একটি প্রচলিত ছড়াঃ গড়গড়েটা কই ?
গড়গড়ের মা লো গড়গড়ের মা , তোর গড়গড়েটা কই……। হাসিখুসির ছড়া শোনাচ্ছি , আমার বছর দেড়েকের ছোট্ট মেয়েকে । মেয়ে বললো ,-মানে ? প্রাচীন এইসব প্রচলিত ছড়ার আবার অর্থ কী ! নিজেও ছোটবেলায় এই ছড়া পড়েছি দুলে দুলে , আর মজা পেয়েছি পিঁপড়ে টানা মইয়ের ছবি দেখে । বললাম , এটা এমনি । মজা । মেয়ে আবার বললো , কিসের মজা ?
ভাবলাম , সত্যিই তো , কিসের মজা । রবীন্দ্রনাথের ছেলে ভোলানো ছড়া পড়ে , ছন্দ আর সুরটাকেই ছড়ার আসল বিষয় বলে জেনেছি । ভাবতাম , আবোল তাবোল শব্দকেও ছন্দে সুরে দুলিয়ে দেওয়াটাই ছড়ার কাজ । অত অর্থ নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই । কিন্তু মেয়ের কথায় ভাবতে লাগলাম , সত্যিই কি কোনো মানে নেই এই প্রচলিত ছড়ার ?
ভাবতে ভাবতে সুবলকে কেন যেন মনে পড়ে গেল । আমরা তখন ছাত্র । একটা চায়ের দোকানে বন্ধুরা সবাই বসে আড্ডা দিই সকাল সন্ধ্যা । ওখানেই একদিন ওকে দেখতে পাই । চা নিয়ে এলো আমাদের টেবিলে । রোগা , কালো বছর দশেকের একটা ছেলে । মাথা নিচু করে , চা দিয়ে চলে যাচ্ছিলো । তাপস জিজ্ঞেস করলো ,-নাম কিরে তোর ?
অসম্ভব সরল আর মায়াবী চোখ দুটো তুলে , সে উত্তর দিল ,-সুবল ।
এখন সুবল যদি এর উত্তরে বলতো , বাঘের লেজ বেশ লম্বা , তাহলে আমরা হয়তো বলতাম ,-ননসেন্স । যেমন বলি ,- ননসেন্স রাইম । গড়গড়ের মা ছড়াটাও তাহলে এমন কোনো ননসেন্স রাইম ? অর্থহীন ? আপাতত এমনটাই মনে হলেও , সুবলকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে টের পেলাম , আপাতভাবে যা অর্থহীন মনে হচ্ছে , তার গভীরে লুকিয়ে আছে অন্য এক উচ্চারণ।
এরপর , বহুদিন আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে , কথা বলে জানা গেল , ওর বাবা রিক্সা চালাতো । মাস কয়েক আগে , হঠাৎ তিন দিনের জ্বরে মারা গেছে । আগরতলায় কাটাখালের পাড়ে একটা বস্তিতে ওরা থাকে । তাও , মাসে ত্রিশ টাকা ভাড়ার এক ঘরে । ফাইভ থেকে সিক্সে উঠেছিল , বাবা মারা যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ । বছর তিনেকের বড় একটা দিদি ছিল , এখন এক মাস্টার মশাইয়ের বাড়িতে থেকে কাজ করে । খাওয়া থাকা বাদে মাসে তিরিশ টাকা দেয় । ওটা দিয়ে ঘর ভাড়া হয়ে যায় । মায়ের কোলে ছ-মাস বয়সের ছোট্ট ভাই , তাই বাইরে কাজে যেতে পারে না ।
বাড়িতে বসে ঠোঙা বানায় । তাতে তো আর সংসার চলে না , তাই সুবলকে চায়ের দোকানে কাজ নিতে হয়েছে । দু-বেলা খাওয়া থাকা বাদে , মাসে চল্লিশ টাকা দেয় । অবশ্য চায়ের কাপ বা প্লেট ভাঙলে বেতন থেকে কাটা যায় । ভোর থেকে রাত প্রায় দশটা অব্দি চায়ের দোকানের কাজ । সুবলের কিচ্ছু করার নেই । কাজ না করলে সংসার চলবে না , তাই সুবলকে কাজ করতেই হয় । বাবা মারা যাওয়ায় , আস্ত একটা সংসারের জোয়াল সুবলের কাঁধে চেপে বসেছে দেখে , সেদিন মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । আজ , এত বছর পর , মেয়েকে একটা অর্থহীন ছড়া শোনাতে গিয়ে , সুবলের কথা মনে পড়ে গেল ।
ভাবতে ভাবতে মনে হলো , সুবলের মতোই ছড়াটায়ও আসলে দুটো ভাগ । এক সুবল স্কুলে পড়তো , আরেক সুবল চায়ের দোকানের বয় । মাঝখানে অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতার এক করুণ কাহিনী ।
সেদিন সুবলের মা-কে যদি জিজ্ঞেস করতো , তোর সুবলটা কই ? কী উত্তর দিতো সুবলের মা ?
দু-পংক্তির একটা প্রশ্ন ,-গড়গড়ের মা লো গড়গড়ের মা /তোর গড়গড়েটা কই ?
উত্তর এলো ,-হালের গরু বাঘে খেয়েছে ,/পিঁপড়ে টানে মই ।
সমস্যাটা তো এই উত্তর ঘিরেই । কী প্রশ্নের কী আজগুবি উত্তর ।
কিন্তু বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে মহিলাদের বুকনি বা কথা বলার ধরণ শুনে যারা অভ্যস্ত , তারা জানেন , বাংলার মা-ঠাকুরমারা এভাবেই কথা বলেন , এখনও । সংসারের ডালপালায় জড়িয়ে থাকা আমার মাকে প্রায়ই বলতে শুনি , উঠান সমুদ্রই পাড়ি দিতে পারলাম না এখনও। একটু আগে আমি লিখলাম ,-সংসারের জোয়াল । এগুলো কথার অলঙ্কার । আড়ালে থাকে আসল কথাটা । যাকে বলা হচ্ছে আর যে বলছে , দুজনেই বুঝে যায়-মূল কথাটা ।
সেই আদি কাল থেকেই , হাল -লাঙ্গল , গোলা-গরু নিয়েই তো কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সংসার ।
কৃষিই ছিল উপার্জনের উৎস । সংসার আর চাষবাস তাই সমার্থক হয়ে উঠেছে বহুদিনের অভ্যাসে । প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থায় , চাষবাসের কাজ মানেই জমিতে হাল দেওয়া , মই দেওয়া। আর এই কাজগুলো পিতৃতান্ত্রিক সমাজে সাধারণত পুরুষেরাই করে । পুরুষ মানে শক্ত সমর্থ জোয়ান বা পরিবারের কর্তা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে যেহেতু তাদের কাঁধেই থাকে সংসার চালানোর দায় , তাই তারাই হয়ে উঠেছিল চাষের কাজে সক্ষম হালের গরুর উপমান।
তাই গড়গড়ের মাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে ,- তোর গড়গড়েটা কই , তখন চোখের মুছতে মুছতে গড়গড়ের মাকে বলতে হয় , হালের গরু অর্থাৎ শক্ত সমর্থ গড়গড়ের বাবাকে বাঘে খেয়েছে । তাই সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে পিঁপড়ের মতো ছোট্ট ওকে রোজগারে যেতে হয়েছে । যেভাবে আঁচলে চোখ মুছে সুবলের মা বলেছিল ,- ওর বাবারে কালে খাইছে দাদা , নইলে এই বাচ্চা ছেলেরে চায়ের দোকানের কাজে পাঠাই ?
এই যে সুবল বা গড়গড়ে ; একটা বাচ্চা ছেলে , ছোট্ট আর অসহায় , উপযুক্ত নয় , তবু বাধ্য হয়েই , যাকে সংসার বাঁচাতে রোজগারের মই টানতে হয় , তার জন্য অসহায় মা কী-ই বা করতে পারে , দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলা ছাড়া !
এই গড়গড়ে তাহলে কে ? আজকের পরিভাষায় গড়গড়ে সেই শিশু শ্রমিক , নিজের পরিবারের বেঁচে থাকার জন্য যাকে পড়াশুনা ছেড়ে কাজ করতে হয় । স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয় , তবু দিনের বেশিরভাগ সময় উনোনের আঁচে থেকে , খদ্দেরদের ফাইফরমাস খেটে , তাকে বেঁচে থাকতে হয় , বাঁচিয়ে রাখতে হয় পরিবারের লোকদের । পুরনো একটা আপাত অর্থহীন ছড়ায় এভাবেই লেখা হয়ে রইল , আমাদের সমাজের ইতিহাস । আমার ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে আবার আমি সেই ইতিহাস পড়তে শুরু করলাম নতুনভাবে।
গড়গড়ের মা লো গড়গড়ের মা , তোর গড়গড়েটা কই……। হাসিখুসির ছড়া শোনাচ্ছি , আমার বছর দেড়েকের ছোট্ট মেয়েকে । মেয়ে বললো ,-মানে ? প্রাচীন এইসব প্রচলিত ছড়ার আবার অর্থ কী ! নিজেও ছোটবেলায় এই ছড়া পড়েছি দুলে দুলে , আর মজা পেয়েছি পিঁপড়ে টানা মইয়ের ছবি দেখে । বললাম , এটা এমনি । মজা । মেয়ে আবার বললো , কিসের মজা ?
ভাবলাম , সত্যিই তো , কিসের মজা । রবীন্দ্রনাথের ছেলে ভোলানো ছড়া পড়ে , ছন্দ আর সুরটাকেই ছড়ার আসল বিষয় বলে জেনেছি । ভাবতাম , আবোল তাবোল শব্দকেও ছন্দে সুরে দুলিয়ে দেওয়াটাই ছড়ার কাজ । অত অর্থ নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই । কিন্তু মেয়ের কথায় ভাবতে লাগলাম , সত্যিই কি কোনো মানে নেই এই প্রচলিত ছড়ার ?
ভাবতে ভাবতে সুবলকে কেন যেন মনে পড়ে গেল । আমরা তখন ছাত্র । একটা চায়ের দোকানে বন্ধুরা সবাই বসে আড্ডা দিই সকাল সন্ধ্যা । ওখানেই একদিন ওকে দেখতে পাই । চা নিয়ে এলো আমাদের টেবিলে । রোগা , কালো বছর দশেকের একটা ছেলে । মাথা নিচু করে , চা দিয়ে চলে যাচ্ছিলো । তাপস জিজ্ঞেস করলো ,-নাম কিরে তোর ?
অসম্ভব সরল আর মায়াবী চোখ দুটো তুলে , সে উত্তর দিল ,-সুবল ।
এখন সুবল যদি এর উত্তরে বলতো , বাঘের লেজ বেশ লম্বা , তাহলে আমরা হয়তো বলতাম ,-ননসেন্স । যেমন বলি ,- ননসেন্স রাইম । গড়গড়ের মা ছড়াটাও তাহলে এমন কোনো ননসেন্স রাইম ? অর্থহীন ? আপাতত এমনটাই মনে হলেও , সুবলকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে টের পেলাম , আপাতভাবে যা অর্থহীন মনে হচ্ছে , তার গভীরে লুকিয়ে আছে অন্য এক উচ্চারণ।
এরপর , বহুদিন আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে , কথা বলে জানা গেল , ওর বাবা রিক্সা চালাতো । মাস কয়েক আগে , হঠাৎ তিন দিনের জ্বরে মারা গেছে । আগরতলায় কাটাখালের পাড়ে একটা বস্তিতে ওরা থাকে । তাও , মাসে ত্রিশ টাকা ভাড়ার এক ঘরে । ফাইভ থেকে সিক্সে উঠেছিল , বাবা মারা যাওয়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ । বছর তিনেকের বড় একটা দিদি ছিল , এখন এক মাস্টার মশাইয়ের বাড়িতে থেকে কাজ করে । খাওয়া থাকা বাদে মাসে তিরিশ টাকা দেয় । ওটা দিয়ে ঘর ভাড়া হয়ে যায় । মায়ের কোলে ছ-মাস বয়সের ছোট্ট ভাই , তাই বাইরে কাজে যেতে পারে না ।
বাড়িতে বসে ঠোঙা বানায় । তাতে তো আর সংসার চলে না , তাই সুবলকে চায়ের দোকানে কাজ নিতে হয়েছে । দু-বেলা খাওয়া থাকা বাদে , মাসে চল্লিশ টাকা দেয় । অবশ্য চায়ের কাপ বা প্লেট ভাঙলে বেতন থেকে কাটা যায় । ভোর থেকে রাত প্রায় দশটা অব্দি চায়ের দোকানের কাজ । সুবলের কিচ্ছু করার নেই । কাজ না করলে সংসার চলবে না , তাই সুবলকে কাজ করতেই হয় । বাবা মারা যাওয়ায় , আস্ত একটা সংসারের জোয়াল সুবলের কাঁধে চেপে বসেছে দেখে , সেদিন মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল । আজ , এত বছর পর , মেয়েকে একটা অর্থহীন ছড়া শোনাতে গিয়ে , সুবলের কথা মনে পড়ে গেল ।
ভাবতে ভাবতে মনে হলো , সুবলের মতোই ছড়াটায়ও আসলে দুটো ভাগ । এক সুবল স্কুলে পড়তো , আরেক সুবল চায়ের দোকানের বয় । মাঝখানে অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতার এক করুণ কাহিনী ।
সেদিন সুবলের মা-কে যদি জিজ্ঞেস করতো , তোর সুবলটা কই ? কী উত্তর দিতো সুবলের মা ?
দু-পংক্তির একটা প্রশ্ন ,-গড়গড়ের মা লো গড়গড়ের মা /তোর গড়গড়েটা কই ?
উত্তর এলো ,-হালের গরু বাঘে খেয়েছে ,/পিঁপড়ে টানে মই ।
সমস্যাটা তো এই উত্তর ঘিরেই । কী প্রশ্নের কী আজগুবি উত্তর ।
কিন্তু বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে মহিলাদের বুকনি বা কথা বলার ধরণ শুনে যারা অভ্যস্ত , তারা জানেন , বাংলার মা-ঠাকুরমারা এভাবেই কথা বলেন , এখনও । সংসারের ডালপালায় জড়িয়ে থাকা আমার মাকে প্রায়ই বলতে শুনি , উঠান সমুদ্রই পাড়ি দিতে পারলাম না এখনও। একটু আগে আমি লিখলাম ,-সংসারের জোয়াল । এগুলো কথার অলঙ্কার । আড়ালে থাকে আসল কথাটা । যাকে বলা হচ্ছে আর যে বলছে , দুজনেই বুঝে যায়-মূল কথাটা ।
সেই আদি কাল থেকেই , হাল -লাঙ্গল , গোলা-গরু নিয়েই তো কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সংসার ।
কৃষিই ছিল উপার্জনের উৎস । সংসার আর চাষবাস তাই সমার্থক হয়ে উঠেছে বহুদিনের অভ্যাসে । প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থায় , চাষবাসের কাজ মানেই জমিতে হাল দেওয়া , মই দেওয়া। আর এই কাজগুলো পিতৃতান্ত্রিক সমাজে সাধারণত পুরুষেরাই করে । পুরুষ মানে শক্ত সমর্থ জোয়ান বা পরিবারের কর্তা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে যেহেতু তাদের কাঁধেই থাকে সংসার চালানোর দায় , তাই তারাই হয়ে উঠেছিল চাষের কাজে সক্ষম হালের গরুর উপমান।
তাই গড়গড়ের মাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে ,- তোর গড়গড়েটা কই , তখন চোখের মুছতে মুছতে গড়গড়ের মাকে বলতে হয় , হালের গরু অর্থাৎ শক্ত সমর্থ গড়গড়ের বাবাকে বাঘে খেয়েছে । তাই সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে পিঁপড়ের মতো ছোট্ট ওকে রোজগারে যেতে হয়েছে । যেভাবে আঁচলে চোখ মুছে সুবলের মা বলেছিল ,- ওর বাবারে কালে খাইছে দাদা , নইলে এই বাচ্চা ছেলেরে চায়ের দোকানের কাজে পাঠাই ?
এই যে সুবল বা গড়গড়ে ; একটা বাচ্চা ছেলে , ছোট্ট আর অসহায় , উপযুক্ত নয় , তবু বাধ্য হয়েই , যাকে সংসার বাঁচাতে রোজগারের মই টানতে হয় , তার জন্য অসহায় মা কী-ই বা করতে পারে , দু-ফোঁটা চোখের জল ফেলা ছাড়া !
এই গড়গড়ে তাহলে কে ? আজকের পরিভাষায় গড়গড়ে সেই শিশু শ্রমিক , নিজের পরিবারের বেঁচে থাকার জন্য যাকে পড়াশুনা ছেড়ে কাজ করতে হয় । স্বাস্থ্যের পক্ষে ঠিক নয় , তবু দিনের বেশিরভাগ সময় উনোনের আঁচে থেকে , খদ্দেরদের ফাইফরমাস খেটে , তাকে বেঁচে থাকতে হয় , বাঁচিয়ে রাখতে হয় পরিবারের লোকদের । পুরনো একটা আপাত অর্থহীন ছড়ায় এভাবেই লেখা হয়ে রইল , আমাদের সমাজের ইতিহাস । আমার ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে আবার আমি সেই ইতিহাস পড়তে শুরু করলাম নতুনভাবে।
অলংকরণ –কৌশিক বিশ্বাস ও মেঘ অদিতি
valo laglo
উত্তরমুছুনভাল হয়েছে।
উত্তরমুছুনসঠিক দর্শন। ভালো গদ্য!
উত্তরমুছুন