ঊষসী ভট্টাচার্য –এর তিনটি কবিতা
বিচ্ছিন্ন ভাবেই...
পাশের ঘরে আমার জরাজীর্ণ বাবা
অসুখে ধুঁকছে,
সারা বাড়ি কড়া ওষুধের গন্ধে ম ম,
আর আমার মনের লাইব্রেরিতে তখন
দুশ্চিন্তার মেঘ কাটিয়ে হঠাৎ এক ওইপন্যাসিক বাসা বাঁধতে থাকে,
যার প্রথা মানার তাগিদ নেই,
শুরু করে শেষ করার তাড়া নেই।
যে জটিল ধাঁধায় সব বেঁধে বা ছন্নছাড়া ভাবেই
জীবনের ক্যানভাসে শব্দের ছবি আঁকে ।
যখন ন্যাপথলিনের গন্ধে নেশা কাটে,
অলীক বাস্তব আর কুহক স্বপ্নের ফারাক দেখি চোখে,
তোমার শরীরে বাসা বাঁধা ঝি ঝি পোকা ওঠে ডেকে,
হ্যরিকেনের আলো বদলায় সূর্যে,
এদিকে আমার শরীর জুড়ে সূর্যদয় ।
পিঁপড়ে খাওয়া শরীরে জোনাক পোকা জ্বললে ;
উপন্যসের খাতা বদলায় কবিতায়,
আমার দিনান্তের রাগিণী হয় শেষ,
আর সূর্যাস্তের পথে চলতে থাকো তুমি,
যার শিরোনামে আমার ছদ্মনাম ।।
নিশ্চছিদ্র
বুক জুড়ে তুমুল জোয়ারে
ভেসে যাওয়া মুখ
দূরে থাকা গল্পপাতা বুনো রক্তে ডোবা অসুখ
বিচ্ছিন্ন আবেগে দোলাচলে প্রাণ
বেহায়া গন্ধে আবেগের টান
আনত দিনের সঙ্গে আজের আড়ি
বুকের পাঁজর জুড়ে পরিত্যক্ত বসত বাড়ি ।
প্রত্যাবর্তন
সেদিন রাতে শালপিয়ালের বনে
তুমি একমুঠো হাসি খুঁজতে গেছিলে
ঠোঁটের যখন নিভে যাওয়া হ্যারিকেন
তখন তোমার সেকি ছটফটানি
নিরুদ্দেশ কলামে খোঁজ পাঠিও পাত্তা না পেয়ে
তুমিই নিরুদ্দেশ হলে ।
#
শুকতারা ঝরা রাতে আমার ক্লান্ত পথিকের ঝুলিতে হাজার মণিমুক্ত
তবু হাসি ফিরল না
সারা শরীরে সোনা চমকে উঠল
সূর্যাস্তের বিলাসিতা ফিরল, তুমি ফিরলে না ।
তিনটি লেখাই বেশ ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনkhub bhalo lekha
উত্তরমুছুনকবিকে অনেক শুভেচ্ছা..
উত্তরমুছুন