জ্যানেট ফ্রেমের কবিতা – অর্ক চট্টোপাধ্যায়
জ্যানেট ফ্রেমের কবিতা
অনুবাদ : অর্ক চট্টোপাধ্যায়
[ জ্যানেট ফ্রেম (১৯২৪-২০০৪) হয়ত জীবদ্দশায় নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখিকা, কবি ও ঔপন্যাসিক
ছিলেন। অথচ আজ তিনি কিছুটা বিস্মৃত। ছোটবেলায় আসাইলাম থেকে ঠিক সময়ে বার করে আনে প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সাফল্য। সেই থেকে বয়স্কাল পর্যন্ত রহসিয়া মনোযন্ত্রের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছে
তাঁর আশ্চর্য রূপকথার ভাষা, কখনো গদ্যের
মাধুর্যে আর কখনো আবোলতাবোল পদ্যের স্বাদগন্ধে। এখানে তাঁর ১৯৬৭ সালের কবিতার বই The Pocket Mirror থেকে
কয়েকটি কবিতা অনুবাদ করলাম। ]
স্মৃতিরা আবার
জ্যানেট
ফ্রেম (অনুবাদ : অর্ক চট্টোপাধ্যায় )
আমি
কোনদিন কোনো খাটপোকা দেখিনি,
কিন্তু
রাত্রিবেলা মনে হয় খাটে বসে
ওরা
আমার রক্ত চুষে খেতে চাইছে
মাঝে
মাঝে ওদের মেরে ফেলি।
সকালে
চেয়ে দেখি
চাদরের ফাঁকে ফাঁকে নরম মোচড়ানো ওরা স্মৃতি।
স্বপ্ন
জ্যানেট
ফ্রেম (অনুবাদ : অর্ক চট্টোপাধ্যায় )
ছোট্ট
খুদে মানুষ, চাষের পর ছোট্ট খুদে ক্ষেতে
(কোন ঈশ্বর ঘাস বাড়ার শব্দ পান?)
কালো
বাক্সে আমার দাঁতগুলোও কালো
কফিনের
মতো; আগে খেজুর খেয়েছিলাম
দাঁতের
ফাঁকে আটকে রয়েছে: আগে সময়
খেয়েছিলাম, তড়তড়িয়ে উঠলো আমারই ক্ষয়ক্ষতি।
কোন
ঈশ্বর ঘাস বাড়ার শব্দ পান?
আর
ভেড়ার পীঠে পশম?
আগেই বসন্ত
জ্যানেট
ফ্রেম (অনুবাদ : অর্ক চট্টোপাধ্যায় )
কিচ্ছুতে
হবে না
খালি
গাছের গোড়ায়
পৃথিবীর
সবচেয়ে কাছে
একটু
ঘষে যাওয়া সবুজ একটা পাতা
প্রায়
যুবতী
শীতে হারানো কুঁড়ি
খুঁজে
পাওয়া, তার পরণে
স্মৃতির
সবুজ ধুলোর ঝড়
ছেলেটা পাথরের মতো সাঁতরালো
জ্যানেট
ফ্রেম (অনুবাদ : অর্ক চট্টোপাধ্যায় )
ছেলেটা
পাথরের মতো সাঁতরালো
তার
শরীর
আর
গভীর কুঁয়োর ভেতর
যোগাযোগ
ছিল ক্ষীণ
কাদা
উগরালো চোখ দিয়ে
সবুজ
আগাছার
সুতোয়
গড়ান
তাতেই
পারসেল্ড হলো মৃত।
মাংস
আর জল
একসময়
জানতো
কিভাবে মিলেমিশে
থাকতে
হয় হৃদ-মাঝারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন