খাঁচার ভেতর অচিন পাখি
রাজীব দত্ত
পাখিরা মাটিতেও থাকে, আকাশেও থাকে। আর আমি পাখিদের দিকে সাবানে চোখ ধুয়ে নিয়ে আকাশে পাখি গুনি। সাবানে চোখ ধুয়ে নিয়ে মাটিতে পাখি গুনি। পাখিরা আড়াল থেকে আমাকে দেখে। আর আমি পাখিদৃষ্টিতে একটু একটু করে ভেঙে পড়ি। আমার ভেতরে থেকে সরিসৃপ বেরিয়ে এসে মাটিতে হেঁটে হেঁটে পক্ষীবিষ্টা খায়। কুণ্ডলি পাকিয়ে ঘুমায়। এইভাবে যে দৃশ্য সৃষ্টি হয়, পৃথিবীতে তা হামেশাই ঘটে। তাই যারা আমার দিকে দ্বিতীয়বার তাকায় তারা নিতান্তই গাড়ল।
সকালে কুণ্ডলি ভেঙে গেলে আমি ফুলতোলা জাম পড়ে নিই। জামায় বেগুনী ফুলের পাশে নীল পাতা। আমি চোখে সুন্দরবন দেখি। আরো সুন্দর লাগার জন্য গায়ে আতর মাখি। চোখে সুর্মা। আর তখনই দেখি, যে ঘরের বসার রুমের দেয়ালে হরিণের চামড়া, তার শোবার ঘরেই ময়ুরের পালকের হাতপাখা। আমি পাকা সেগুন কাঠের চেয়ারে বসে সেই পাখার বাতাস খাই। সঙ্গে বেলের শরবত। এতে সুন্দরবন সকাল সার্থক হই। আমি আর চিড়িয়াখানায় যাই না। পাঁচ টাকার চিনাবাদাম ভাজা কিনে রাস্তায় ছুঁড়ে দিই। এতে যে পাঁচটা কাক আসে তাদের চিনতে পারি না। কিন্তু বুঝতে পারি, আমার টারজান দেখা হয়নি অনেকদিন। এইবার মিরপুর যাবার আগে দেখে নিবো।
শুনছি, চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন। গার্ডেন মানে বাগান। বাগানে ফুল লতাপাতা থাকে। ফুল সুন্দর এবং লতাপাতায় ভিটামিন প্রচুর। খাওয়া দরকার। খাওয়ার আগে দেখা। দেখার পর সোজা গোবিন্দতে। ওইখানে ভালো নিরামিষ পাক হয়। নিরামিষের পর সুরভী জর্দা দিয়ে পান। পান মানে ধুমপান না। মহেশখালীর পান। যেইটা গাছে ধরে। ভাবছি মংকে বলে একবার মহেশখালীতে পানের বরজ দেখে আসবো। বরজ দেখেই পান খাওয়া ভালো। বরকত হয়।
এইভাবে বিকেল পড়ে আসলে, কাঠাল গাছ দেখার পর মনে হয়। এইখানেই চড়ুইপাখি থাকে। আমিও দাঁড়িয়ে থাকি। চড়ুঁইপাখি দেখি। মনে হচ্ছে এই গাছটা সন্ধ্যাবেলায় অন্তত কাঠাল গাছ না। পাখি গাছ। চড়ুইপাখি গাছ। আমি নিরামিষের ঢেঁকুর তুলতে তুলতে কাঁচা সুপুরি দেয়া জর্দার পান চিবাতে চিবাতে চড়ুই পাখি দেখছি। আমার গায়ে সবুজ জামা। জামায় বেগুনী ফুলের পাশে নীল নীল পাতা। আমার কুণ্ডলী ভেঙ্গে গেছে। লেজ নড়ছে। আমার মনে পড়ছে চোখে সকালে সুর্মা পড়েছিলাম। গায়ে আতর। তারপর এখন পাখি দেখছি।
পাখিরা বাদাম খায় ভালো। ভাবছি, টাকা দিয়ে বড়সড়ো একটা বাদাম বাগানও কিনবো। সামান্য তেলে ভেজে বিকেলে রাস্তায় বেরুবো আর ছিটিয়ে দিয়ে পাখি গুণবো। আর লাইফবয় দিয়ে ধোয়া কুলি করে আসা মুখে গান করবো- খাঁচার ভেতর অচিন পাখি...
আমার ভালো লাগবে।
পাখিরা বাদাম খায় ভালো। ভাবছি, টাকা দিয়ে বড়সড়ো একটা বাদাম বাগানও কিনবো। সামান্য তেলে ভেজে বিকেলে রাস্তায় বেরুবো আর ছিটিয়ে দিয়ে পাখি গুণবো।
হয়নি অনেকদিন। এইবার মিরপুর যাবার আগে দেখে নিবো।
পাখিরা মাটিতেও থাকে, আকাশেও থাকে। আর আমি পাখিদের দিকে সাবানে চোখ ধুয়ে নিয়ে আকাশে পাখি গুনি। সাবানে চোখ ধুয়ে নিয়ে মাটিতে পাখি গুনি। পাখিরা আড়াল থেকে আমাকে দেখে। আর আমি পাখিদৃষ্টিতে একটু একটু করে ভেঙে পড়ি। আমার ভেতরে থেকে সরিসৃপ বেরিয়ে এসে মাটিতে হেঁটে হেঁটে পক্ষীবিষ্টা খায়। কুণ্ডলি পাকিয়ে ঘুমায়। এইভাবে যে দৃশ্য সৃষ্টি হয়, পৃথিবীতে তা হামেশাই ঘটে। তাই যারা আমার দিকে দ্বিতীয়বার তাকায় তারা নিতান্তই গাড়ল।
সকালে কুণ্ডলি ভেঙে গেলে আমি ফুলতোলা জাম পড়ে নিই। জামায় বেগুনী ফুলের পাশে নীল পাতা। আমি চোখে সুন্দরবন দেখি। আরো সুন্দর লাগার জন্য গায়ে আতর মাখি। চোখে সুর্মা। আর তখনই দেখি, যে ঘরের বসার রুমের দেয়ালে হরিণের চামড়া, তার শোবার ঘরেই ময়ুরের পালকের হাতপাখা। আমি পাকা সেগুন কাঠের চেয়ারে বসে সেই পাখার বাতাস খাই। সঙ্গে বেলের শরবত। এতে সুন্দরবন সকাল সার্থক হই। আমি আর চিড়িয়াখানায় যাই না। পাঁচ টাকার চিনাবাদাম ভাজা কিনে রাস্তায় ছুঁড়ে দিই। এতে যে পাঁচটা কাক আসে তাদের চিনতে পারি না। কিন্তু বুঝতে পারি, আমার টারজান দেখা হয়নি অনেকদিন। এইবার মিরপুর যাবার আগে দেখে নিবো।
শুনছি, চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন। গার্ডেন মানে বাগান। বাগানে ফুল লতাপাতা থাকে। ফুল সুন্দর এবং লতাপাতায় ভিটামিন প্রচুর। খাওয়া দরকার। খাওয়ার আগে দেখা। দেখার পর সোজা গোবিন্দতে। ওইখানে ভালো নিরামিষ পাক হয়। নিরামিষের পর সুরভী জর্দা দিয়ে পান। পান মানে ধুমপান না। মহেশখালীর পান। যেইটা গাছে ধরে। ভাবছি মংকে বলে একবার মহেশখালীতে পানের বরজ দেখে আসবো। বরজ দেখেই পান খাওয়া ভালো। বরকত হয়।
এইভাবে বিকেল পড়ে আসলে, কাঠাল গাছ দেখার পর মনে হয়। এইখানেই চড়ুইপাখি থাকে। আমিও দাঁড়িয়ে থাকি। চড়ুঁইপাখি দেখি। মনে হচ্ছে এই গাছটা সন্ধ্যাবেলায় অন্তত কাঠাল গাছ না। পাখি গাছ। চড়ুইপাখি গাছ। আমি নিরামিষের ঢেঁকুর তুলতে তুলতে কাঁচা সুপুরি দেয়া জর্দার পান চিবাতে চিবাতে চড়ুই পাখি দেখছি। আমার গায়ে সবুজ জামা। জামায় বেগুনী ফুলের পাশে নীল নীল পাতা। আমার কুণ্ডলী ভেঙ্গে গেছে। লেজ নড়ছে। আমার মনে পড়ছে চোখে সকালে সুর্মা পড়েছিলাম। গায়ে আতর। তারপর এখন পাখি দেখছি।
পাখিরা বাদাম খায় ভালো। ভাবছি, টাকা দিয়ে বড়সড়ো একটা বাদাম বাগানও কিনবো। সামান্য তেলে ভেজে বিকেলে রাস্তায় বেরুবো আর ছিটিয়ে দিয়ে পাখি গুণবো। আর লাইফবয় দিয়ে ধোয়া কুলি করে আসা মুখে গান করবো- খাঁচার ভেতর অচিন পাখি...
আমার ভালো লাগবে।
পাখিরা বাদাম খায় ভালো। ভাবছি, টাকা দিয়ে বড়সড়ো একটা বাদাম বাগানও কিনবো। সামান্য তেলে ভেজে বিকেলে রাস্তায় বেরুবো আর ছিটিয়ে দিয়ে পাখি গুণবো।
হয়নি অনেকদিন। এইবার মিরপুর যাবার আগে দেখে নিবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন