দুই কন্যা
(সরস্বতী বিদ্যেবতী তোমার সাথে আজন্মকাল
ঘর করেছি ,পর করেছি লক্ষ্মীরাণী ধনবতী )
দ্যাখো, উঠে যাচ্ছি মহাশূন্যে , সাথে নিয়ে ডিজিক্যাম
তাক করছি তাক করছি আহা তাক দুম
দেখতে পাচ্ছি বিস্ফারিত পাছা
ধনবতী লক্ষ্মীর, ভয়ানক পা বিছিয়ে রয়েছে মাটিতে -
পায়ে মোটা পায়জোর, নগ্ন কোমরে
বিছাহার, নাভিমূলে ঝুলছে মডেল-প্রশস্ত নোলক ,
রঙিণ দুধহীন বুকে দোল খাচ্ছে জড়োয়া সীতাহার,
ক্রমশঃ সরু হয়ে যাচ্ছে গলা, খোঁজ খোঁজ মাথাটা -
ছোট হতে হতে তবে কি মায়ায় মেলালো ?
সরস্বতী বিদ্যেবতী
আবার মাটিতে নামছি
নতজানু হয়ে তোমাকে টিল্ট-আপ ফোকাস করছি
দেখছি হেঁড়ে মাথা সহ তুমি বেতসলতার মত স্লিম
দীর্ঘদেহে দাঁড়িয়ে আছো এলোচুলে
একমনে পড়ে যাচ্ছো 'মানব সভ্যতার ইতিহাস'
সরু দেহে শাড়ীর ক্রিজ ঠিক রাখা দায়
স্তনচ্ছায়ে কোনোমতে লেপটে রয়েছে আঁচল
আর পাড় দিয়ে ঢাকা দুটি পায়ের সামনে
বেত-ছড়ির বাঁটের মত আনত প্রণামে রত
ধনলক্ষ্মীর হারিয়ে যাওয়া মাথা ।
কন্যা-কে
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
শান্ত ভয়রোঁর আবহে ভাসমান
ভাটিয়ালির পদ প্রতিপদে-পূর্ণিমায়
প্রতিটি চাঁদিনী রাতে গ্রহণ হয় না তবু
পূর্ণিমায় চাঁদের দিকে তাকাতে এত ভয় !
যা-রে ফাগুয়ার ভোর , বয়ে যাক তোর
দিন ক্ষণ সময়ের বিড়ম্বনা , আমি এখন মত্ত
কন্যার মুখ খুঁজতে, ফাঁকা এ্যালবাম খোলা সমুখে
সাজিয়ে রাখছি প্রিয় সব মুহূর্ত যত
ফোন বাজছে, ভেসে আসছে হুল্লোড় , ফাগুয়ার রঙিণ
স্তোত্রাবলী, যৌবন উজাড় করে গেয়ে যাস হোরী গীত
কিসের ভয় তোর মেয়ে, বন্ধু রয়েছে পাশে উষ্ণ,
তবুও কম্বল কেন খোলা, কীসের এত শীত !
ছবি সাজাই, স্মৃতির ডিঙা ভাসাই, অপেক্ষা নেই ফোনের
বজ্র পতনের শব্দ এলো, ঝলসে উঠলো আলো
দিবাকাশে গ্রহণ লেগে গেছে, দেরী আছে চাঁদিনী রাতের
কন্যে, তোর হাসিমুখ কারা করেছে কালো !
শান্তমুখে ঘুমিয়ে আছিস - চির প্রশান্তির ঘুম
শয়তানের চিমটি জানান দিচ্ছে আত্মহননের গল্প
কোথাও বাজছে না গান, থমথমে পড়শী মুখ
মেকী কান্না, চাপা ক্ষোভ বুঝিয়ে দিচ্ছে হত্যার রূপকল্প
'মর্গে কি হৃদয় জুড়াল'- কন্যে, কেন বিয়ে করিস !
কন্যাদের মুখগুলো আজ ফুলের বোঁটার মত
ইচ্ছে করলেই ছিঁড়ে নেওয়া যায়, এখন সময়
বধূ নিধনের- মানুষের ইতিহাসের গভীরতম ক্ষত
(সরস্বতী বিদ্যেবতী তোমার সাথে আজন্মকাল
ঘর করেছি ,পর করেছি লক্ষ্মীরাণী ধনবতী )
দ্যাখো, উঠে যাচ্ছি মহাশূন্যে , সাথে নিয়ে ডিজিক্যাম
তাক করছি তাক করছি আহা তাক দুম
দেখতে পাচ্ছি বিস্ফারিত পাছা
ধনবতী লক্ষ্মীর, ভয়ানক পা বিছিয়ে রয়েছে মাটিতে -
পায়ে মোটা পায়জোর, নগ্ন কোমরে
বিছাহার, নাভিমূলে ঝুলছে মডেল-প্রশস্ত নোলক ,
রঙিণ দুধহীন বুকে দোল খাচ্ছে জড়োয়া সীতাহার,
ক্রমশঃ সরু হয়ে যাচ্ছে গলা, খোঁজ খোঁজ মাথাটা -
ছোট হতে হতে তবে কি মায়ায় মেলালো ?
সরস্বতী বিদ্যেবতী
আবার মাটিতে নামছি
নতজানু হয়ে তোমাকে টিল্ট-আপ ফোকাস করছি
দেখছি হেঁড়ে মাথা সহ তুমি বেতসলতার মত স্লিম
দীর্ঘদেহে দাঁড়িয়ে আছো এলোচুলে
একমনে পড়ে যাচ্ছো 'মানব সভ্যতার ইতিহাস'
সরু দেহে শাড়ীর ক্রিজ ঠিক রাখা দায়
স্তনচ্ছায়ে কোনোমতে লেপটে রয়েছে আঁচল
আর পাড় দিয়ে ঢাকা দুটি পায়ের সামনে
বেত-ছড়ির বাঁটের মত আনত প্রণামে রত
ধনলক্ষ্মীর হারিয়ে যাওয়া মাথা ।
কন্যা-কে
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
শান্ত ভয়রোঁর আবহে ভাসমান
ভাটিয়ালির পদ প্রতিপদে-পূর্ণিমায়
প্রতিটি চাঁদিনী রাতে গ্রহণ হয় না তবু
পূর্ণিমায় চাঁদের দিকে তাকাতে এত ভয় !
যা-রে ফাগুয়ার ভোর , বয়ে যাক তোর
দিন ক্ষণ সময়ের বিড়ম্বনা , আমি এখন মত্ত
কন্যার মুখ খুঁজতে, ফাঁকা এ্যালবাম খোলা সমুখে
সাজিয়ে রাখছি প্রিয় সব মুহূর্ত যত
ফোন বাজছে, ভেসে আসছে হুল্লোড় , ফাগুয়ার রঙিণ
স্তোত্রাবলী, যৌবন উজাড় করে গেয়ে যাস হোরী গীত
কিসের ভয় তোর মেয়ে, বন্ধু রয়েছে পাশে উষ্ণ,
তবুও কম্বল কেন খোলা, কীসের এত শীত !
ছবি সাজাই, স্মৃতির ডিঙা ভাসাই, অপেক্ষা নেই ফোনের
বজ্র পতনের শব্দ এলো, ঝলসে উঠলো আলো
দিবাকাশে গ্রহণ লেগে গেছে, দেরী আছে চাঁদিনী রাতের
কন্যে, তোর হাসিমুখ কারা করেছে কালো !
শান্তমুখে ঘুমিয়ে আছিস - চির প্রশান্তির ঘুম
শয়তানের চিমটি জানান দিচ্ছে আত্মহননের গল্প
কোথাও বাজছে না গান, থমথমে পড়শী মুখ
মেকী কান্না, চাপা ক্ষোভ বুঝিয়ে দিচ্ছে হত্যার রূপকল্প
'মর্গে কি হৃদয় জুড়াল'- কন্যে, কেন বিয়ে করিস !
কন্যাদের মুখগুলো আজ ফুলের বোঁটার মত
ইচ্ছে করলেই ছিঁড়ে নেওয়া যায়, এখন সময়
বধূ নিধনের- মানুষের ইতিহাসের গভীরতম ক্ষত
অলংকরণ – মেঘ অদিতি
বাকরুদ্ধ হয়ে যাই এই কবিতা পড়লেই । আমার কিচ্ছু বলার নেই , শান্তনা দেওয়ার মতো -ও কোনো শব্দ নেই । তবে যতবার এটা পড়ি , ততবার কাঁদি আর বুঝতে পারি আমার ভিতরে শুধুই শয়তান প্রভুত্ব করতে পারবেনা কোনোদিন , সেখানে আরেক জনের অতন্দ্র প্রহরা রয়েছে । কুর্নিশ তোমাকে ।
উত্তরমুছুন