গুচ্ছ কবিতা
কৌশিক ভাদুড়ী
চা দোকান
চা দোকানের ছেলে-
চারটে গ্রাহক এক মিনিটে
হাঁকে বন---অ বলে
দেখেছি ওকে বনমালী ডেকে
ঠোঁটটি টিপে রেখে
ঝট করে হাফ গ্লাস চা রাখে
ওর মুখে যে খুশি
নামের সঙ্গে শব্দ ফাউ পেয়ে
তাতে গণিত কষি
সাদর নামক শব্দ বিষম
ধ্বনিত করে বেঁটে
উপেক্ষা ও অবজ্ঞা হয় কম
গাঁ গঞ্জের লোক
পেটের দায় তাড়ায় সন্তান
এড়ায় না চোখ
একা বলে জিভে মলম জ্ঞান।
যে শেষে
ঘাটের পাদদেশে
কড়াই যে ভাবে ডোবে
শুকনো দুব্বো মাজে
যে ভাব ঘসে ঘসে
পদতল হারাও সে ভাবে
মাটিতে লিলিমাসি
গন্ধ ডলো দুপুর তেঁতুল।
অদূরে ডাকে যে পাখি
শহর ডাহুক বলে
খুশি হবে যদি বলি প্লেন?
ডাকো ওকে ও পিওন
যে আদর সাইকেল
অপাতন বেয়ারিং ক্রিং
শেষ দেবো কুলুঙ্গি মাশুল।
ছোঁয়া
কী ছুঁয়েছি শীতের চামচ
চায়ের গরম কাপ
পাঁউরুটি টোস্টার
মোড়ের দোকান ইলেকট্রিক তার
চাঁইএর মাথায় লাইট
বাচ্চার খোলা পা
পায়ের ডিমে ঠেসে ধরা রেডহট
খন্তায় মাছের আঁশ
মান গোড়ায় ছাই
গৃহ কাঁপিয়ে বয়সবন্দীর পিছুডাক
আর্ট-লাভিং লাইফ
জিআরই স্কোরকার্ড।
গোড়ালি ডোবায় খোয়াবে চাঁদ
ভরাডুবি ইমেল
চোরিছুপা সাধ।
এবং খুঁটেছি নারী স্তনের বোঁটা
তোমার শরীর
বাধ্যবাধক অফলাইন।
দরজা
বলছি না কুকুরের ইনজেকশন
বরং প্রয়োজন
যে ভাবে দরজা খোলায়
মৃদুল হাওয়ায়
অথবা যে ভাবে দরজা ভাঙে
ঝড় তার পর আত্মস্থ
সেরকম আয়েলার মতো নয়
দরজার প্রয়োজন বোঝায়
দরজার স্বয়ম্বর
দরজার আত্মাহুতি দরজার বিলোপ
তেমন বিচ-রিসর্ট নয় সত্যের ভিতর
থাকুক তপোবন বৃক্ষ-পথ
ও এক অকপট দ্বার।
সে রকম সোনার খাঁচা
বাঁচা ডাবল সিঙ্গল মল্ট
গিটার ব্যাঞ্জো সিন্থেসাইসার
তুলি ক্যানভাস কাজু বাদাম
সে রকম বনের পাখি
বল্কল কমণ্ডলু নাম
ঝড়ে পড়া কাঠের ফাঁক
আটকে পড়া আর্ত ডাক
সে রকম সেবাব্রত
আমরা বলিনি লিঙ্গ
বিরাজ স্বগৃহে
বরং বলেছি স্বার্থক লোকাল
ট্রেন বনে ও খাঁচায়
যেমন সত্যনিষ্ঠ বায়ুতে প্রাণ।
হে মানুষ যে তুমি দ্বার খুলে রাখো
হাট--- নারী হও
হে মানুষ যে তুমি সদর্থক বাহক
হও পুরুষ
এবং বার্তা যেহেতু কবিতার যোগ্য
নয় ভুলেও বাতাস
কবিতা হয়ো না
যাপন হয়ে ছাপিয়ে যাও দুর্জন বাঁধ।
কৌশিক ভাদুড়ী
চা দোকান
চা দোকানের ছেলে-
চারটে গ্রাহক এক মিনিটে
হাঁকে বন---অ বলে
দেখেছি ওকে বনমালী ডেকে
ঠোঁটটি টিপে রেখে
ঝট করে হাফ গ্লাস চা রাখে
ওর মুখে যে খুশি
নামের সঙ্গে শব্দ ফাউ পেয়ে
তাতে গণিত কষি
সাদর নামক শব্দ বিষম
ধ্বনিত করে বেঁটে
উপেক্ষা ও অবজ্ঞা হয় কম
গাঁ গঞ্জের লোক
পেটের দায় তাড়ায় সন্তান
এড়ায় না চোখ
একা বলে জিভে মলম জ্ঞান।
যে শেষে
ঘাটের পাদদেশে
কড়াই যে ভাবে ডোবে
শুকনো দুব্বো মাজে
যে ভাব ঘসে ঘসে
পদতল হারাও সে ভাবে
মাটিতে লিলিমাসি
গন্ধ ডলো দুপুর তেঁতুল।
অদূরে ডাকে যে পাখি
শহর ডাহুক বলে
খুশি হবে যদি বলি প্লেন?
ডাকো ওকে ও পিওন
যে আদর সাইকেল
অপাতন বেয়ারিং ক্রিং
শেষ দেবো কুলুঙ্গি মাশুল।
ছোঁয়া
কী ছুঁয়েছি শীতের চামচ
চায়ের গরম কাপ
পাঁউরুটি টোস্টার
মোড়ের দোকান ইলেকট্রিক তার
চাঁইএর মাথায় লাইট
বাচ্চার খোলা পা
পায়ের ডিমে ঠেসে ধরা রেডহট
খন্তায় মাছের আঁশ
মান গোড়ায় ছাই
গৃহ কাঁপিয়ে বয়সবন্দীর পিছুডাক
আর্ট-লাভিং লাইফ
জিআরই স্কোরকার্ড।
গোড়ালি ডোবায় খোয়াবে চাঁদ
ভরাডুবি ইমেল
চোরিছুপা সাধ।
এবং খুঁটেছি নারী স্তনের বোঁটা
তোমার শরীর
বাধ্যবাধক অফলাইন।
দরজা
বলছি না কুকুরের ইনজেকশন
বরং প্রয়োজন
যে ভাবে দরজা খোলায়
মৃদুল হাওয়ায়
অথবা যে ভাবে দরজা ভাঙে
ঝড় তার পর আত্মস্থ
সেরকম আয়েলার মতো নয়
দরজার প্রয়োজন বোঝায়
দরজার স্বয়ম্বর
দরজার আত্মাহুতি দরজার বিলোপ
তেমন বিচ-রিসর্ট নয় সত্যের ভিতর
থাকুক তপোবন বৃক্ষ-পথ
ও এক অকপট দ্বার।
সে রকম সোনার খাঁচা
বাঁচা ডাবল সিঙ্গল মল্ট
গিটার ব্যাঞ্জো সিন্থেসাইসার
তুলি ক্যানভাস কাজু বাদাম
সে রকম বনের পাখি
বল্কল কমণ্ডলু নাম
ঝড়ে পড়া কাঠের ফাঁক
আটকে পড়া আর্ত ডাক
সে রকম সেবাব্রত
আমরা বলিনি লিঙ্গ
বিরাজ স্বগৃহে
বরং বলেছি স্বার্থক লোকাল
ট্রেন বনে ও খাঁচায়
যেমন সত্যনিষ্ঠ বায়ুতে প্রাণ।
হে মানুষ যে তুমি দ্বার খুলে রাখো
হাট--- নারী হও
হে মানুষ যে তুমি সদর্থক বাহক
হও পুরুষ
এবং বার্তা যেহেতু কবিতার যোগ্য
নয় ভুলেও বাতাস
কবিতা হয়ো না
যাপন হয়ে ছাপিয়ে যাও দুর্জন বাঁধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন