সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৩

কবিতা - স্মৃতিপলি-কাঁচনদী

অন্য দিন
স্মৃতিপলি-কাঁচনদী



এক পশলা বৃষ্টি শেষে মাটির একটা সোঁদা গন্ধ
নাকে লেগে থাকে, গাঢ় মৌতাত উসকে দেয়,
সঙ্গ দেয় লাজুক কিশোরী রোদ। ঠিক এই মুহূর্তে
যে বাড়িটা পেরিয় এলাম ওটা অবন্তিকাদের বাড়ি।
এই পথে এলেই আমার আগ্নেয়গিরির শীতল
পার্শ্বদেশের কথা মনে পরে যায়, নৈসর্গের কথা
ভাবতে গিয়ে সবকিছু কেমন বিসর্গে রূপান্তরিত হয়।
ইদানীং গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য ফি বছর ফাগুন
আসেনা, অশোকে-কিংশুকে রং লাগেনা তেমন।
দৃষ্টিকোণের সঠিক কোন খুঁজতে জেরবার নগর
জীবন, চারিদিকে ফ্রাস্টেটেড গল্পের ঘুণপোকা
রোদ পোহায়, বুকের ভিতর একটা ছোট্ট মুনিয়া
উড়ে বেড়ায়, এ ডাল ও ডাল ছাড়িয়ে কখন যেন
আঙ্গুলে ছড়িয়ে পড়ে ধুলোমাখা ক্লান্ত পাখি।
স্মৃতির ভিতর একমাত্র প্রতিবিম্ব সুগঠিত কাঁচের নদী,
মাঝে মাঝে তার পাড় ভাঙ্গে। ওই পলি চূর্ণ বেলায়
বারে বারে পা বিঁধে যায়, বিশেষণ প্রকাশ্যে সাঁতরায়,
সর্বনামেরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে চেটে পুটে খায় সর্বস্ব। অথচ
একটা ছোট্ট ডাকে জড়ো হতে পারত এইসব যাবতীয়
চকিত, ছোটো ছোটো হোঁচটগুলো পেড়িয়ে এগুনো
যেত নিজস্ব যৌথ-খামারে, পাঁচমিশালী সংসার।
বাড়িটা এখন পিছনে পরে রইলো, মুনিয়ার মতো
আজকাল তুমিও মন থেকে আঙ্গুলে, তাই প্রাত্যহিক
এইসব বোকা বোকা কবিতারা রচিত হয়, বোঝেনা
বারবার তাকে জানিয়ে কী লাভ –
একদিন আমি কিন্তু ঠিক-ই এসেছিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন