল্কাপাত দেখে বোবা হয়ে গেছি আরও, গাছের আড়াল থেকে বলে কেউ, এখানে লুম্পেনবিনা প্রবেশাধিকার নাই, যাও, খুঁজে দেখো আদিবাসী মেয়েটির ক্ষুদ্র প্রসাধন বাক্সখানি ঐ অবিদ্যাজঙ্গলে।
এখানে কেবল আঁখি ঝরে তার আর ছুটে আসে পর্বত।
সন্ধেবেলায় জমে তর্কভীরু পাখিদের রতিহর্ষ সংলাপ, তাদের নীলাভ ডিমগুলো পড়ে থাকে তোমার শীতের মাঝে---পেঁকে ওঠে একাকী ডালিম, খোলসের মধ্য থেকে মাথা বের করে রসসিক্ত দেউলিয়া পাঠক, একদিন তোমারও ছিল সমাধির ’পরে অনন্ত সেলাই খুলেযাওয়া মেঘবই।
এইসব আমাকে প্রথমে করে তোলে অদ্ভুত লিপিকার, তারপর তাঁবুসহ উড়ে যায় রাতের অর্গান, মাছের রূপালি আঁশ অগণন টীকাটিপ্পনী হয়ে জ্বলে ওঠে চারপাশে।
তোমার পশমি টুপি, সুনির্মম, বয়ে নিয়ে যাইহেরেমখানায়, আর বাবুই ঘাসের দড়ি বানাবার কৌশল যদি-বা কোনো অসতর্ক মুহূর্তে শেখাও, রে অচেনা, পড়ে নেব তবে উল্কাপাত, বালকের ওড়ানো বুদ্বুদ, আর সেই সমুদ্রআঁখি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন