নারী বাদ
সাঁঝবাতি
অর্ধনারীশ্বর। নারী অর্ধেক। বাকী যা আধা তাহাই ঈশ্বর। তাহাই পতি পরমেশ্বর। লাখ পতি, কোটি পতি। লাখ পত্নীর নাম আজ অবধি শোনাই গেল না! পতির কল্যাণে তার কল্যাণ। সে যে আজন্মকাল তাই কামনা করেছে। শিবলিঙ্গে মণকে মণ দুধ ঢেলেছে উপোস করে। ফেয়ারী টেলে পড়েছে প্রিন্স চার্মিংদের দ্বারা বিবাহের মাধ্যমে কীভাবে রাজকুমারীরা উদ্ধার পায়। জন্ম ইস্তক মা মাসিরা তার হাতে তুলে দিয়েছে তার ডেমো সংসার- রান্নাবাটি। আর পুং সন্তান? সে তো বাহির কা জীব। সংসার জলে পরম হংসের মতো ভাসমান, খালি সময় বিশেষে নিজবীর্যখানি স্বস্থানে রেখে সে গা ঝেড়ে নেয়। এছাড়া কলুষিত সংসার জগতে তার প্রবেশ অনর্থক! কুটোটি নাড়ানোর বেলায় শোনা যাবে মা-মাসির সমস্বরে ত্রাহি ত্রাহি- “আহা, ও কতো খাটা খাটনি করে!” কন্যাটির এ ভাঁড়ারও শূন্য, তার মাস মাহিনা নেই বলে? গৃহকর্তীদের জন্য সুখবর তারা মাসোহারা পেতে চলেছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তারা এক ইউনিয়ানের অ্যাটমবোমার কথা ভাবতেই পারেন, ক্ষতি কি?
আমরা সসম্ভ্রমে শারদীয়া তুলো মেঘ উড়িয়ে মা কে নিয়ে আসবো, নারীদিবসের মতো এ পনেরো দিন দেবীপক্ষই না হয় হলো! অষ্টমীর শুভ্র সকালে সপরিবারে পবিত্র চিত্তে অঞ্জলী প্রদান করতে করতে মায়ের কাছে চুপি চুপি চেয়ে নেব- পুত্রং দেহী! আহা পুরুষ যদি একাই পুত্র গড়তে সক্ষম হোত তবে এই পনেরো দিনের দেবীপাক্ষিক আরাধনা নিষ্প্রয়োজন! আর নারীর যদি পুরুষের প্রয়োজন না পড়ে? সিঙ্গেল মা, সমকামী মেয়ে এদের কথা বলছেন? ধুর ওরা তো সব বিদেশী কালচার নাড়াঘাঁটা করছে! ভারতীয় সংস্কৃতি মহান- ঝান্ডা তুলে চলো মেয়েগুলোর মাথায় সিঁদুর লেপে দিই, বাছা চলো খাটে চলো, রাত হয়েচে। তুমি একা কোথাও পা ফেলবে না, স্বামীর সুরক্ষা বলয়ে তোমার বাস, ভাইয়ের কাঁধের তলায় তোমার তাঁবু, বাপের লুঙ্গির তলায় তোমার খেলার মাঠ। ওহো, তুমি বড়ো হয়ে গেছ সোনা! এখন তোমার ফোটার সময়! বাইরে খেলতে যাবে না! পাড়ার কাকু, দাদারা হাঁ করে গিলবে যে তোমায়! পুরুষের নাগালে যাবে না, সে যদি পুরে দেয় কোথাও কিছু, মেয়ের কৌমার্য কোথায় যাবে? যা কিনা ভবিষ্যৎ স্বামীটি সগর্বে হরণ করবেন? কুমারী স্নেহলোতা, কুমারী জবাকুসুম। আহা ফুলের মতোন, সে কুমারী দেখ তোমরা! সে পবিত্র! আহা কি মাপকাঠি! নামের আগে আগে চলেছে তার বিশেষত্ব- কৌমার্য। পুরুষের কৌমার্য? সে ধ্রুবক বস্তু, মৃত্যুর পরেও পুরুষ চন্দন কুমার, সুশীল কুমার থেকে যাবে। পুরুষের কৌমার্য হরণ করা মেয়ের কম্মো নয়। তার ক্ষেত্রে তাই একটু সাইড করে-ছোটো করে অমুক কুমার বলে বেরিয়ে গেলেও সমস্যা নেই।
পাঠক একটু পরিশ্রম করে ভেবে বলুন তো এমন এক জায়গা যা মেয়েদের কারণে খারাপ জায়গা বলে চিহ্নিত হয়েছে? বেশ্যালয়? কোনো মেয়েটি সেখানে কামনিবৃত্তি করতে যায়? পুরুষের প্রয়োজন ব্যতীত রেড লাইট এরিয়া তৈরী হয়না। সেরকমই কোনো জায়গা খারাপ হয় সেখানকার পুরুষের জন্য। খুন খারাপি, ধর্ষন, চুরি, ডাকাতি সবই পুরুষের কাজ। সমাজের অধোঃগতির জন্য একমাত্র দায়ী পুরুষেরা। ধর্ষণে পুরুষের দোষ কি! না না, ভুল বললাম, মেয়ে তোমার পাট কাটা, বুক উঁচানো, থাই দেখানো জামা পরে লোভ দেখালে আমার বাছা তার চুলকুনিটাই বা রাখবে কোথায়? সে টোন কাটবে, না না, টোন নয়, সে তো সুচিন্তিত মূল্যবান মন্তব্য। তাহাতেও চুলকুনি না মিটলে পিছু করবে, ‘বন্ধুত্ব’ পাতাবে মেয়ের সাথে, আর মেয়ে বন্ধুত্বের হাত, পা, বুক না বাড়ালে? চলো রেপ করো। ছেলের কী দোষ! আজ কালকার মেয়েরাই তো লোভ দেখায় শরীর দেখিয়ে। তোমার চুলকুনির জন্য আমি আমার ইচ্ছে মতো পোশাক পরবো না? পুরুষ? ভারতীয় সংস্কৃতির সংযমী পুরুষদের গল্প গাথা তো তোমার মাথার ত্রিসীমানাতেও এলোনা এবেলা? ট্যান হয়ে চলে গেল কোথায়? খুঁজে দেখো।
আধুনিক পুরুষ অবশ্য এরকম নয়। তারা লিবারাল। তারা মেয়েদের ধুমপান করতে বাধা দেয় না, ওয়াইন গ্লাস ঠুকে উল্লাস করে। মেয়েটি চমৎকার হলে গুণমুগ্ধ হয় তার, গলা ফুলিয়ে প্রশংসা করতে তার বাঁধে না। এক সময় মায়ের আঁচলের তলা থেকে প্রপোজ করে দেখে, ছিপে আসে কি না। এলে ভালো, খাটে চলো বলে কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে যায়, আর যদি না আসে? সে হয় না কি! মেয়ে আসবেই ছিপে, আহা আমার মতো পুরুষের ছিপে না এলে সে মেয়ে কি সুবিধার মেয়ে? সে মেয়ে চরিত্রহীনা, লোভ দেখিয়ে চলে যায়। সকল পুরুষের সহিত তার দ্রৌপদী সুলভ আচরণ! পুরুষের ডিকশনারীতে ‘নারী-পুরুষ বন্ধুত্ব’ শব্দাবলী খুঁজে পাওয়া যায়না। তাই সে শিখিয়ে পড়িয়ে রাখে সমাজ কে, নারী-পুরুষের একটাই সম্পর্ক- বিছানায়। পুরুষ তোমার আধুনিক হতে অনেক বাকি, তুমি রেস্ট নাও। তোমায় দেখে দয়া হয়, আহা, তুমি সন্তান ধারণে অক্ষম। ঠিক আছে, তোমার অন্তঃসারশূন্যদম্ভ না হয় করুণা ভরে দেখেই গেলাম। এই ফাঁকে তুমি বাহু ফুলিয়ে ভেবে যাও তুমিই সেরা- হাস্যকর, তোমার গভীরতা কোথায় পুরুষ? এক চিন্তাশীল নারীর সঘন মনের পাশে চিন্তাশীল পুরুষ- তুমি বাষ্পের মতোই হালকা। জৈবিক দন্ডটিতে ভর করে তুমি পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছো। তোমার জন্য কিন্তু নারীর কিছুই আটকে থাকেনি। খরগোশ- কচ্ছপের দৌড়ে সে কিন্তু স্বাবলম্বী হয়ে গিয়েছে বহুদিন।
একটা গুপ্তকথা বলে রাখি এখানে। নারীবাদকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে পুরুষবাদকে স্বীকার করে নিতে হবেই। যেমন আলো দেখতে গেলে অন্ধকার চিনতেই হয় তেমনই। দু তরফেই দোষত্রুটি সমান। মেয়েরাই অনেকক্ষেত্রে নারীউন্নতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান। সেক্ষেত্রে পুরুষকে বিন্দুমাত্র চেষ্টা করতে হয়না। অধিকার কখনও কুড়িয়ে পাওয়া যায় না। অধিকার কেড়ে নিতে হয়। লড়াইটা পুরুষের বিরুদ্ধে না হয়ে সমাজের বিরুদ্ধে হওয়া উচিৎ। যে সমাজ জন্মের পরেই লিঙ্গ বিভাজন ঘটায় নামকরণের মাধ্যমে, তারপর আসে পোশাক আচার ব্যবহারের বিভাজন। নারীবাদ নয়, সমানাধিকারের লড়াই লড়তে এগিয়ে আসুক নারীর পাশাপাশি পুরুষও, কারণ তার মা-স্ত্রী-কন্যা’রা আদপে নারীই। এই বৈষম্য না ঘুচলে মল্লিকা সেনগুপ্তের ঐতিহাসিকের মতো এই সমাজও কালে কালে নপুংসক হয়ে পড়বে। নারী পুরুষ সম্পর্কে উদাসীন হয়ে উঠবে সম্পূর্ণরূপে। বিছানায় যন্ত্র ছাড়া পুরুষ আর কিছুই পাবে না। সন্তানোৎপাদনের জন্য বিবাহ আদ্যোৎপ্রান্ত মেকানিকাল হয়ে পড়বে। নারীশরীরে ইস্ট্রোজেন ইঞ্জেক্টেড করা ছাড়া পুরুষের আর কোনো উপায় থাকবে না। অতঃপর পুরুষ সাবধান হও। মা দূর্গাকে ঢাল করে আর কতদিন নারীভক্তি প্রদর্শণের ছলনা চলবে?
অর্ধনারীশ্বর। নারী অর্ধেক। বাকী যা আধা তাহাই ঈশ্বর। তাহাই পতি পরমেশ্বর। লাখ পতি, কোটি পতি। লাখ পত্নীর নাম আজ অবধি শোনাই গেল না! পতির কল্যাণে তার কল্যাণ। সে যে আজন্মকাল তাই কামনা করেছে। শিবলিঙ্গে মণকে মণ দুধ ঢেলেছে উপোস করে। ফেয়ারী টেলে পড়েছে প্রিন্স চার্মিংদের দ্বারা বিবাহের মাধ্যমে কীভাবে রাজকুমারীরা উদ্ধার পায়। জন্ম ইস্তক মা মাসিরা তার হাতে তুলে দিয়েছে তার ডেমো সংসার- রান্নাবাটি। আর পুং সন্তান? সে তো বাহির কা জীব। সংসার জলে পরম হংসের মতো ভাসমান, খালি সময় বিশেষে নিজবীর্যখানি স্বস্থানে রেখে সে গা ঝেড়ে নেয়। এছাড়া কলুষিত সংসার জগতে তার প্রবেশ অনর্থক! কুটোটি নাড়ানোর বেলায় শোনা যাবে মা-মাসির সমস্বরে ত্রাহি ত্রাহি- “আহা, ও কতো খাটা খাটনি করে!” কন্যাটির এ ভাঁড়ারও শূন্য, তার মাস মাহিনা নেই বলে? গৃহকর্তীদের জন্য সুখবর তারা মাসোহারা পেতে চলেছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তারা এক ইউনিয়ানের অ্যাটমবোমার কথা ভাবতেই পারেন, ক্ষতি কি?
আমরা সসম্ভ্রমে শারদীয়া তুলো মেঘ উড়িয়ে মা কে নিয়ে আসবো, নারীদিবসের মতো এ পনেরো দিন দেবীপক্ষই না হয় হলো! অষ্টমীর শুভ্র সকালে সপরিবারে পবিত্র চিত্তে অঞ্জলী প্রদান করতে করতে মায়ের কাছে চুপি চুপি চেয়ে নেব- পুত্রং দেহী! আহা পুরুষ যদি একাই পুত্র গড়তে সক্ষম হোত তবে এই পনেরো দিনের দেবীপাক্ষিক আরাধনা নিষ্প্রয়োজন! আর নারীর যদি পুরুষের প্রয়োজন না পড়ে? সিঙ্গেল মা, সমকামী মেয়ে এদের কথা বলছেন? ধুর ওরা তো সব বিদেশী কালচার নাড়াঘাঁটা করছে! ভারতীয় সংস্কৃতি মহান- ঝান্ডা তুলে চলো মেয়েগুলোর মাথায় সিঁদুর লেপে দিই, বাছা চলো খাটে চলো, রাত হয়েচে। তুমি একা কোথাও পা ফেলবে না, স্বামীর সুরক্ষা বলয়ে তোমার বাস, ভাইয়ের কাঁধের তলায় তোমার তাঁবু, বাপের লুঙ্গির তলায় তোমার খেলার মাঠ। ওহো, তুমি বড়ো হয়ে গেছ সোনা! এখন তোমার ফোটার সময়! বাইরে খেলতে যাবে না! পাড়ার কাকু, দাদারা হাঁ করে গিলবে যে তোমায়! পুরুষের নাগালে যাবে না, সে যদি পুরে দেয় কোথাও কিছু, মেয়ের কৌমার্য কোথায় যাবে? যা কিনা ভবিষ্যৎ স্বামীটি সগর্বে হরণ করবেন? কুমারী স্নেহলোতা, কুমারী জবাকুসুম। আহা ফুলের মতোন, সে কুমারী দেখ তোমরা! সে পবিত্র! আহা কি মাপকাঠি! নামের আগে আগে চলেছে তার বিশেষত্ব- কৌমার্য। পুরুষের কৌমার্য? সে ধ্রুবক বস্তু, মৃত্যুর পরেও পুরুষ চন্দন কুমার, সুশীল কুমার থেকে যাবে। পুরুষের কৌমার্য হরণ করা মেয়ের কম্মো নয়। তার ক্ষেত্রে তাই একটু সাইড করে-ছোটো করে অমুক কুমার বলে বেরিয়ে গেলেও সমস্যা নেই।
পাঠক একটু পরিশ্রম করে ভেবে বলুন তো এমন এক জায়গা যা মেয়েদের কারণে খারাপ জায়গা বলে চিহ্নিত হয়েছে? বেশ্যালয়? কোনো মেয়েটি সেখানে কামনিবৃত্তি করতে যায়? পুরুষের প্রয়োজন ব্যতীত রেড লাইট এরিয়া তৈরী হয়না। সেরকমই কোনো জায়গা খারাপ হয় সেখানকার পুরুষের জন্য। খুন খারাপি, ধর্ষন, চুরি, ডাকাতি সবই পুরুষের কাজ। সমাজের অধোঃগতির জন্য একমাত্র দায়ী পুরুষেরা। ধর্ষণে পুরুষের দোষ কি! না না, ভুল বললাম, মেয়ে তোমার পাট কাটা, বুক উঁচানো, থাই দেখানো জামা পরে লোভ দেখালে আমার বাছা তার চুলকুনিটাই বা রাখবে কোথায়? সে টোন কাটবে, না না, টোন নয়, সে তো সুচিন্তিত মূল্যবান মন্তব্য। তাহাতেও চুলকুনি না মিটলে পিছু করবে, ‘বন্ধুত্ব’ পাতাবে মেয়ের সাথে, আর মেয়ে বন্ধুত্বের হাত, পা, বুক না বাড়ালে? চলো রেপ করো। ছেলের কী দোষ! আজ কালকার মেয়েরাই তো লোভ দেখায় শরীর দেখিয়ে। তোমার চুলকুনির জন্য আমি আমার ইচ্ছে মতো পোশাক পরবো না? পুরুষ? ভারতীয় সংস্কৃতির সংযমী পুরুষদের গল্প গাথা তো তোমার মাথার ত্রিসীমানাতেও এলোনা এবেলা? ট্যান হয়ে চলে গেল কোথায়? খুঁজে দেখো।
আধুনিক পুরুষ অবশ্য এরকম নয়। তারা লিবারাল। তারা মেয়েদের ধুমপান করতে বাধা দেয় না, ওয়াইন গ্লাস ঠুকে উল্লাস করে। মেয়েটি চমৎকার হলে গুণমুগ্ধ হয় তার, গলা ফুলিয়ে প্রশংসা করতে তার বাঁধে না। এক সময় মায়ের আঁচলের তলা থেকে প্রপোজ করে দেখে, ছিপে আসে কি না। এলে ভালো, খাটে চলো বলে কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে যায়, আর যদি না আসে? সে হয় না কি! মেয়ে আসবেই ছিপে, আহা আমার মতো পুরুষের ছিপে না এলে সে মেয়ে কি সুবিধার মেয়ে? সে মেয়ে চরিত্রহীনা, লোভ দেখিয়ে চলে যায়। সকল পুরুষের সহিত তার দ্রৌপদী সুলভ আচরণ! পুরুষের ডিকশনারীতে ‘নারী-পুরুষ বন্ধুত্ব’ শব্দাবলী খুঁজে পাওয়া যায়না। তাই সে শিখিয়ে পড়িয়ে রাখে সমাজ কে, নারী-পুরুষের একটাই সম্পর্ক- বিছানায়। পুরুষ তোমার আধুনিক হতে অনেক বাকি, তুমি রেস্ট নাও। তোমায় দেখে দয়া হয়, আহা, তুমি সন্তান ধারণে অক্ষম। ঠিক আছে, তোমার অন্তঃসারশূন্যদম্ভ না হয় করুণা ভরে দেখেই গেলাম। এই ফাঁকে তুমি বাহু ফুলিয়ে ভেবে যাও তুমিই সেরা- হাস্যকর, তোমার গভীরতা কোথায় পুরুষ? এক চিন্তাশীল নারীর সঘন মনের পাশে চিন্তাশীল পুরুষ- তুমি বাষ্পের মতোই হালকা। জৈবিক দন্ডটিতে ভর করে তুমি পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছো। তোমার জন্য কিন্তু নারীর কিছুই আটকে থাকেনি। খরগোশ- কচ্ছপের দৌড়ে সে কিন্তু স্বাবলম্বী হয়ে গিয়েছে বহুদিন।
একটা গুপ্তকথা বলে রাখি এখানে। নারীবাদকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে পুরুষবাদকে স্বীকার করে নিতে হবেই। যেমন আলো দেখতে গেলে অন্ধকার চিনতেই হয় তেমনই। দু তরফেই দোষত্রুটি সমান। মেয়েরাই অনেকক্ষেত্রে নারীউন্নতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান। সেক্ষেত্রে পুরুষকে বিন্দুমাত্র চেষ্টা করতে হয়না। অধিকার কখনও কুড়িয়ে পাওয়া যায় না। অধিকার কেড়ে নিতে হয়। লড়াইটা পুরুষের বিরুদ্ধে না হয়ে সমাজের বিরুদ্ধে হওয়া উচিৎ। যে সমাজ জন্মের পরেই লিঙ্গ বিভাজন ঘটায় নামকরণের মাধ্যমে, তারপর আসে পোশাক আচার ব্যবহারের বিভাজন। নারীবাদ নয়, সমানাধিকারের লড়াই লড়তে এগিয়ে আসুক নারীর পাশাপাশি পুরুষও, কারণ তার মা-স্ত্রী-কন্যা’রা আদপে নারীই। এই বৈষম্য না ঘুচলে মল্লিকা সেনগুপ্তের ঐতিহাসিকের মতো এই সমাজও কালে কালে নপুংসক হয়ে পড়বে। নারী পুরুষ সম্পর্কে উদাসীন হয়ে উঠবে সম্পূর্ণরূপে। বিছানায় যন্ত্র ছাড়া পুরুষ আর কিছুই পাবে না। সন্তানোৎপাদনের জন্য বিবাহ আদ্যোৎপ্রান্ত মেকানিকাল হয়ে পড়বে। নারীশরীরে ইস্ট্রোজেন ইঞ্জেক্টেড করা ছাড়া পুরুষের আর কোনো উপায় থাকবে না। অতঃপর পুরুষ সাবধান হও। মা দূর্গাকে ঢাল করে আর কতদিন নারীভক্তি প্রদর্শণের ছলনা চলবে?
Darun laglo..
উত্তরমুছুনUdom valo.
উত্তরমুছুনঅসাধারন লাগলো দিদি। দারুন।
উত্তরমুছুনbapok bapok
উত্তরমুছুন@ Rohan Bhattacharya : Apnar katha sune mone holo ragging obhalo.. senior der dekhe esechi bole amader upor otyachar hoye eseche.. tai junior der oporeo hobe.. shasuri r probonota ta khanik erakam e hoyto.. asole sob holo chele der control korar OKKHOMOTA.. seta jodi tara parten tahole bodhoyna.. ato gulo rape hoto. Baddho holam katha ta bolte! Aar ditiyato jakhan ekta purush so called ekta meye r dayitto nen.. takhan kivabe take torture koren bujhina.. tobe.. ei dayitto neoa bapar tao sanghatik,,, amader meye der independent hoar somoy ese gache bohu age.. tobu chotobela theke sikkha tuku jodi chiniye neoa hoy tahole ke e ba r koddur jete pare. Goratei to gandogol roye gache! Swaraswati pujo hoy.. meye der school e jaoa hoyna! Osojhya!
উত্তরমুছুন@ Rohan Bhattacharya : Aha.. ami to bolchi e seta dosh er.. ekbar o bolini toh seta dosh er na.. apni ota kei dhorlen.. etao ekdike gaa bachano.. "areh shasuri o ekta mohila prani..seo otyachar kore ekta mohila r upor" ore.. murod thake toh tahole jakhan biye kore dayitto niyechili takhan meye take nijer maa er haat theke bacha.. ei attitude ta ki ooi lok tar theke expected noy! Mojar bapar apnara hasen.. facebook kopchan.. ami hasina.. facebook kopchai .. kajer kaj ta kore uthina.. Onyay ta kara kore.. Rohan ji? Chele gulor besi uthle ektu dori diye bedhe rakhlei pare.. ato onyay ghotena.. !
উত্তরমুছুনভালো।
উত্তরমুছুনতবে,- "অর্ধনারীশ্বর" ধারণাটিতে অর্ধেক নারী আর বাকি অর্ধেক ঈশ্বর তথা পুরুষ... আমার মনে হয় এই দর্শনটি আসলে তা বোঝাচ্ছে না। সেখানে বলা হয়েছে যে, অর্ধেক নারী; অর্ধেক ঈশ্বর। ঈশ্বর অর্থাৎ পরমশক্তি। যা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডকে চালিত করছে। আর নারী অর্থে বাকি সবকিছু। যার মধ্যে তথাকথিত "পুরুষমানুষ" অন্তর্ভূক্ত।
"কোনো জায়গা খারাপ হয় সেখানকার পুরুষের জন্য"...দারুণ বলেছেন। চরম সত্য। তবে ব্যাতিক্রমও অনস্বীকার্য।
"দূর্গা" > দুর্গা।
অভিনন্দন আপনাকে বিষয়টির সুন্দর উপস্থাপনার জন্য। ভালো থাকবেন।