শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মৌ মধুবন্তী


পাহাড়-অন্তর-বনভুমি

হাতে নিয়ে সেই সব বনলতা দিন
স্বপ্নের বনতলে কুহক বাজিয়ে
ডাকে ঘুম-
আয় -আয় -আয়
অনিন্দ্য বোধ
মুকুন্দ বাতাস
বিমল বেলা
পরিমিত জিজ্ঞাসা 
নিঝুম দ্বীপ
শুয়ে থাক
নতুন ইতিহাস। 
আয় চিন্তা নেমে আয়
নেমে আয় নবৌঢ়া গ্রামে-
সকালের মেঠো-রাজ-পথে
খোলা পা হেটে হেটে
জাগিয়ে রাখ অবসন্ন পা।

জানো না আশির দশক
নব্বইয়ের ঘোর উত্থ্বান।
সেইসব হীম দিনে দু'জনে
বুনেছিলে কথার বৃহন্নলা বীজ
চিন্তার করণিক ফসল
ধিতাং তান
মাহিষাসুর
মর্দিনী কল্পনা
মীরাজীর ভজন
কবিরের দর্শন। 
হাত জোড় করে
ছুয়েছিলে মালিন্দিপুর।

হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে 
ছিঁড়ে দিই
কবিতার আলসেমি
কেটে দেই কুয়াশা-ঘেরা
পাহাড়-অন্তর-বনভুমি
খুলে দেই
ভাব ও আবেগের জানালা।
তারপর ঝপাং করে 
নিভে যায় অনাদি আশা

বিভৎস্য
কল্পনার 
মৃত
সন্ধ্যা
তখন
গিলে নেয় অন্ধকার 
একলার
প্রহর
বিম্বিত
অভিসার।
ভুলে যাই বনলতাদিন।
নকশী কাঁথায় কথার কল্কি।
ভুলে যাই অস্তিত্বের
ভেতরে পোড়া টান।

1 টি মন্তব্য:

  1. হুম । এবার তোর কবিতার ধরতাইটাকে পাকড়াও করতে পেরেছি।
    লিখতে থাক।
    ভালো থাকিস।
    মলয়কাকু

    উত্তরমুছুন