ম্যাডাম
তন্ময় ভট্টাচার্য
(১)
সল্টলেক আমার ভালো লাগে না। চারদিকে একই মাপের বাড়ি,বেশিরভাগই ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটা ফ্ল্যাটের নীচে পুরু ধুলোয় মোড়া গাড়ি দাঁড় করানো। সমান মাপের রাস্তা এদিক থেকে ওদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আধখেঁচড়া গাছ আর পার্কের হুজ্জতি। সকাল-বিকেল গলায় আইডি ঝোলানো মেয়েরা ছোটাছুটি করছে চাকরির ঠ্যালায়। তবে ওখানকার বেশিরভাগ মেয়েরই ফিগার যে একদম আইডিয়াল,মানতেই হয়। খটখট করতে করতে চুলখোলা মেয়েরা কাঁধে বা পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে আইল্যান্ড প্রদক্ষিণ করছে,যেন বা কোনো মন্দিরের গর্ভগৃহ! ফ্ল্যাটগুলোও বলিহারি! একটা জানলা দিয়ে তাকালে পাশের ফ্ল্যাটের জানলায় ঝোলানো গামছা হামেশাই চোখে পড়ে। খুব প্রয়োজন না হলে ওদিকের ছায়া মাড়াই না আমি। আজ আসতে হয়েছে নিতান্ত ইলিনা’র কথায়। বলেছিলাম কফি হাউসে মিট করতে,রাজি হয়নি। সিটি সেন্টারের কে.এফ.সি.-তে না ঢুকলে নাকি জাত চলে যায়। অগত্যা বিধাননগর স্টেশনে নেমে দাঁড়িয়ে আছি অটোস্ট্যান্ডে।
ইলিনার সঙ্গে এই প্রথম দেখা হবে আমার। অবশ্য এর আগেই মুখ দেখেছি ফেসবুক ঘেঁটে, চ্যাট,ফোন,মেসেজ ইত্যাদি পূর্বরাগও কমপ্লিট। এখন জাস্ট মুখোমুখি পটিয়ে ফেলার পালা। আঁতলামি করে জিনসের সঙ্গে নীলচে একটা কুর্তা পরে এসেছি,চোখে ঠাকুরদা টাইপ ফ্রেম। হাজার হোক,কবিতার লেজ ধরে যখন আলাপ, প্রথম ইম্প্রেশনে লুকটাও সেইমতোই হতে হবে বইকি! ও বলেছে স্কার্ট আর ব্লু টপ পরে আসবে( আমার নীল কুর্তা পরার এটাও একটা কারণ)। ও আসবে লেকটাউনের দিক থেকে। তারপর একসাথে মিট করে যাবো।
(২)
কাল টুপুসের সাথে দেখা করেছি। আমি নড়িনি বিশেষ। ও-ই ছুটে এসেছে বেলঘরিয়ায়। হাজার হোক,মেয়েটা তো আমার ওপর ফিদা! এ’কদিনে বার আষ্টেক প্রপোজ করেছে আমায়। ঝুলিয়ে রেখেছি। এতো সহজে ধরা দিলে ফেঁসে যাবো নির্ঘাত। সন্ধ্যায় টেক্সম্যাকোর রাস্তায় হাঁটছিলাম দু’জনে হাত ধরে। ও বিড়বিড় করে অনেক কথা বলে যাচ্ছিল। বকতেও পারে মাইরি! আমি ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে হুঁ-হাঁ করে যাচ্ছি, এমন সময় সৈকতের বাবা দেখে ফেলে আমাদের। বড়বড় চোখ করে আমায় গিলতে গিলতে সাইকেল নিয়ে চলে যায় সামনে। আমার ইচ্ছে করছিল দৌড়ে কেরিয়ারটা ধরে নাড়িয়ে দিই। শালা তোমার ছেলে তো একটা আতাক্যালানে, বাপের বগলের নীচে গন্ধ শুঁকে বেড়ায়,আমার প্রেমে তোমার এত হুড়কো দেয়া কেন! জানতাম নির্ঘাত আমার বাড়ি বয়ে মা’র কানে তুলবে কথাটা। ভয়ে টুপুসের হাত আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতেই উঁচু হয়ে আমার গালে চুমু খেল মেয়েটা। আমি সাথেসাথে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছি। পা পিছলে ফুটপাথ থেকে পড়ে গিয়ে সে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। বাকি পথ মেয়েটা একটাও কথা বলেনি। ওকে ট্রেনে তুলে দিয়ে মেসেজে ‘সরি’ বলেছি বহুবার,নো রিপ্লাই। সৈকতের বাবার জন্য কাল সন্ধ্যেটা ব্ল্যাক স্পট হয়ে রইল লাইফে। আজ তাই রিফ্রেশমেন্টের জন্য ইলিনার সাথে মিট করাটা বড্ডো জরুরি।
(৩)
ইলিনা ফোন করল জাস্ট। ওর আঙ্কেলের দূরসম্পর্কের শ্বাশুড়ি মারা গেছে। আসবে না তাই। মন খারাপ নাকি! রাগে সিগারেটটা এত দূরে ছুঁড়লাম যে একটা কুকুর কেঁউকেঁউ করে পালিয়ে গেল। একটা বাস ধরে চলে গেলাম রবীন্দ্রসদন। ওখানে রোজ কিছু না কিছু লেগেই থাকে। গিয়ে দেখি সুচিত্রা সেনের স্মরণসভা। ধুর ধুর! কবেকার কোন ধুমসি সাদাকালো অ্যাকট্রেস,মরেছে বেশ হয়েছে। তা নিয়ে এত আদিখ্যেতা কিসের! পাবলিক পারেও বটে! মান্না দে মরল তো রুমাল ভেজাও,সুচিত্রা মরল তো রুমাল ভেজাও...মোমবাতির কোম্পানিগুলো এদের আর রেপের জন্যেই টিকে আছে! যদিও এভাবে অবজ্ঞা দেখান ঠিক না। লোকে আমায় অল্প অল্প করে চিনছে এখন কবি হিসেবে। মুখ বেঁকিয়ে যদি চলে যাই আর চেনা কেউ দেখে ফ্যালে, ফেসবুকে প্রেস্টিজ পাংচার। চোখ বুজে একমিনিট হাতজোড় করে দাঁড়ালাম,প্রাণপণে খিস্তি মেরে নাক টেনে একাকার দশা। একটা সলিড মাল তখন থেকে আমার ওপর লক্ষ্য রাখছিল। এখন এগিয়ে এসে মুখের সামনে মাইক তুলে জিজ্ঞেস করল – “ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?” কান গরম হয়ে গেল আমার। শালা এর জন্য বুক দুলিয়ে ছুটে এসেছে ওই প্রান্ত থেকে! নাকে সর্দি ঘড়ঘড় করে বললাম, “আমি শোকস্তব্ধ। বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না”। আবার প্রশ্ন – “আপনাদের ইয়ং জেনারেশানের কাছে উনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন প্লিজ আমাদের সাথে যদি শেয়ার করেন!” আমি বললাম – “উনি তো কোনো টাইমে বাঁধা পড়েননি। সব বয়েসের সব বাঙালির কাছে উনি সমান পপুলার”। “থ্যাঙ্কস” বলে সরে গেল মেয়েটা। উফফ! ওর সাদা শার্টের ভেতরে লাল স্ট্র্যাপটা বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার। এও নিশ্চয়ই সল্টলেকের মাল! বিরক্তি আর ভালোলাগার চানাচুর মেশানো একটা মুখ করে তাকালাম সুচিত্রা সেনের দিকে। ছোটবেলায় ঠাম্মার সাথে বেশ কয়েকটা ছবি দেখেছি ইনার। শাড়ি পরে ল্যাতপ্যাত করতে করতে সে এক যাচ্ছেতাই ব্যাপার। আজকাল ডাক্তাররা কেন যে ঘুমের ওষুধ হিসেবে সে-আমলের সিনেমা দেখতে বলে না সেটাই আশ্চর্যের!
নন্দনে ঢুকলাম। সেখানেও ছবি,মালা পরাচ্ছে অনেকেই। দূর থেকে একটা মেয়েকে খুব চেনা-চেনা লাগলো। কোথায় যেন দেখেছি। মোবাইলে ফেসবুক খুলে ইলিনার প্রোফাইলে যেতেই থ মেরে গেলাম। মেয়েটা এখানে কি করছে! দিব্যি সানগ্লাস আর টিশার্ট পরা একটা ছেলের হাত আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছে সুচিত্রা সেনের সামনে। ওর না আজ আঙ্কেলের শ্বাশুড়ির... আর ভাবতে পারলাম না। মেট্রো ধরে দমদম,সেখান থেকে ট্রেন ধরে সোজা বেলঘরিয়া। বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে শুনলাম মা কম্পিউটারে গান চালিয়েছে – “কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!”
(১)
সল্টলেক আমার ভালো লাগে না। চারদিকে একই মাপের বাড়ি,বেশিরভাগই ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটা ফ্ল্যাটের নীচে পুরু ধুলোয় মোড়া গাড়ি দাঁড় করানো। সমান মাপের রাস্তা এদিক থেকে ওদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আধখেঁচড়া গাছ আর পার্কের হুজ্জতি। সকাল-বিকেল গলায় আইডি ঝোলানো মেয়েরা ছোটাছুটি করছে চাকরির ঠ্যালায়। তবে ওখানকার বেশিরভাগ মেয়েরই ফিগার যে একদম আইডিয়াল,মানতেই হয়। খটখট করতে করতে চুলখোলা মেয়েরা কাঁধে বা পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে আইল্যান্ড প্রদক্ষিণ করছে,যেন বা কোনো মন্দিরের গর্ভগৃহ! ফ্ল্যাটগুলোও বলিহারি! একটা জানলা দিয়ে তাকালে পাশের ফ্ল্যাটের জানলায় ঝোলানো গামছা হামেশাই চোখে পড়ে। খুব প্রয়োজন না হলে ওদিকের ছায়া মাড়াই না আমি। আজ আসতে হয়েছে নিতান্ত ইলিনা’র কথায়। বলেছিলাম কফি হাউসে মিট করতে,রাজি হয়নি। সিটি সেন্টারের কে.এফ.সি.-তে না ঢুকলে নাকি জাত চলে যায়। অগত্যা বিধাননগর স্টেশনে নেমে দাঁড়িয়ে আছি অটোস্ট্যান্ডে।
ইলিনার সঙ্গে এই প্রথম দেখা হবে আমার। অবশ্য এর আগেই মুখ দেখেছি ফেসবুক ঘেঁটে, চ্যাট,ফোন,মেসেজ ইত্যাদি পূর্বরাগও কমপ্লিট। এখন জাস্ট মুখোমুখি পটিয়ে ফেলার পালা। আঁতলামি করে জিনসের সঙ্গে নীলচে একটা কুর্তা পরে এসেছি,চোখে ঠাকুরদা টাইপ ফ্রেম। হাজার হোক,কবিতার লেজ ধরে যখন আলাপ, প্রথম ইম্প্রেশনে লুকটাও সেইমতোই হতে হবে বইকি! ও বলেছে স্কার্ট আর ব্লু টপ পরে আসবে( আমার নীল কুর্তা পরার এটাও একটা কারণ)। ও আসবে লেকটাউনের দিক থেকে। তারপর একসাথে মিট করে যাবো।
(২)
কাল টুপুসের সাথে দেখা করেছি। আমি নড়িনি বিশেষ। ও-ই ছুটে এসেছে বেলঘরিয়ায়। হাজার হোক,মেয়েটা তো আমার ওপর ফিদা! এ’কদিনে বার আষ্টেক প্রপোজ করেছে আমায়। ঝুলিয়ে রেখেছি। এতো সহজে ধরা দিলে ফেঁসে যাবো নির্ঘাত। সন্ধ্যায় টেক্সম্যাকোর রাস্তায় হাঁটছিলাম দু’জনে হাত ধরে। ও বিড়বিড় করে অনেক কথা বলে যাচ্ছিল। বকতেও পারে মাইরি! আমি ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে হুঁ-হাঁ করে যাচ্ছি, এমন সময় সৈকতের বাবা দেখে ফেলে আমাদের। বড়বড় চোখ করে আমায় গিলতে গিলতে সাইকেল নিয়ে চলে যায় সামনে। আমার ইচ্ছে করছিল দৌড়ে কেরিয়ারটা ধরে নাড়িয়ে দিই। শালা তোমার ছেলে তো একটা আতাক্যালানে, বাপের বগলের নীচে গন্ধ শুঁকে বেড়ায়,আমার প্রেমে তোমার এত হুড়কো দেয়া কেন! জানতাম নির্ঘাত আমার বাড়ি বয়ে মা’র কানে তুলবে কথাটা। ভয়ে টুপুসের হাত আস্তে আস্তে ছেড়ে দিতেই উঁচু হয়ে আমার গালে চুমু খেল মেয়েটা। আমি সাথেসাথে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছি। পা পিছলে ফুটপাথ থেকে পড়ে গিয়ে সে এক বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। বাকি পথ মেয়েটা একটাও কথা বলেনি। ওকে ট্রেনে তুলে দিয়ে মেসেজে ‘সরি’ বলেছি বহুবার,নো রিপ্লাই। সৈকতের বাবার জন্য কাল সন্ধ্যেটা ব্ল্যাক স্পট হয়ে রইল লাইফে। আজ তাই রিফ্রেশমেন্টের জন্য ইলিনার সাথে মিট করাটা বড্ডো জরুরি।
(৩)
ইলিনা ফোন করল জাস্ট। ওর আঙ্কেলের দূরসম্পর্কের শ্বাশুড়ি মারা গেছে। আসবে না তাই। মন খারাপ নাকি! রাগে সিগারেটটা এত দূরে ছুঁড়লাম যে একটা কুকুর কেঁউকেঁউ করে পালিয়ে গেল। একটা বাস ধরে চলে গেলাম রবীন্দ্রসদন। ওখানে রোজ কিছু না কিছু লেগেই থাকে। গিয়ে দেখি সুচিত্রা সেনের স্মরণসভা। ধুর ধুর! কবেকার কোন ধুমসি সাদাকালো অ্যাকট্রেস,মরেছে বেশ হয়েছে। তা নিয়ে এত আদিখ্যেতা কিসের! পাবলিক পারেও বটে! মান্না দে মরল তো রুমাল ভেজাও,সুচিত্রা মরল তো রুমাল ভেজাও...মোমবাতির কোম্পানিগুলো এদের আর রেপের জন্যেই টিকে আছে! যদিও এভাবে অবজ্ঞা দেখান ঠিক না। লোকে আমায় অল্প অল্প করে চিনছে এখন কবি হিসেবে। মুখ বেঁকিয়ে যদি চলে যাই আর চেনা কেউ দেখে ফ্যালে, ফেসবুকে প্রেস্টিজ পাংচার। চোখ বুজে একমিনিট হাতজোড় করে দাঁড়ালাম,প্রাণপণে খিস্তি মেরে নাক টেনে একাকার দশা। একটা সলিড মাল তখন থেকে আমার ওপর লক্ষ্য রাখছিল। এখন এগিয়ে এসে মুখের সামনে মাইক তুলে জিজ্ঞেস করল – “ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?” কান গরম হয়ে গেল আমার। শালা এর জন্য বুক দুলিয়ে ছুটে এসেছে ওই প্রান্ত থেকে! নাকে সর্দি ঘড়ঘড় করে বললাম, “আমি শোকস্তব্ধ। বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না”। আবার প্রশ্ন – “আপনাদের ইয়ং জেনারেশানের কাছে উনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন প্লিজ আমাদের সাথে যদি শেয়ার করেন!” আমি বললাম – “উনি তো কোনো টাইমে বাঁধা পড়েননি। সব বয়েসের সব বাঙালির কাছে উনি সমান পপুলার”। “থ্যাঙ্কস” বলে সরে গেল মেয়েটা। উফফ! ওর সাদা শার্টের ভেতরে লাল স্ট্র্যাপটা বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার। এও নিশ্চয়ই সল্টলেকের মাল! বিরক্তি আর ভালোলাগার চানাচুর মেশানো একটা মুখ করে তাকালাম সুচিত্রা সেনের দিকে। ছোটবেলায় ঠাম্মার সাথে বেশ কয়েকটা ছবি দেখেছি ইনার। শাড়ি পরে ল্যাতপ্যাত করতে করতে সে এক যাচ্ছেতাই ব্যাপার। আজকাল ডাক্তাররা কেন যে ঘুমের ওষুধ হিসেবে সে-আমলের সিনেমা দেখতে বলে না সেটাই আশ্চর্যের!
নন্দনে ঢুকলাম। সেখানেও ছবি,মালা পরাচ্ছে অনেকেই। দূর থেকে একটা মেয়েকে খুব চেনা-চেনা লাগলো। কোথায় যেন দেখেছি। মোবাইলে ফেসবুক খুলে ইলিনার প্রোফাইলে যেতেই থ মেরে গেলাম। মেয়েটা এখানে কি করছে! দিব্যি সানগ্লাস আর টিশার্ট পরা একটা ছেলের হাত আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছে সুচিত্রা সেনের সামনে। ওর না আজ আঙ্কেলের শ্বাশুড়ির... আর ভাবতে পারলাম না। মেট্রো ধরে দমদম,সেখান থেকে ট্রেন ধরে সোজা বেলঘরিয়া। বাড়ি ঢুকতে ঢুকতে শুনলাম মা কম্পিউটারে গান চালিয়েছে – “কিছুক্ষণ আরো না হয় রহিতে কাছে!”
Realistic,simple,.....bhalo laglo pore.
উত্তরমুছুনRealistic,simple,.....bhalo laglo pore.
উত্তরমুছুন