অকারণ আজ অভিমান জমে নিজের উপর
রোমেল রহমান
ছাড়তে ছাড়তে ছেড়েই দিলাম ঘরের ছায়া।
ছাড়তে ছাড়তে ছেড়েই দিলাম ঘরের ছায়া।
নারীর মত নিকোটিনের মধুর মায়া,
ভোরের আজান পাতলা ঘুমে স্বপ্ন খোঁজা।
ছাড়তে ছাড়তে ছেড়েই দিলাম
গৃহস্থলির সকল নিয়ম,
লতিয়ে ওঠা পিছন টানের দড়িদড়া!
তোমার ঠোঁটে কথা শোনারঅমোঘ নেশা।
জ্বরের ঘোরে কপাল চুলে আদ্র আঙুল জলের ধারা
ছেড়েই দিলাম,
ইলিশ মাছের চিকন ঝোলেপটোল চেরা ভাতের ক্ষুধা।
সন্ধ্যা বেলা অন্ধকারেরগন্ধ শোকা
নারীর দেহ শাড়ির স্নেহেলটকে থাকার শিল্পকলা
বুঝতে শিখে
তোমার নামে ভরিয়ে ফেলা খাতার পাতায়
ছেড়েই দিলাম
লেখা-যোখার কায়দা-কানুন।
গাঁজার মতো পুড়ছে এখন জীবন ধোঁয়া
মানুষ দেখার মাতাল হাওয়ায়
কাঁপছে আমার জামার হাতা।
পথে পথেই মানুষ দ্যাখা
মানুষ পড়ার
গোপন ব্যাঁথা।
তোমার আমার ঘর পাতাবারভাবনা নিয়ে
রোপণ করা প্রেমের চারা
হটাৎ খরায় শুকিয়ে গ্যালো মাঠের মরা!
ছাড়তে ছাড়তে ছেড়েই দিলাম
সবার মতো বেঁচে থাকা।
নিজের ভ্রূণ নিজের হাতে খরচ করে
সবার থেকে আড়াল হয়ে বিস্মৃত একসংকলনের
পেছন পাতায় হারিয়ে গিয়ে
জানিয়ে দিলাম,
একলা আমার সকল ছাড়া বেঁচে থাকা।
বেশি ভালো!
উত্তরমুছুন