লোভ
পালিয়ে যাওয়ার পর পাটখড়ির মতো কিছু ছবি ছিল সাথে আমার হতাশার ছোঁয়া পেলে যা
উপযুক্ত তাপ নিয়ে জ্বলে উঠতো। আর তখন স্মৃতি হারানো পাখি সুবেহ সাদিকের পথ
দেখাতো।
আলো ভয় পাওয়া পোকার মতোন অন্ধকার কামড়ে উবু হয়ে থাকি স্তব্দ সময়ের শরীরে।
বিসর্গ কামনারা সিথানের বালিশ জুড়ে পায়চারি করে। ব্যবধান ঘোচে না অবচেতনে
নির্মিত দূরত্বের।
অভিমান অংকিত নকশিকাঁথা সাথেই আছে। অপেক্ষা বিনম্র স্পর্শের। শতাব্দি পেরিয়ে
গেলো বিশ্বাস দাফনের পর হা-হুতাশ আর জমা নেই বেশি! স্বস্তির স্তবক পইতায় নিয়ে
বামুন সাজার অপেক্ষা
ঘুমের মধ্যে থাকি স্বপ্ন দেখার লোভে।
গুহা
গলির মুখে উবু হয়ে থাকা মুদী দোকান ভিতরে ডানা ভাঙা ময়ূর। বৈশ্বিক স্রোতে হাসি
হারানো ময়ূরী নিশ্চুপ। কিছুটা অন্ধকার তারও প্রেরণা বেঁচে থাকার ভরসা।
এই পথে আমি রোজ-ই হেঁটে হেঁটে দেখে যাই সাজানো বিপনী। রুটিনে ছিল না তালাবদ্ধ
সময়ের পরিচিতি। কিন্তু আমার নকশায় চলে না কিছুই এমনকি আমিও।
বোতাম খোলা ঝুকদানে লুকিয়ে আছে রহস্যের পুস্তক। ব্যস্ততার অজুহাতে অধ্যয়ন
হয়নি।
হয়নি।
উড়ে যায় আক্ষেপের দীর্ঘশ্বাস। এখন কি আছে নির্বাক জড়তা আর গুম হয়ে পড়ে থাকা
ধূলো ছাড়া।
সব পথ সতর্কতাকে সম্মান দেখায় না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন