গোপালপুর – অন – সী
১
রোদ চশমার আড়াল থেকে উত্তেজনায়
চেঁচিয়ে উঠলো সুধন্য – “দিকচক্রবাল... ! ঐ দ্যাখ দিকচক্রবাল !”
আর আমি, ভিউফাইন্ডারে চোখ, তখন মনে মনে একটানা
‘ভয়ঙ্কর’ শব্দটি আউড়ে চলেছি... অথচ
এবারে ওর কথায়, তিনবারের বার গুনতি থামিয়ে
সচকিতে আদিগন্তে দেখি – সমুদ্র ও আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে
মাঝ বরাবর
কালো চুলের মতো সূক্ষ একটি বিভাজন রেখা... যেন
নিটোল কলসীতে ফাঁক অথবা মূর্তিমান দুঃস্বপ্নে
পাওয়া, অজানা অন্য কোনো ধাতুর বিভ্রম -
কিম্বা সত্যিই হয়তো চিড়্ ধরেছে আকাশে... !
২
পাছে এসমস্ত সব আমি প্রকাশ্যে বলে ফেলি, তাই
ভীমগর্জনে গর্জে ওঠে সমুদ্র!
গাড়ি থেকে নামার পর
আমার না সুধন্যের, ঠিক মনে নেই, কার –
চেন কেটে খসে পড়া বিশ বছরের ঘড়ি খুঁজতে খুঁজতে,
দুজনে এগিয়ে যাই বালির ওপর...
যেতে যেতে তারামাছের শব দেখি – দেখি, ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসা
আকীর্ণ কোরাল - ! ভাঙা শাঁখের গা ছুঁয়ে
বালির স্পর্শে বুঝি, সহস্র দাঁড় কাঁকড়ার সংসার -
চামড়া ফাটানো রোদে দ্বিপ্রহরের সূর্যও কিছু কথা বলে।
আর প্রথা মেনে সমস্ত সব সঙ্কল্প উচ্ছাস,
থমাস কুকের হাত ধরে অর্ধ চক্র পূর্ণ করে।
উদরে দাঁড়ায় -
৩
তাই গাড়ির জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে, সময় মতো ফেলে দিই আধ খাওয়া সিগারেট
আর গোটা সমুদ্র বাঁয়ে ফেলে
চিন্তাশূন্য, এগিয়ে যাই নুলীয়া বসতের দিকে...
এগিয়ে যাই কেননা একবার বিকেল গুটিয়ে এলে
একইসঙ্গে সতেরোটা চাঁদ জ্যোৎস্না বাইবে... !
লাল বালি - সাদা বালিতে
অন্য কোনো রূপান্তরের খেলা শুরু করবে ঢেউ...
আকাশের চিড় ভেঙে নেমে আসা উল্লাসে
অন্য অচেনা কোনো যুদ্ধ শুরু হবে - !
গল্পের বিস্তার বদলে যাবে – বদলাবে সমারোহ... আর প্রমত্ত ঋতুতে
হাজার টুরিস্টের ভিড়ে, অবিচ্ছেদ্য সৌন্দর্যে ম্লান
আমাদের গোপালপুর – অন – সী... !
১
রোদ চশমার আড়াল থেকে উত্তেজনায়
চেঁচিয়ে উঠলো সুধন্য – “দিকচক্রবাল... ! ঐ দ্যাখ দিকচক্রবাল !”
আর আমি, ভিউফাইন্ডারে চোখ, তখন মনে মনে একটানা
‘ভয়ঙ্কর’ শব্দটি আউড়ে চলেছি... অথচ
এবারে ওর কথায়, তিনবারের বার গুনতি থামিয়ে
সচকিতে আদিগন্তে দেখি – সমুদ্র ও আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে
মাঝ বরাবর
কালো চুলের মতো সূক্ষ একটি বিভাজন রেখা... যেন
নিটোল কলসীতে ফাঁক অথবা মূর্তিমান দুঃস্বপ্নে
পাওয়া, অজানা অন্য কোনো ধাতুর বিভ্রম -
কিম্বা সত্যিই হয়তো চিড়্ ধরেছে আকাশে... !
২
পাছে এসমস্ত সব আমি প্রকাশ্যে বলে ফেলি, তাই
ভীমগর্জনে গর্জে ওঠে সমুদ্র!
গাড়ি থেকে নামার পর
আমার না সুধন্যের, ঠিক মনে নেই, কার –
চেন কেটে খসে পড়া বিশ বছরের ঘড়ি খুঁজতে খুঁজতে,
দুজনে এগিয়ে যাই বালির ওপর...
যেতে যেতে তারামাছের শব দেখি – দেখি, ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসা
আকীর্ণ কোরাল - ! ভাঙা শাঁখের গা ছুঁয়ে
বালির স্পর্শে বুঝি, সহস্র দাঁড় কাঁকড়ার সংসার -
চামড়া ফাটানো রোদে দ্বিপ্রহরের সূর্যও কিছু কথা বলে।
আর প্রথা মেনে সমস্ত সব সঙ্কল্প উচ্ছাস,
থমাস কুকের হাত ধরে অর্ধ চক্র পূর্ণ করে।
উদরে দাঁড়ায় -
৩
তাই গাড়ির জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে, সময় মতো ফেলে দিই আধ খাওয়া সিগারেট
আর গোটা সমুদ্র বাঁয়ে ফেলে
চিন্তাশূন্য, এগিয়ে যাই নুলীয়া বসতের দিকে...
এগিয়ে যাই কেননা একবার বিকেল গুটিয়ে এলে
একইসঙ্গে সতেরোটা চাঁদ জ্যোৎস্না বাইবে... !
লাল বালি - সাদা বালিতে
অন্য কোনো রূপান্তরের খেলা শুরু করবে ঢেউ...
আকাশের চিড় ভেঙে নেমে আসা উল্লাসে
অন্য অচেনা কোনো যুদ্ধ শুরু হবে - !
গল্পের বিস্তার বদলে যাবে – বদলাবে সমারোহ... আর প্রমত্ত ঋতুতে
হাজার টুরিস্টের ভিড়ে, অবিচ্ছেদ্য সৌন্দর্যে ম্লান
আমাদের গোপালপুর – অন – সী... !
অলংকরণ - মেঘ অদিতি
গল্পের বিস্তার বদলে যাবে – বদলাবে সমারোহ... আর প্রমত্ত ঋতুতে
উত্তরমুছুনহাজার টুরিস্টের ভিড়ে, অবিচ্ছেদ্য সৌন্দর্যে ম্লান
আমাদের গোপালপুর – অন – সী... !
আকাশের চিড় ভেঙে নেমে আসা উল্লাসে
উত্তরমুছুনঅন্য অচেনা কোনো যুদ্ধ শুরু হবে - ! ......... :)