সম্পাদকীয়
“লিখছি, অথচ বাড়ির ঠিকানাটা জানা নেই
তুমি ক্রমশ দূরের দিকে ফুটে ওঠো
এমনই কি হওয়ার কথা ছিল?
রুপু...রুপু...দ্যুলোকের মতো দূরে
তুমি কি নীলাভ পা ছুঁয়ে আছ কারো?
তোমার বাড়ির ঠিকানা জানি না রুপু, তবে কি ‘অনন্ত’ লিখে দেবো?”
- শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রিয় কবিরা সব ফেসবুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে – শাশ্বত আকাশের দিকে কিংবা অ্যারিজোনায়, নাকি না জেনে দুদিনের শীতঘুম দিচ্ছে।
আর আমায় ঘুম হয়ে ভালোবেসে যাচ্ছে মা- ভালোবাসা সন্দেহ জমাচ্ছে দিনদিন।
ক্যালেন্ডার বলছে তারিখগুলোর শীত থেকে গ্রীষ্মের দিকে হাঁটার সময়টাই প্রেম এদিকে আমরাও হয়ত প্রতিটা ফুলের মানে আমরা অন্যভাবে বুঝে নিয়েছি।
সময় নিয়ে সমস্যা হলেও তাকে ভুলে গিয়ে আমাদের লিখতে হচ্ছে – ব্যাস্ততায় – ঘুম থামিয়ে একটানা বড় কোনো লেখা নামিয়ে দিচ্ছি দিব্যি। লেখার চাপ কমছে – সময়টা বয়ে যাচ্ছে প্রেম হয়ে।
লেখারা আসলে প্রতিটা হাঁটায় আমার সঙ্গে থাকে আর এরই মধ্যে দুমদাম চলে আসছে ভাষা দিবস, বইমেলা, হলদে শাড়ি ... আমি প্রতিবারের মতই চয়েস করে উঠতে পারছিনা।
লেখারা আমায় অস্থিরমনস্ক ভেবে চলে যাচ্ছে। এভাবেই কি প্রেম যায়? অস্থিরতা আমাদের স্বভাব বদলে ফেলে।
কাটাকুটির খাতায় একটা পরিষ্কার সংখ্যা রেখে গেলাম আপনাদের জন্যে। গদ্য, গপ্পো আর অজস্র কবিতায় ভরে। পুরনো নতুন সব্বাই লিখেছেন। আমার মতন মনখারাপে আচ্ছন্ন না থেকে মনে প্রাণে সংখ্যাটি পড়ুন ...আর আমি চোখ বুজে দেখতে থাকি সেই দেশ – মা ঘূম পাড়াতে ডাকছে যেখানে, কবিতার পাশে অপূর্ব এক ক্লান্তির ঘুম দিচ্ছি আমি... ভালোবাসা সমস্ত লেখায় মিলেমিশে গেছে।
ফেব্রুয়ারীর ভালোবাসা এবং ভালভাষা।
ক্ষেপচুরিয়াসের পক্ষে
রাজর্ষি মজুমদার
রাজর্ষি মজুমদার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন