আষাঢ়ে গপ্পো
অনুপম মুখোপাধ্যায়
দোলন যেন বেল বাজার অপেক্ষাতেই ছিল । সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে দিল । এবং প্রশ্ন, ‘ভিজেছো তো ?’
জুবিন উত্তর দিল, ‘না না । ট্যাক্সি নিয়ে নিয়েছিলাম । এই গলির মুখ থেকে একটু ভিজতে হল । তেমন কিছু না । বৃষ্টি এখন কমে এসেছে ...’
‘কোথায় কমেছে ! কী শব্দ হচ্ছে বাবা !’
জুবিন হেসে বলল, ‘বাড়ির ভেতরে শব্দ বেশিই মনে হয় । একটু বৃষ্টিতে ভেজা স্কিনের পক্ষে ভালো । তুমি খেয়েছ ?’
‘ন্যাকামি হচ্ছে । যাও চেঞ্জ করে নাও ।’
‘আগে খেয়ে নিই । খিদে পেয়েছে । পরে চেঞ্জ করছি । বা ...’ চোখ টিপল , ‘করছি না ।’
‘শয়তান । আজ ওসব হবে না । আমার ... র্যাশ হয়েছে ।’
‘সেকি ! ওষুধ দিল যে ডাক্তার ! আবার সেই ...’
‘হুঁ । হাতমুখ ধুয়ে এসো । খাবার দিচ্ছি ।’
হাতমুখ ধুয়ে জুবিন টেবিলে এসে বসল । দুটো বেডরুম একটা কিচেনের ছিমছাম সুখের আদল । এখান থেকে কিচেনটা দেখা যায় । দোলন খাবার গরম করছে । আজ অনেক রাত হয়ে গেল । এত রাত অবধি মেয়েটা না খেয়ে বসে আছে তার জন্য ... জুবিনের খুব খারাপ লাগছিল । বৃষ্টিটা তাকে আজ বাঁচিয়ে দিল । কিন্তু এভাবে আর কতদিন ...
দোলন খাবার নিয়ে টেবিলে এসে বসল । জুবিন একটা রুটি ছিঁড়ে ডালে ডোবাল । মুখে ভরে বলল, ‘দিন তাহলে আজ কেমন গেল তোমার ?’
দোলন হেসে ফেলল , ‘রুটি ছিঁড়ে রোজ তুমি ঠিক এইভাবে এই কথাটাই বলো ।’
‘তাই ?’
‘হ্যাঁ । দেড় বছর দেখছি । একমাত্র সানডে ছাড়া ।’
জুবিন কিছু বলতে যাচ্ছিল , কলিং বেল বাজলো । জুবিন ঘড়ির দিকে তাকাল । রাত এগারোটা পাঁচ । অবাক হয়ে বলল, ‘আজ জুবিন এত দেরি করল ফিরতে ! এত রাত তো ও করে না !’
দোলন বলল, ‘ না না । ও ঢের আগে ফিরেছে । খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । ওটা মনে হয় ... দোলন ।’ একটা রুটি ছিঁড়ে ডালে ডোবালো । মুখে ভরে বলল , ‘অফিসেই আটকে গিয়েছিল বৃষ্টিতে ... ফোন করেছিল আজ না-ও ফিরতে পারে ।’
দোলন যেন বেল বাজার অপেক্ষাতেই ছিল । সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে দিল । এবং প্রশ্ন, ‘ভিজেছো তো ?’
জুবিন উত্তর দিল, ‘না না । ট্যাক্সি নিয়ে নিয়েছিলাম । এই গলির মুখ থেকে একটু ভিজতে হল । তেমন কিছু না । বৃষ্টি এখন কমে এসেছে ...’
‘কোথায় কমেছে ! কী শব্দ হচ্ছে বাবা !’
জুবিন হেসে বলল, ‘বাড়ির ভেতরে শব্দ বেশিই মনে হয় । একটু বৃষ্টিতে ভেজা স্কিনের পক্ষে ভালো । তুমি খেয়েছ ?’
‘ন্যাকামি হচ্ছে । যাও চেঞ্জ করে নাও ।’
‘আগে খেয়ে নিই । খিদে পেয়েছে । পরে চেঞ্জ করছি । বা ...’ চোখ টিপল , ‘করছি না ।’
‘শয়তান । আজ ওসব হবে না । আমার ... র্যাশ হয়েছে ।’
‘সেকি ! ওষুধ দিল যে ডাক্তার ! আবার সেই ...’
‘হুঁ । হাতমুখ ধুয়ে এসো । খাবার দিচ্ছি ।’
হাতমুখ ধুয়ে জুবিন টেবিলে এসে বসল । দুটো বেডরুম একটা কিচেনের ছিমছাম সুখের আদল । এখান থেকে কিচেনটা দেখা যায় । দোলন খাবার গরম করছে । আজ অনেক রাত হয়ে গেল । এত রাত অবধি মেয়েটা না খেয়ে বসে আছে তার জন্য ... জুবিনের খুব খারাপ লাগছিল । বৃষ্টিটা তাকে আজ বাঁচিয়ে দিল । কিন্তু এভাবে আর কতদিন ...
দোলন খাবার নিয়ে টেবিলে এসে বসল । জুবিন একটা রুটি ছিঁড়ে ডালে ডোবাল । মুখে ভরে বলল, ‘দিন তাহলে আজ কেমন গেল তোমার ?’
দোলন হেসে ফেলল , ‘রুটি ছিঁড়ে রোজ তুমি ঠিক এইভাবে এই কথাটাই বলো ।’
‘তাই ?’
‘হ্যাঁ । দেড় বছর দেখছি । একমাত্র সানডে ছাড়া ।’
জুবিন কিছু বলতে যাচ্ছিল , কলিং বেল বাজলো । জুবিন ঘড়ির দিকে তাকাল । রাত এগারোটা পাঁচ । অবাক হয়ে বলল, ‘আজ জুবিন এত দেরি করল ফিরতে ! এত রাত তো ও করে না !’
দোলন বলল, ‘ না না । ও ঢের আগে ফিরেছে । খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । ওটা মনে হয় ... দোলন ।’ একটা রুটি ছিঁড়ে ডালে ডোবালো । মুখে ভরে বলল , ‘অফিসেই আটকে গিয়েছিল বৃষ্টিতে ... ফোন করেছিল আজ না-ও ফিরতে পারে ।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন