সম্পাদকীয়
বুকে ফুলে ওঠা সদ্যোজাত ঘা নিয়ে শেষ হতে চলল আমাদের ডিসেম্বর। ফুটপাথ, বাস, ট্রাম আরও একবার ঘোষণা করল স্তনের উত্তরাধিকার মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অতএব আগামী শিশুর ঠোঁটে লেগে রইল ধর্ষক নখ আর নিকৃষ্ট দাঁতের হায়েনা-কামড়। এই নিয়ে মোমযাত্রা থেকে কেক উৎসবে আমরা আমজনতা জলের মতো পাত্র বদল করছি আবার। আজও এ যাত্রা শুভ হোক তোমার হে রসিক পাবলিক।
দেখো অজস্র ছুপারুস্তম কনুই এখনও কেমন ঘৃণা কুড়চ্ছে তাত্ত্বিক নির্লজ্জে।কিছু সন্তান মুখ ভ্রুর নীচে বিরক্তি ভরে আজও পাদানি ছেড়েছে। এই বোধ থেকেই ফুলকির মতো জড়ো হয়েছে স্বেচ্ছাচারী ধর্ষণ প্রতিভা। এই অধিকারই ১৬ ই ডিসেম্বর ঘটিয়ে ফেলল সবচেয়ে ঘেন্নার দিন, আমারই হব্বিস্যি থালায়। আমিও শুনে নিলাম ২৩ মেয়ের জরায়ু ফাটার আর্তনাদ!!
কেউ শোনেনি আহা এমন নৈশ্বয়িক ইস্পাত বধের রাত!! গোটা জাতির চোখ আজও কি নিরোধে ঢাকা!!
তবু শুনে রাখুন হে রসিক পাবলিক, তখনও ১৬ বার কিন্তু অপারেশন হয়নে, তখনও জরায়ুর প্রাপ্যে পৌঁছায়নি এ সভ্যতার এক হাত রড।
ঠিক এই মাত্র ঘটে গেল গলা গলা - সামাজিক মৃত্যু যখন আপনারা এ সম্পাদকীয় পড়ছেন।
যখন অসংখ্য চ্যাট বক্সের সবুজ আলোয় কেঁপে কেঁপে উঠছে হত্যার মত ২৩ বছরের মুখ।যখন নিউস চ্যানেল গুলো সেকেন্ডের মধ্যে টিআরপি ছড়িয়ে নিল বিনিময় প্রথায় তখন ভয়ঙ্কর মিথ্যের সাথে মরে লড়ে গেল অকালের তেইশ।বলে গেল, যে পথ দিয়ে পুরুষের প্রথম মুখ পেড়িয়েছ চৌকাঠ, সে পথে আজও একহাত রডের সবচেয়ে দানবীয় আঘাত চুঁইয়ে গলে পড়ছে আমাদের অক্ষমতা।যে হাত দিয়ে তুমি পেন্সিল ধরেছ, আজ সেই হাত গুলোর প্রত্যেকে ধরেছে বিষাক্ত রড।
অমর বাউল কণ্ঠ-
কবে নিভে যাবে তা নতুন ছবির বিজ্ঞাপনে? প্রশ্ন শুনিয়ে নিল নার্সিং হোমের বাকি কাঁচগুলো। শীত আর একটু বেশি পড়লেই তো আন্দোলনের হাত কমতে কমতে আগুন সেঁকে নেবে। ভুলে যাবে এক্সপায়ারড টিয়ার গ্যাস, লাঠি চার্জ। কমিশনারের জুতোর নীচে যুবকের মুখ আরও একবার বিকৃত হবে আবার কোনো ডিসেম্বরে।
ততদিনে নতুন বছরের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেব আমার ওয়াল। ভিজিয়ে নেব কবিতায় তোমার স্ট্যাটাস। আকাশের বারোটায় কুঁদে উঠবে গোটা জাত তখন হিন্দোল সম্বর্ধনায়। আমিও জানাব আমার পয়লা জানুয়ারির শুভেচ্ছা। ততদিন ইতিহাস হয়ে যাবে বিশ্ব উইকিপিডিয়ার সম্পত্তি। ততদিন শুভেচ্ছা বিনিময় হোক নতুন বছরের। এই দুইদিন মৃত্যু চিনে নেওয়া আত্মার পক্ষে যথেষ্ট হবে আমাকে চিনতে। তোমাদেরও ভোলার পক্ষে যথেষ্ট নয় কি, রসিক পাবলিক?
প্রতিবারের মতোই অলংকরণ প্রচ্ছদের দায়িত্বে মেঘ অদিতি আর কৌশিক-বিশ্বাসের তুলি বিষয়কে রূপ দিয়েছে আর সুমিত-দার অক্লান্ত কবিতা প্রেমিক মন ও পরিশ্রম দিয়েছে এই ব্লগে আমাদের কলমের অলংকার ।
বুকে ফুলে ওঠা সদ্যোজাত ঘা নিয়ে শেষ হতে চলল আমাদের ডিসেম্বর। ফুটপাথ, বাস, ট্রাম আরও একবার ঘোষণা করল স্তনের উত্তরাধিকার মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অতএব আগামী শিশুর ঠোঁটে লেগে রইল ধর্ষক নখ আর নিকৃষ্ট দাঁতের হায়েনা-কামড়। এই নিয়ে মোমযাত্রা থেকে কেক উৎসবে আমরা আমজনতা জলের মতো পাত্র বদল করছি আবার। আজও এ যাত্রা শুভ হোক তোমার হে রসিক পাবলিক।
দেখো অজস্র ছুপারুস্তম কনুই এখনও কেমন ঘৃণা কুড়চ্ছে তাত্ত্বিক নির্লজ্জে।কিছু সন্তান মুখ ভ্রুর নীচে বিরক্তি ভরে আজও পাদানি ছেড়েছে। এই বোধ থেকেই ফুলকির মতো জড়ো হয়েছে স্বেচ্ছাচারী ধর্ষণ প্রতিভা। এই অধিকারই ১৬ ই ডিসেম্বর ঘটিয়ে ফেলল সবচেয়ে ঘেন্নার দিন, আমারই হব্বিস্যি থালায়। আমিও শুনে নিলাম ২৩ মেয়ের জরায়ু ফাটার আর্তনাদ!!
কেউ শোনেনি আহা এমন নৈশ্বয়িক ইস্পাত বধের রাত!! গোটা জাতির চোখ আজও কি নিরোধে ঢাকা!!
তবু শুনে রাখুন হে রসিক পাবলিক, তখনও ১৬ বার কিন্তু অপারেশন হয়নে, তখনও জরায়ুর প্রাপ্যে পৌঁছায়নি এ সভ্যতার এক হাত রড।
ঠিক এই মাত্র ঘটে গেল গলা গলা - সামাজিক মৃত্যু যখন আপনারা এ সম্পাদকীয় পড়ছেন।
যখন অসংখ্য চ্যাট বক্সের সবুজ আলোয় কেঁপে কেঁপে উঠছে হত্যার মত ২৩ বছরের মুখ।যখন নিউস চ্যানেল গুলো সেকেন্ডের মধ্যে টিআরপি ছড়িয়ে নিল বিনিময় প্রথায় তখন ভয়ঙ্কর মিথ্যের সাথে মরে লড়ে গেল অকালের তেইশ।বলে গেল, যে পথ দিয়ে পুরুষের প্রথম মুখ পেড়িয়েছ চৌকাঠ, সে পথে আজও একহাত রডের সবচেয়ে দানবীয় আঘাত চুঁইয়ে গলে পড়ছে আমাদের অক্ষমতা।যে হাত দিয়ে তুমি পেন্সিল ধরেছ, আজ সেই হাত গুলোর প্রত্যেকে ধরেছে বিষাক্ত রড।
অমর বাউল কণ্ঠ-
‘কত লক্ষ যোনি ভ্রমণ করেস্বরলিপিরা মৃত্যু উপত্যকা থেকে জেনে নিচ্ছে এসব। আমাদের মোমবাতি প্রার্থনা আর কতদিন চলবে এও জেনে নিল নিথর দেহটা!
এই মানব জনম পেয়েছি রে’
কবে নিভে যাবে তা নতুন ছবির বিজ্ঞাপনে? প্রশ্ন শুনিয়ে নিল নার্সিং হোমের বাকি কাঁচগুলো। শীত আর একটু বেশি পড়লেই তো আন্দোলনের হাত কমতে কমতে আগুন সেঁকে নেবে। ভুলে যাবে এক্সপায়ারড টিয়ার গ্যাস, লাঠি চার্জ। কমিশনারের জুতোর নীচে যুবকের মুখ আরও একবার বিকৃত হবে আবার কোনো ডিসেম্বরে।
ততদিনে নতুন বছরের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেব আমার ওয়াল। ভিজিয়ে নেব কবিতায় তোমার স্ট্যাটাস। আকাশের বারোটায় কুঁদে উঠবে গোটা জাত তখন হিন্দোল সম্বর্ধনায়। আমিও জানাব আমার পয়লা জানুয়ারির শুভেচ্ছা। ততদিন ইতিহাস হয়ে যাবে বিশ্ব উইকিপিডিয়ার সম্পত্তি। ততদিন শুভেচ্ছা বিনিময় হোক নতুন বছরের। এই দুইদিন মৃত্যু চিনে নেওয়া আত্মার পক্ষে যথেষ্ট হবে আমাকে চিনতে। তোমাদেরও ভোলার পক্ষে যথেষ্ট নয় কি, রসিক পাবলিক?
প্রতিবারের মতোই অলংকরণ প্রচ্ছদের দায়িত্বে মেঘ অদিতি আর কৌশিক-বিশ্বাসের তুলি বিষয়কে রূপ দিয়েছে আর সুমিত-দার অক্লান্ত কবিতা প্রেমিক মন ও পরিশ্রম দিয়েছে এই ব্লগে আমাদের কলমের অলংকার ।
ক্ষেপচুরিয়াসের পক্ষে প্রলয় মুখার্জী
সম্পাদককে অসংখ্য ধন্যবাদ তার সৃষ্টির প্রয়াসের জন্য।
উত্তরমুছুন