বসন্ত-ভালোবাসা'র কবিতা
সারওয়ার চৌধুরী
হায়াহীন হায়ারার্কিক্যাল মনে হইতে পারে
অন্ধকার খাইছিলেন সম্মানিত বাঘ, কখনো খান না, কখনো কেবল কিছু। জানেন তিনি, অন্ধতাও প্রতি যুগে নবতর ব্যাঘ্র সন্তান হয়। তারা বসন্তকালের মতো সংহার সুন্দর ফোটাতে পারে। তিনি অন্ধকার খাইতে থাকেন আর দ্রব্যগুণে অন্ধকারাচ্ছন্নতা ধরতে থাকেন।
রসস্নিগ্ধ লাল টুকটুক
এমন অন্ধকারও টেনে নিয়ে যায়
অন্তর্নিহিত রাগিণীর কাছে।
নিয়মিত দর্শন খেতে পারে যে-বাঘ, তারও আছে পদ্ধতির ভেতর অন্ধকারাচ্ছন্ন না-ধরা ভালোলাগা প্রকৌশল। যে-কারণেই হোক, আতঙ্কে বা আশা-স্বপ্ন-আগ্রহে কুঞ্জবনে গেলেই পাওয়া যায় প্রেমের ঘ্রাণ। নাসারন্ধ্র সজীব, ঘ্রাণও মোহন। বাঘেরাও নিতে চায় প্রেমের ট্যাগ।
খুব চুপিসারে এসে
আর্যসাহিত্যের ধর্মপ্রাণতার রৌদ্র দিয়ে
কেউ বাতি জ্বালায় বেশ।
আমি তাই একটি পাখি সংসারের সুখ দুখের বিবৃতি দিয়েছিলাম। অন্যজন দেখালেন, এই সংসার খরগোশের এবং পাখিদের এবং ব্যাঘ্র সন্তানদেরও। সকালে তারা পাখি, বিকালে খরগোশ আর দিনের মতো মিহি রাত্রীর গভীরে তারা বাঘের সংসার।
মায়া পেয়ে বড় হয় সব- খরগোশ বাঘ বা পাখিরাও। অর্থবহুল মায়া মিত্রতা বুঝে নেই। মিথুনে নয়, তবু এক স্নিগ্ধ যুগ্মাবস্থা; হায়াহীন হায়ারার্কিক্যাল মনে হইতে পারে, ঠিক তা নয়; ধরে বসে আছে অন্তর, প্রেম ও পদ্ধতি যুগ্মীকরণ লীলা....
##
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন