মুক্তগদ্য
সৈয়দ শাখাওয়াৎ
তুমি একটা আড়াল খুঁজছ
জানি, তুমি একটা আড়াল খুঁজছো, একটা পুঁথিপাঠ সন্ধ্যাবেলায় অল্প আলোর ভেতর কারো দিকে গোপনে চেয়ে দ্যাখা আড়ালের মতো। আড়ালটা মুক্তোর মতো চিকচিক চিকচিক করতে করতে ক্যামন যেন একটা দুঃখ তৈরী করবে, দূর থেকে দূরে ল্যাম্পপোস্ট থেকে ছিড়ে ছিড়ে আসা আলোর মতো...তা তুমি যেভাবে দ্যাখতে চাও-আলোটা তোমার মুখের উপর একটা আবছায়া তৈরী করবে, একটা বাড়তি সৌন্দর্য। এরকম মায়া মায়া আলোর ভেতর তুমি সারাটা দিন থাকতে চাও, সে আমি জানি। সেদিন বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, একটা পুরো আকাশ ভেঙে জল ভাঙার শব্দ তুমি একা একা শুনেছ, একটা ঝুপঅলা গাছের নিচে বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি। এটা এক ধরণের স্বার্থপরতা, তাই না ? কেন তুমি এতটা স্বার্থপর হবে বলো? ধর, এরকম বারবার তুমি একটা আড়ালের ভেতর থেকে বের হয়ে একটা নতুন আড়ালে ঢুকে যাবার তীব্র বাসনায় নতুন আড়ালে ঢুকে যাবার তীব্র বাসনায় তুমি আর কত আড়াল হবে। প্রকৃতঅর্থে নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা ছায়ার সাথে কি আর আড়াল আড়াল খেলা যায়?
এইযে দলে দলে মানুষ হেঁটে যায় একেকটা বিদ্রোহের আগুন বুকে নিয়ে, তাদের মুখগুলো দ্যাখো, ওখানে শেষ বিকেলের রোদ এসে উঁকিঝুঁকি দ্যায়। একটা বাড়তি ক্ষোভ ওদের চোখে মুখে খেলা করে। তোমার সিনেমা শরীর থেকে রোদ ঝরে না কখনো। শুধূ ল্যাম্পপোস্ট আলোর বাড়তি সৌন্দর্য ছাড়া। এমনটা ভাবা কী খুব যৌক্তিক নয়? সন্ধ্যেবেলা ছাড়া যে তোমার ঘুম ভাঙে না! তুমি জানো না, এই বিকলাঙ্গ সময়ের ভীড় ঠেলে যেকজন মানুষ উঠে দাঁড়ায় বিপুল সাহসে তাদের হাতের উপর হাত রাখা কতটা সহজ! কতটা সহজ একটা রুটি চায়ে ভিজিয়ে খেতে না খেতেই একটা সিগারেট হাতে পুরোটা রোদ ঢুকে যায় মুখের ভেতর।কেননা একবুক আগুন না জ্বলে উঠলে এরকম আগুনখেকো বুক হয় নারে!তুমি একটা আড়াল খোঁজো। বিছানা বালিশ ঠেলে ঠেলে তুমি একটা বৃহন্নলা প্রেম খোঁজো।
তুমি কি জানো এই আড়ালে আবডালে কতগুলো মৃত্যু কথা বলে? অজস্র ঘুমের ভেতর আলো যা সঞ্চিত উজাড় করে করে একটা রক্তঝরা দিন আসে। ওখানে শুধু হুইসেল বেজে বেজে ওঠে-লংমার্চ!লংমার্চ! একটা দেয়াল ঘড়ি ছিটকে পড়লে অনেকগুলো কাঁচ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তুমি একটা আড়াল খুঁজছো, ভাঙা কাঁচে মুখ দেখলে বুঝতে পারতে মানুষ আসলে কতবড় একটা মুখোশ! রাগ করলে, চলে যাচ্ছো? এসব কথার কোনোটাই যে তোমাকে বলা হয়নি....বড় স্বার্থপর মনে হয় তোমাকে। তোমার এনক্রিপ্টেড চেহারায় এর কোনো ছাপই পড়ে না । আমি জানি, একটা নম্বরের জন্য বারবার ডিজিট ফেল করছো তুমি। স্মার্টফোনে ঘা দিয়ে এখন তুমি চলে যাবে ;জানি। আরো জানি তোমার আড়ালটুকু ইদানিং হারিয়ে যায়...শত সহস্র তোমার মতো সবাই -ই চলে যায়! আর এদিকে লুট হয়ে যাচ্ছে শস্যের ক্ষেত, ফলবতী রোদের আঙুল, বেদনাবহুল ধারাপাতে। পুড়ে যায় দূর্বাদল, বনের চিরল বুক কেটে কেটে উবে যায় নদী-আর তুমি একটা আড়াল খুঁজছো!
তুমি একটা আড়াল খুঁজছ
জানি, তুমি একটা আড়াল খুঁজছো, একটা পুঁথিপাঠ সন্ধ্যাবেলায় অল্প আলোর ভেতর কারো দিকে গোপনে চেয়ে দ্যাখা আড়ালের মতো। আড়ালটা মুক্তোর মতো চিকচিক চিকচিক করতে করতে ক্যামন যেন একটা দুঃখ তৈরী করবে, দূর থেকে দূরে ল্যাম্পপোস্ট থেকে ছিড়ে ছিড়ে আসা আলোর মতো...তা তুমি যেভাবে দ্যাখতে চাও-আলোটা তোমার মুখের উপর একটা আবছায়া তৈরী করবে, একটা বাড়তি সৌন্দর্য। এরকম মায়া মায়া আলোর ভেতর তুমি সারাটা দিন থাকতে চাও, সে আমি জানি। সেদিন বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়, একটা পুরো আকাশ ভেঙে জল ভাঙার শব্দ তুমি একা একা শুনেছ, একটা ঝুপঅলা গাছের নিচে বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি। এটা এক ধরণের স্বার্থপরতা, তাই না ? কেন তুমি এতটা স্বার্থপর হবে বলো? ধর, এরকম বারবার তুমি একটা আড়ালের ভেতর থেকে বের হয়ে একটা নতুন আড়ালে ঢুকে যাবার তীব্র বাসনায় নতুন আড়ালে ঢুকে যাবার তীব্র বাসনায় তুমি আর কত আড়াল হবে। প্রকৃতঅর্থে নিজের ভেতর থেকে বের হয়ে আসা ছায়ার সাথে কি আর আড়াল আড়াল খেলা যায়?
এইযে দলে দলে মানুষ হেঁটে যায় একেকটা বিদ্রোহের আগুন বুকে নিয়ে, তাদের মুখগুলো দ্যাখো, ওখানে শেষ বিকেলের রোদ এসে উঁকিঝুঁকি দ্যায়। একটা বাড়তি ক্ষোভ ওদের চোখে মুখে খেলা করে। তোমার সিনেমা শরীর থেকে রোদ ঝরে না কখনো। শুধূ ল্যাম্পপোস্ট আলোর বাড়তি সৌন্দর্য ছাড়া। এমনটা ভাবা কী খুব যৌক্তিক নয়? সন্ধ্যেবেলা ছাড়া যে তোমার ঘুম ভাঙে না! তুমি জানো না, এই বিকলাঙ্গ সময়ের ভীড় ঠেলে যেকজন মানুষ উঠে দাঁড়ায় বিপুল সাহসে তাদের হাতের উপর হাত রাখা কতটা সহজ! কতটা সহজ একটা রুটি চায়ে ভিজিয়ে খেতে না খেতেই একটা সিগারেট হাতে পুরোটা রোদ ঢুকে যায় মুখের ভেতর।কেননা একবুক আগুন না জ্বলে উঠলে এরকম আগুনখেকো বুক হয় নারে!তুমি একটা আড়াল খোঁজো। বিছানা বালিশ ঠেলে ঠেলে তুমি একটা বৃহন্নলা প্রেম খোঁজো।
তুমি কি জানো এই আড়ালে আবডালে কতগুলো মৃত্যু কথা বলে? অজস্র ঘুমের ভেতর আলো যা সঞ্চিত উজাড় করে করে একটা রক্তঝরা দিন আসে। ওখানে শুধু হুইসেল বেজে বেজে ওঠে-লংমার্চ!লংমার্চ! একটা দেয়াল ঘড়ি ছিটকে পড়লে অনেকগুলো কাঁচ টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তুমি একটা আড়াল খুঁজছো, ভাঙা কাঁচে মুখ দেখলে বুঝতে পারতে মানুষ আসলে কতবড় একটা মুখোশ! রাগ করলে, চলে যাচ্ছো? এসব কথার কোনোটাই যে তোমাকে বলা হয়নি....বড় স্বার্থপর মনে হয় তোমাকে। তোমার এনক্রিপ্টেড চেহারায় এর কোনো ছাপই পড়ে না । আমি জানি, একটা নম্বরের জন্য বারবার ডিজিট ফেল করছো তুমি। স্মার্টফোনে ঘা দিয়ে এখন তুমি চলে যাবে ;জানি। আরো জানি তোমার আড়ালটুকু ইদানিং হারিয়ে যায়...শত সহস্র তোমার মতো সবাই -ই চলে যায়! আর এদিকে লুট হয়ে যাচ্ছে শস্যের ক্ষেত, ফলবতী রোদের আঙুল, বেদনাবহুল ধারাপাতে। পুড়ে যায় দূর্বাদল, বনের চিরল বুক কেটে কেটে উবে যায় নদী-আর তুমি একটা আড়াল খুঁজছো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন