কুয়াশাযাপন
হিন্দোল ভট্টাচার্য
হিন্দোল ভট্টাচার্য
১
আমি তাকে দেখতে পাই, সে আমায় শোনে কি জানি না
গুটিসুটি চা-দোকানে শেষ রাতের আগুন তার মুখ
কুকুরের ভয়াবহ কান্না শুনে সঙ্গমকালীন
চাঁদ উঁকিঝুঁকি মারে পড়শিদের জানলার ভিতর ।
সে খুব লজ্জার গায়ে গা মিলিয়ে থাকে সারারাত ...
আমি তাকে দেখতে পাই, সে আমাকে দেখে কি ? জানি না ।
আমি তাকে দেখতে পাই, সে আমায় শোনে কি জানি না
গুটিসুটি চা-দোকানে শেষ রাতের আগুন তার মুখ
কুকুরের ভয়াবহ কান্না শুনে সঙ্গমকালীন
চাঁদ উঁকিঝুঁকি মারে পড়শিদের জানলার ভিতর ।
সে খুব লজ্জার গায়ে গা মিলিয়ে থাকে সারারাত ...
আমি তাকে দেখতে পাই, সে আমাকে দেখে কি ? জানি না ।
অসহায় নৈশ মুখে নাইটগার্ড হুইসিল বাজায়
২
বড় বেপরোয়া আছ, বুক চিরে আছ এ রাস্তার ।
কলকাতা বড় বেশি অন্ধকারে ঝিলমিল এখন, -
পা, না মাথাই টলছে ? মৃত্যুতে দুঃখ ভাসিও না
হাড়ের ভেতর থেকে শিরশিরে ব্যথার মত মা
আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে বলো, ভিজে সোয়েটারে
দাঁড়িয়ে রয়েছি আজ, পা রাখার জায়গা আছে বলে ।
ঘুরে যে দাঁড়াব, তার চোখে আশাবাদী ভালবাসা
শিকারী ভীষণ, তাকে দূরে ঠেলে রাখা ঠিক নয় !
বড় বেপরোয়া আছ, বুক চিরে আছ এ রাস্তার ।
কলকাতা বড় বেশি অন্ধকারে ঝিলমিল এখন, -
পা, না মাথাই টলছে ? মৃত্যুতে দুঃখ ভাসিও না
হাড়ের ভেতর থেকে শিরশিরে ব্যথার মত মা
আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে বলো, ভিজে সোয়েটারে
দাঁড়িয়ে রয়েছি আজ, পা রাখার জায়গা আছে বলে ।
ঘুরে যে দাঁড়াব, তার চোখে আশাবাদী ভালবাসা
শিকারী ভীষণ, তাকে দূরে ঠেলে রাখা ঠিক নয় !
কলকাতা বসন্ত হল, তার
শীত, হেমন্ত হল সবে ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন