অবভাস
রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়
১০।
--বল, বর্গীদের আসার টেন্টেটিভ টাইম কোনটা?
--বল দেখি, সবচেয়ে বড় জুজু কী?
--জানি না, স্যার। জুজুর দিব্যি…
--ভাব, ভাবতে শেখ। ভাবতে শেখাটাও একটা প্রক্রিয়া
--স্যার, ভাবতে পারছি না, মানে পারতে শিখিনি স্যার!
--জুজুর নাম মাওবাদ
--স্যার, সেটা কী?
--বল, বর্গীদের আসার টেন্টেটিভ টাইম কোনটা?
--স্যার, এনি টাইম অ্যান্ড এভ্রি টাইম, ছড়া কাটলেই হল, মা, ঠাকুমা…
--ইন্টারেস্টিং
বাই দ্য ওয়ে, তোমার ঠাকুমার নাম বল, মানে পিতামহী, এবং প্রপিতামহীর। তাহলেই পাক্কা
--বলছেন স্যার, এনক্যয়ারি করবেন না তো?
--তুমি তো একটা আস্ত বা-মাল দেখছি। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কিছু জানা আছে?
আচ্ছা, বল তো ধাক্কা কাকে বলে? এ পর্যন্ত রাজ্য সরকার লোয়ার কোর্ট, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট
মিলিয়ে মোট কতোগুলো ধাক্কা খেয়েছে?
--স্যার, আপনি মাইরি বি-প্রতিক্রিয়াশীলদের মত প্রশ্ন করছেন…আপনাকে কিন্তু লটকে দেবে স্যার,
ওই জুজুতে, ওরাও দিত স্যার, আর এরাও শিখে নিয়েছে স্যার, বালের চাকরিটা আমাকে দেবেন
স্যার? না হলে কিন্তু জুজু লেলিয়ে দেব...
--অ্যাই, অ্যাই, বাঁড়া চুপ। মুখে ন ইঞ্চি গুঁজে দেব। ওই বি-প্রতিক্রিয়াশীলটা কী?
--কোন এক ‘দা আছেন স্যার, ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশানে একটা করে বি লাগাতে বলেছেন স্যার।
উদাহরণ স্বরূপ স্যার বি-স্বরূপ, না, স্যার বানানটা ভুল হল মনে হচ্ছে স্যার। বি-গাদন স্যার। যেটা
আপনি আমাকে দিচ্ছেন স্যার। আমিও এট্টু দিচ্ছি স্যার। উনি কিন্তু এরকম সিচুয়েশানেই লাগাতে
বলেছেন, স্যার...সত্যি সত্যি লাগাতে...
--বাঁড়া চুপ। চুপ বাঁড়া।
সেদিন ভোরে পা বাড়িয়ে ঘর্মবর্ষণের আগে এরকম একটা কথোপকথন কল্পনা করে সে নিজের মধ্যে নিজেই খানিকটা হেসে লেটে পুটে নিল। আর বেরোতেই নিজের ল্যাজে নিজেরই পা রাখল। মেঘলা হয়ে আছে, না, না, হয়ে থাকবে কেন? ইমপারেটিভ নয়। আকাশ মেঘলা করে আছে। কেউ একটা পিছু নিচ্ছে।বৃষ্টি পড়তে পারে ভেবে যারা হাতে ছাতা, বা কানটুপি দেওয়া উইন্ড চিটার নেয়, সেরকমই একজন।
অ্যাই, বুলবুলি নিয়ে কোন প্রশ্ন হয় নি… দাঁড়াও, দেখাচ্ছি…
রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায়
১০।
--বল, বর্গীদের আসার টেন্টেটিভ টাইম কোনটা?
--বল দেখি, সবচেয়ে বড় জুজু কী?
--জানি না, স্যার। জুজুর দিব্যি…
--ভাব, ভাবতে শেখ। ভাবতে শেখাটাও একটা প্রক্রিয়া
--স্যার, ভাবতে পারছি না, মানে পারতে শিখিনি স্যার!
--জুজুর নাম মাওবাদ
--স্যার, সেটা কী?
--বল, বর্গীদের আসার টেন্টেটিভ টাইম কোনটা?
--স্যার, এনি টাইম অ্যান্ড এভ্রি টাইম, ছড়া কাটলেই হল, মা, ঠাকুমা…
--ইন্টারেস্টিং
বাই দ্য ওয়ে, তোমার ঠাকুমার নাম বল, মানে পিতামহী, এবং প্রপিতামহীর। তাহলেই পাক্কা
--বলছেন স্যার, এনক্যয়ারি করবেন না তো?
--তুমি তো একটা আস্ত বা-মাল দেখছি। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স কিছু জানা আছে?
আচ্ছা, বল তো ধাক্কা কাকে বলে? এ পর্যন্ত রাজ্য সরকার লোয়ার কোর্ট, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট
মিলিয়ে মোট কতোগুলো ধাক্কা খেয়েছে?
--স্যার, আপনি মাইরি বি-প্রতিক্রিয়াশীলদের মত প্রশ্ন করছেন…আপনাকে কিন্তু লটকে দেবে স্যার,
ওই জুজুতে, ওরাও দিত স্যার, আর এরাও শিখে নিয়েছে স্যার, বালের চাকরিটা আমাকে দেবেন
স্যার? না হলে কিন্তু জুজু লেলিয়ে দেব...
--অ্যাই, অ্যাই, বাঁড়া চুপ। মুখে ন ইঞ্চি গুঁজে দেব। ওই বি-প্রতিক্রিয়াশীলটা কী?
--কোন এক ‘দা আছেন স্যার, ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশানে একটা করে বি লাগাতে বলেছেন স্যার।
উদাহরণ স্বরূপ স্যার বি-স্বরূপ, না, স্যার বানানটা ভুল হল মনে হচ্ছে স্যার। বি-গাদন স্যার। যেটা
আপনি আমাকে দিচ্ছেন স্যার। আমিও এট্টু দিচ্ছি স্যার। উনি কিন্তু এরকম সিচুয়েশানেই লাগাতে
বলেছেন, স্যার...সত্যি সত্যি লাগাতে...
--বাঁড়া চুপ। চুপ বাঁড়া।
সেদিন ভোরে পা বাড়িয়ে ঘর্মবর্ষণের আগে এরকম একটা কথোপকথন কল্পনা করে সে নিজের মধ্যে নিজেই খানিকটা হেসে লেটে পুটে নিল। আর বেরোতেই নিজের ল্যাজে নিজেরই পা রাখল। মেঘলা হয়ে আছে, না, না, হয়ে থাকবে কেন? ইমপারেটিভ নয়। আকাশ মেঘলা করে আছে। কেউ একটা পিছু নিচ্ছে।বৃষ্টি পড়তে পারে ভেবে যারা হাতে ছাতা, বা কানটুপি দেওয়া উইন্ড চিটার নেয়, সেরকমই একজন।
অ্যাই, বুলবুলি নিয়ে কোন প্রশ্ন হয় নি… দাঁড়াও, দেখাচ্ছি…
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন