চারপাশে হাঁটে বেড়ায় মন
আমার কতবার মনে হয়েছে এমন
যে লোকটা ভিক্ষে করে...আর আমি
খুব ক্লান্ত
মনে হয়েছে,
দর্জি দোকান
অতি আধুনিক সিনেমা মল
ধোঁওয়া উড়ানো হুকা কল্কি শুড়িখানা
কোথাও ঢুকতে পারছি না
মনে হয়েছে,
এক রাজহাঁস জলের গভীরে ঠোঁট চেটে দুধের সন্ধান করে চলেছে
মনে হয়েছে
ক্ষুর কাঁচি গন্ধ সেলুন
খাটালে দুধের সাদা সাদা আস্বাদ
মনে হয়েছে,
সোনার কনক্রিট দালান
সবুজ হারিয়ে নীল উদ্যান
ব্যবসায়ী দোকান
কাঁচ,এলেভেটর
সব কিছু থেকে নিস্পৃহ এক উপচে পড়া বাতুলতা
আমার পথ আগলে দাঁড়াচ্ছে
মনে হয়েছে
আমি নিজের পায়ের ভারে ক্লান্ত
আমার নখ
আমার চুল
আমার ছায়া
মনে হয়েছে
এসবের ভেতরে আমার ক্লান্ত বেশ কবজা করে রেখেছে
মনে হয়েছে
আরও অন্ধকারের শিকড়ে রাত ভেঙ্গে আমায় যেতে হবে
লম্বা করা হাত
স্বপ্নগুলো কাঁপা কাঁপা
নীচে পাতাল গঙ্গা
ভিজে মাটির স্তর
মনে হয়েছে
এসব যেন ক্রমশ শুকিয়ে আমার চিন্তাধারা খেয়ে চলেছে প্রতিদিন
মনে হয়েছে
সোমবারগুলো তেল রঙা আগুন
রাত্রিগুলো জেল গরাদের মুখ
খাবি খাচ্ছে যেন এক আহত চাকা
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘুরে চলেছে সারা রাত
আর এক রক্ত মাখা শেষ রাত্রির দিকে এগিয়ে চলেছে
মনে হয়েছে
আমি এগুলো আমার শুক্রাণুতে জড়িয়ে নিতে চাই
গাছের ভিত
মন্দিরের চূড়া
একক সুরঙ্গ
ঘন ঠান্ডা সেলুলার ফোন
মনে হয়েছে
এ সবই ঢুকে যাচ্ছে আমার অন্তরঙ্গ ব্যথার দোসরে
মনে হয়েছে
সমস্ত বিশেষ কোনো
স্যাঁতস্যাঁতে বাড়ি
হাসপাতাল থেকে
জানালা দিয়ে মানুষের হাড়গোড়
মুচির দোকানে ভিনিগার চামড়া গন্ধ
মনে হয়েছে
সবই অন্তরঙ্গতার হাতছানি দিয়ে
আমায় এককোণে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে
মনে হয়েছে
সালফার মাখা বেহস্ত বিহঙ্গ
লতানো অন্ত্রনালী দরজার ঘরে
নতুন বাঁধানো দাঁত পাটি
ভাঙাচোরা কফিপট
সামনে উজ্জ্বল এক আয়না
মনে হয়েছে
সমস্ত দেখা অদেখার ভিড়গুলো
আয়নার উল্টো দিকে টাঙিয়ে রেখেছে
আমি চোখ বন্ধ করে
ক্ষমার অন্তরে দাঁড়িয়ে থাকি
আমার চোখের সমস্ত নোংরা জল
আমার সার্ট আন্ডার পান্ট আর টাওয়েল বেয়ে
ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যাচ্ছে
মনে হয়েছে
আমি নিজেই খুব ক্লান্ত
মনের ভারে ভিক্ষার পাত্র হয়ে আছি
সমস্ত অভিদেখার অন্তরে চারপাশে হেঁটে বেরায় মন
আমার কতবার মনে হয়েছে এমন
যে লোকটা ভিক্ষে করে...আর আমি
খুব ক্লান্ত
মনে হয়েছে,
দর্জি দোকান
অতি আধুনিক সিনেমা মল
ধোঁওয়া উড়ানো হুকা কল্কি শুড়িখানা
কোথাও ঢুকতে পারছি না
মনে হয়েছে,
এক রাজহাঁস জলের গভীরে ঠোঁট চেটে দুধের সন্ধান করে চলেছে
মনে হয়েছে
ক্ষুর কাঁচি গন্ধ সেলুন
খাটালে দুধের সাদা সাদা আস্বাদ
মনে হয়েছে,
সোনার কনক্রিট দালান
সবুজ হারিয়ে নীল উদ্যান
ব্যবসায়ী দোকান
কাঁচ,এলেভেটর
সব কিছু থেকে নিস্পৃহ এক উপচে পড়া বাতুলতা
আমার পথ আগলে দাঁড়াচ্ছে
মনে হয়েছে
আমি নিজের পায়ের ভারে ক্লান্ত
আমার নখ
আমার চুল
আমার ছায়া
মনে হয়েছে
এসবের ভেতরে আমার ক্লান্ত বেশ কবজা করে রেখেছে
মনে হয়েছে
আরও অন্ধকারের শিকড়ে রাত ভেঙ্গে আমায় যেতে হবে
লম্বা করা হাত
স্বপ্নগুলো কাঁপা কাঁপা
নীচে পাতাল গঙ্গা
ভিজে মাটির স্তর
মনে হয়েছে
এসব যেন ক্রমশ শুকিয়ে আমার চিন্তাধারা খেয়ে চলেছে প্রতিদিন
মনে হয়েছে
সোমবারগুলো তেল রঙা আগুন
রাত্রিগুলো জেল গরাদের মুখ
খাবি খাচ্ছে যেন এক আহত চাকা
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ঘুরে চলেছে সারা রাত
আর এক রক্ত মাখা শেষ রাত্রির দিকে এগিয়ে চলেছে
মনে হয়েছে
আমি এগুলো আমার শুক্রাণুতে জড়িয়ে নিতে চাই
গাছের ভিত
মন্দিরের চূড়া
একক সুরঙ্গ
ঘন ঠান্ডা সেলুলার ফোন
মনে হয়েছে
এ সবই ঢুকে যাচ্ছে আমার অন্তরঙ্গ ব্যথার দোসরে
মনে হয়েছে
সমস্ত বিশেষ কোনো
স্যাঁতস্যাঁতে বাড়ি
হাসপাতাল থেকে
জানালা দিয়ে মানুষের হাড়গোড়
মুচির দোকানে ভিনিগার চামড়া গন্ধ
মনে হয়েছে
সবই অন্তরঙ্গতার হাতছানি দিয়ে
আমায় এককোণে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে
মনে হয়েছে
সালফার মাখা বেহস্ত বিহঙ্গ
লতানো অন্ত্রনালী দরজার ঘরে
নতুন বাঁধানো দাঁত পাটি
ভাঙাচোরা কফিপট
সামনে উজ্জ্বল এক আয়না
মনে হয়েছে
সমস্ত দেখা অদেখার ভিড়গুলো
আয়নার উল্টো দিকে টাঙিয়ে রেখেছে
আমি চোখ বন্ধ করে
ক্ষমার অন্তরে দাঁড়িয়ে থাকি
আমার চোখের সমস্ত নোংরা জল
আমার সার্ট আন্ডার পান্ট আর টাওয়েল বেয়ে
ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যাচ্ছে
মনে হয়েছে
আমি নিজেই খুব ক্লান্ত
মনের ভারে ভিক্ষার পাত্র হয়ে আছি
সমস্ত অভিদেখার অন্তরে চারপাশে হেঁটে বেরায় মন
অনুপ-দা দারুণ, দারুণ লিখেছেন। খুব সাধারণ মনে হওয়াটা এক একটা বিমুর্ত অতীত ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে চলন্ত ট্রেনের মত।
উত্তরমুছুন