বৃষ্টির ধারাপাত ১
মেঘের স্তনবৃন্তে বৃষ্টিবিন্দু
তোমার শীতশরীরে লজ্জা
লজ্জার মাথা খেয়ে
অন্ধশরীরে
রক্তাক্ত
ভাঙাচোরা সময়ের জানালায় বসে
মেরামত করি অভিমান
বেহিসেবী নদী ভেঙে দিচ্ছে গন্ধ
তুমি হয়ে উঠছ গন্ধের সওদাগর
বৃষ্টির
ধারাপাত ২
আমার মেঘজমা শরীর
ছাঁচভাঙা বেনিয়ম
পুতুল পুতুল খেলায় আইসক্রিম জীবন
মেমসাহেবের রঙিন ছাতার নীচে
আমরা সাদামাটা ধুলোঘর
চক্কর কাটে রাতচরা পাখি
দুরন্ত বাজ হতে ইচ্ছে
অপেক্ষারা ভোর হয়ে যায়
বৃষ্টির
ধারাপাত ৩
তোমাকে ঘিরে এই জাগরণ পর্ব
বকবকম ভেঙে ভেঙে শিহরণ
আদরের ধারাপাত ডিঙিয়ে
হেঁটে আসা রাস্তা
রাস্তা ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যালকনি
বেলি-কামিনী-কাঞ্চনে সেজেওঠা অন্ধকার
হিস হিস শব্দে এগিয়ে আসা টানেল
অপর প্রান্তে শুধুই শূন্যতা
যার শেষ নেই---সরলরেখা বরাবর জটিলতা
মান-অভিমান-সরি-প্লিজ এর জঙ্গল
বৃত্তের বাইরে আমাদের একমাত্র কমনফ্রেন্ড
মৃত্যু---যার কোনও দুঃখ নেই
বৃষ্টির
ধারাপাত ৪
জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা রোদ
দূরে
দাঁড়িয়ে থাকা রোদের বান্ধবী
অবসরের আয়োজন
চব্বিশ
বছরের অভ্যেস
কোনও এক নামহীন গোত্রহীন ঝড়
শেকড়ে টান পড়লে সামুদ্রিক অভিমান
সুতো ছেঁড়ে দেয় বয়স
উড়তে উড়তে
একঘেয়ে থেকে
অন্য এক ভোরে
হেঁটে যাও
সময়ের পা রক্তাক্ত হয় কলহের দাম্পত্যে
বৃষ্টির
ধারাপাত ৫
তোমার দৃষ্টিপাতে
খেলা করে কোনও এক দেবশিশু
জিভে লেগে আছে আকাশের স্পর্শ
স্পর্শের অশ্লীলতা ভিজে যায় কথামুখ
উঠে আসে থোকা থোকা আকন্দ
কখনও কখনও ভালোবাসাকেও
প্রেমিক রঙের মৃত্যু
গলা জড়িয়ে নেমে যায় শরীরে
আগ্নেয়গিরির গভীর অপেক্ষারত
কোনও এক
প্রেম
যা ফেলে
গেছে দেবশিশু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন