পতিগৃহে শকুন্তলা
শকুন্তলা এখন পতিগৃহে। আজ বিকেলের বৃষ্টিটা তাকে ভিজিয়ে দিতেই যেন এসেছিল।
আকাশ কালো করে মেঘ ছিলনা কোথাও। সূর্য হাসছিল আকাশে। মিষ্টি রোদে শরীর জাগানীয়া গান।
দুষ্মন্তের শরীর সমুদ্রের বিছানায় জিরিয়ে নিচ্ছে এবেলা।
কোথাও মেঘ নেই আকাশে, তবুও ঝরে পড়েছে বৃষ্টি অনবরত।
হলুদ পাতায় আষাঢ়ের চালের মিষ্টি ঘ্রাণ। বাতাসে সবুজ স্বপ্নের উঁকিঝুঁকি।
পাখীদের এলোমেলো খুনসুটি মাটির ঘরের দেয়ালে।
নীল ঝর্নার জলে কালো চুল ধুয়ে, ধূপ জ্বেলে নিজেকে সুঘ্রাণে ভরিয়ে নেয় শকূন্তলা। শুষ্ক করে তোলে নিজের নাভিমূল।
কালো গরুর দুধ মুখে মেখে, চোখে পরে আমপাতার কাজল।
ঠোঁট কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে, বন্য হরিণীর নাভি কানের লতিকায়, প্রতীক্ষা উন্মুখ দুই বুকের সন্ধিতে নরম বকুলের পাপড়ি।
সক্কাল থেকে কতবার যে দেখেছে আকাশের চোখে তার রূপ! ভাবনায় এসে গেছে আঙটি হারানোর অনুতাপ।
শীতল জলের কাছে নিজেকে দিয়েছে সঁপে বহুবার।
বৃষ্টি আমার স্বামী, ঈশ্বর আমার আকাশ।
আল্লা, ঈশ্বর, স্বর্গ সব ঐ আকাশের দিকেই। মৃত্যু শুধু মাটির অধিকার।
জন্ম মৃত্যুর এই দূরত্ব আজীবনের।
তবুও মরেই সুখ শকুন্তলার। আকাশের ঈশ্বর যে অনেক দূরের! ছোঁয়ার মন্ত্র জানা নেই তার, মাটি অনেক কাছের। তাই মাটিই হোক প্রেম।
শকূন্তলা পতিগৃহে। আকূল অপেক্ষা স্বামীর। শেষ মুহূর্তে মাটির সঙ্গেই সন্ধি চাই তার। স্বামী সুখ অনেকটা সারা শরীরময় মুক্তো বালির প্রলেপের মতো।
মনের হদিশ তো ঈশ্বরের কাছেই গচ্ছিত। সেই আকাশের কাছেই।
আর ভুল নয়। আজ রাতের অঙ্গুরীয় আর কোনোদিন হারিয়ে যেতে দেবে না শকূন্তলা, অথবা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও আর নয়।
আকাশ নয়, এবার মাটির কাছেই থাকবে শকূন্তলা। দূষ্মন্তের শরীরের খুব কাছে। মাটির খুব কাছাকাছি।
পৃথিবীর সব সুন্দর ঐ আকাশের কাছে গচ্ছিত। পৃথিবীর যা অনিবার্য তা এই মাটির কাছে।
স্রষ্টাও একপেশে, অঙ্গুরীয়টা কিনা সেই জলের কাছেই দিলেন! আরশি সাজার বকশিস।
শকুন্তলা এখন পতিগৃহে। আজ বিকেলের বৃষ্টিটা তাকে ভিজিয়ে দিতেই যেন এসেছিল।
আকাশ কালো করে মেঘ ছিলনা কোথাও। সূর্য হাসছিল আকাশে। মিষ্টি রোদে শরীর জাগানীয়া গান।
দুষ্মন্তের শরীর সমুদ্রের বিছানায় জিরিয়ে নিচ্ছে এবেলা।
কোথাও মেঘ নেই আকাশে, তবুও ঝরে পড়েছে বৃষ্টি অনবরত।
হলুদ পাতায় আষাঢ়ের চালের মিষ্টি ঘ্রাণ। বাতাসে সবুজ স্বপ্নের উঁকিঝুঁকি।
পাখীদের এলোমেলো খুনসুটি মাটির ঘরের দেয়ালে।
নীল ঝর্নার জলে কালো চুল ধুয়ে, ধূপ জ্বেলে নিজেকে সুঘ্রাণে ভরিয়ে নেয় শকূন্তলা। শুষ্ক করে তোলে নিজের নাভিমূল।
কালো গরুর দুধ মুখে মেখে, চোখে পরে আমপাতার কাজল।
ঠোঁট কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে, বন্য হরিণীর নাভি কানের লতিকায়, প্রতীক্ষা উন্মুখ দুই বুকের সন্ধিতে নরম বকুলের পাপড়ি।
সক্কাল থেকে কতবার যে দেখেছে আকাশের চোখে তার রূপ! ভাবনায় এসে গেছে আঙটি হারানোর অনুতাপ।
শীতল জলের কাছে নিজেকে দিয়েছে সঁপে বহুবার।
বৃষ্টি আমার স্বামী, ঈশ্বর আমার আকাশ।
আল্লা, ঈশ্বর, স্বর্গ সব ঐ আকাশের দিকেই। মৃত্যু শুধু মাটির অধিকার।
জন্ম মৃত্যুর এই দূরত্ব আজীবনের।
তবুও মরেই সুখ শকুন্তলার। আকাশের ঈশ্বর যে অনেক দূরের! ছোঁয়ার মন্ত্র জানা নেই তার, মাটি অনেক কাছের। তাই মাটিই হোক প্রেম।
শকূন্তলা পতিগৃহে। আকূল অপেক্ষা স্বামীর। শেষ মুহূর্তে মাটির সঙ্গেই সন্ধি চাই তার। স্বামী সুখ অনেকটা সারা শরীরময় মুক্তো বালির প্রলেপের মতো।
মনের হদিশ তো ঈশ্বরের কাছেই গচ্ছিত। সেই আকাশের কাছেই।
আর ভুল নয়। আজ রাতের অঙ্গুরীয় আর কোনোদিন হারিয়ে যেতে দেবে না শকূন্তলা, অথবা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও আর নয়।
আকাশ নয়, এবার মাটির কাছেই থাকবে শকূন্তলা। দূষ্মন্তের শরীরের খুব কাছে। মাটির খুব কাছাকাছি।
পৃথিবীর সব সুন্দর ঐ আকাশের কাছে গচ্ছিত। পৃথিবীর যা অনিবার্য তা এই মাটির কাছে।
স্রষ্টাও একপেশে, অঙ্গুরীয়টা কিনা সেই জলের কাছেই দিলেন! আরশি সাজার বকশিস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন