পাগলের জার্নাল-১৩
গৌরব চক্রবর্তী
বিষণ্ণ সিরিজের ধুলো নিশ্বাসে গড়াগড়ি খায়
মাথার ভেতরে জ্বালিয়ে দিয়েছে একশো ওয়াটের জঙ্গল
রাত্রি গভীর হলে শহর হানা দেয় বেডরুমে
ভেসে ওঠে এসেম্বল্ড বিরল পানীয়, নীলভ্রূণ
সারারাত উরুতে মরিয়া ঝিলিক দিলো তান্ত্রিক
উড়ন্ত কুয়াশায় শেষবার পেয়ালাভর্তি চাঁদ উঠল না
রোদ্দুরে মুদ্রিত হচ্ছি জেনে অন্ধকার গেঁথে দিলো সারা দেহে কেউ
একবার কে যেন আমায় উচ্চৈঃস্বরে অচেনা নামে ডাকলো...
চোখ থেকে লুপ্ত হয়ে গেল তরল প্রজাপতি, সন্ধ্যার গিট,
মানুষমুখো গাছ--- সমস্ত, জানলার পাশে পড়ে
প্রলুব্ধ অক্ষর থেকে চুইয়ে নামছে ফরাসি -রঙের নৌকো
অতি সূক্ষ্ম কোনও দেশ দৈর্ঘ্য -প্রস্থে গোধূলি দাগের মতো, বোবা
সচল নীলের পাশে মাথাগোঁজা ধুসর ইশারা
শহর ছাড়িয়ে চলে গেছে জ্যোৎস্নার আনত মসৃণ ঢল
যেখানে ধুলোয় গড়াগড়ি খাবে বলে ছুটে এল ধবল রেটিনা,
... ভায়া হয়ে আসা চোখ, গাঢ় নাভি, প্রেতের নিশ্বাস...
গৌরব চক্রবর্তী
বিষণ্ণ সিরিজের ধুলো নিশ্বাসে গড়াগড়ি খায়
মাথার ভেতরে জ্বালিয়ে দিয়েছে একশো ওয়াটের জঙ্গল
রাত্রি গভীর হলে শহর হানা দেয় বেডরুমে
ভেসে ওঠে এসেম্বল্ড বিরল পানীয়, নীলভ্রূণ
সারারাত উরুতে মরিয়া ঝিলিক দিলো তান্ত্রিক
উড়ন্ত কুয়াশায় শেষবার পেয়ালাভর্তি চাঁদ উঠল না
রোদ্দুরে মুদ্রিত হচ্ছি জেনে অন্ধকার গেঁথে দিলো সারা দেহে কেউ
একবার কে যেন আমায় উচ্চৈঃস্বরে অচেনা নামে ডাকলো...
চোখ থেকে লুপ্ত হয়ে গেল তরল প্রজাপতি, সন্ধ্যার গিট,
মানুষমুখো গাছ--- সমস্ত, জানলার পাশে পড়ে
প্রলুব্ধ অক্ষর থেকে চুইয়ে নামছে ফরাসি -রঙের নৌকো
অতি সূক্ষ্ম কোনও দেশ দৈর্ঘ্য -প্রস্থে গোধূলি দাগের মতো, বোবা
সচল নীলের পাশে মাথাগোঁজা ধুসর ইশারা
শহর ছাড়িয়ে চলে গেছে জ্যোৎস্নার আনত মসৃণ ঢল
যেখানে ধুলোয় গড়াগড়ি খাবে বলে ছুটে এল ধবল রেটিনা,
... ভায়া হয়ে আসা চোখ, গাঢ় নাভি, প্রেতের নিশ্বাস...
Tomar ei pagoler Journal series er protita lekhai onyorokom. Protitai proshongshar dabi rakhe
উত্তরমুছুন"বিষণ্ণ সিরিজের ধুলো নিশ্বাসে গড়াগড়ি খায়
উত্তরমুছুনমাথার ভেতরে জ্বালিয়ে দিয়েছে একশো ওয়াটের জঙ্গল "
শুরুতেই এই ঝাঁপ এই নিতান্ত ডুবের টগবগ আলো দিয়ে জংগুলে নিশ্বাস জ্বালানোর খতিয়ান এক কোপে অনেকটা ফাঁক খুঁড়ে দেবার মত। বাকি প্রশ্বাস ও প্রশ্বাসে মিশে থাকা রক্ত-ঘাম-স্যালাইভা কবিতার ইতিউতি ঘুমিয়ে আছে ।
"চোখ থেকে লুপ্ত হয়ে গেল তরল প্রজাপতি, সন্ধ্যার গিট,
মানুষমুখো গাছ--- সমস্ত, জানলার পাশে পড়ে
প্রলুব্ধ অক্ষর থেকে চুইয়ে নামছে ফরাসি -রঙের নৌকো "
প্রবল মায়াপিষ্ট এই অনুভব আর আবেগের গভীর চার্জ দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে
"যেখানে ধুলোয় গড়াগড়ি খাবে বলে ছুটে এল ধবল রেটিনা,
... ভায়া হয়ে আসা চোখ, গাঢ় নাভি, প্রেতের নিশ্বাস..."
কবিতার পরতে পরতে ষড়যন্ত্রের বিহ্বলতা ছেয়ে থাকে কবিতার শরীর ।পাগলামির এই জার্নালীয় প্রকাশ বহুমুখী আকরে ফুটে উঠুক ।
গৌরবের কলম খুবই সম্ভবনাময় ।
আরেকটি কথা অপ্রসংগত বলতে চাই, প্রায় পৌনে দু' বছর ধরে কিছু বিশেষ কবিতার ওপর কাজ করছি । "পাগলামির কয়েক ঝলক" সেই সিরিজটির নাম । আশা করি শীঘ্রই বই হিসেবে আনতে পারব সকলের কাছে । এই কবিতায় তার কয়েক ঝলক অণুপ্রান পেলাম এবং খুশী হলাম
ভালো লেগেছে,গৌরব।
উত্তরমুছুন