পৃথা রায় চৌধুরী
দর
উচ্ছিষ্ট রোদ সঙ সেজে তামাশা করে যায়
দু আঙ্গুলে তুড়ি মেরে ইশারায় ডাকে
"সস্তা পাবি; কে নিবি, আয়।"
সদর্প ভিক্ষা
খেলাম, লজ্জার মাথা
চাইলাম, তোমার ফুসফুস ভর্তি ধোঁয়া
দেখলাম, সরিয়ে নিলে বাড়ানো হাত
শুনলাম, প্রতিজ্ঞা করেছি,
নিঃশ্বাস মেশাবো কর্কট গন্ধহীন
অহংকারী, গরবিনী,
সেদিন আক্ষরিক ছোঁবই তোমায়
দেবেই তুমি অনিচ্ছুক ইচ্ছেধরা।
ক্রমশঃ
একান্নবর্তী চাঁদের বঙ্কিম ধারাপাত বর্ষণ
ক্ষুন্নিবৃত্তি পর্যায়ে অক্ষম বেওয়ারিশ প্রেম তার
সুঠাম বাতায়নে জড়িয়ে মরে
সুললিতা সোহাগিনী জুঁইজ্যোৎস্না;
সলাজ ঘোমটায় বয়ে চলে
নির্বাক ঢেউছবি।
শান্তি
চল আমি, আমার সাথে নরকে চল
কে যেন বলেছে চলে যেতে সেখানেই চিরতরে,
যেখানে সংযম মাথা কুটে মরে না
তীব্র অপাপ কামনা পাঁচিলে
মেকি সর্বংসহা দ্বৈত স্বত্বা
বারুদ বর্ণে কনে বৌ সেজে বসে
শুভদৃষ্টি সেরে নেয় মৃত অন্তরাত্মার সাথে;
নিরন্তর সতীত্বমশাল জ্বলে যায়
উজ্জ্বল অন্ধকারে।
আরে ছোঃ!
দয়া বাবু ছুটেছেন বাজারের ব্যাগ হাতে
আঁটসাঁট ডিম পেট ইলিশটা চাই পাতে
ঝড়তি কুমড়ো শাক
কেতোর ভাগেই থাক
ব্যাটা বড়ো প্রতিবাদী, ছোটলোক হাভাতে।
করজোড়ে ভিক্ষা, ভোট দিও আমাকেই
সেতো গেছে ল্যাঠা চুকে, কয় মাস পূর্বেই
আজ দয়া নেতা ভারি
হাঁকডাক রাশভারী
কেতো শালা থাক পড়ে যে কে সেই আঁধারেই।
আ-মরণ
আশ্চর্য এক অসম যুদ্ধ করে যাই
এক অতিবেগুনি আমি'র মুখোমুখি
এক লাল-উজানি আমি
শুরুর কালে নেপথ্যে বেজেছিল
পাঞ্চজন্য
অমীমাংসার সংঘাতে ছারখার
হয়ত পরজন্ম
তবু নির্ভয়ে পেতে রাখি
নিজের হাতে শরশয্যা
প্রতীক্ষা সেই অন্য দিনের।
ভাঙ্গন
প্রশ্রয় পাওয়া চঞ্চল ঝুরিহাত
শ্বাসরোধী তল উথলিয়ে হয়রান
সংযম দর্পণে ভণ্ড বিলাসিনী
এঁকে চলে ঝরা সিঁদুরে
অভিশপ্ত তৃতীয় নয়ন;
আগত প্রলয়, সুস্বাগতম!
ধ্যাত্
ঘুম পাচ্ছে ভীষণরকম, যা তা
শিরীষ আঠা জুড়ছে চোখের পাতা
মেলা কাজের ভারে
নিদ্রাদেবী হারে
ঘড়ির কাঁটা খসখসিয়ে ভরছে সাদা খাতা।
করিৎকর্মা
আলতাদুপুর চিমটি রোদে মেহগানী
জঙ্গুলে চান আলতো চেটোয় আকাশবাণী
অনেক দামী হালকা নদীর পলকা পাড়
ভুলছে সবই, তবু শিরায় খুন অসাড়
বন্দি মতের কালো কালির জোর তেহাই
আঙুল তুলে ভদ্রবেশে গণরেহাই
গুটিয়ে রাখা পাখনা কেমন খুলছে মুখ
লাইন ধরে ঝুপড়ি বিলোয় ব্যর্থ সুখ
শিউলি গন্ধা সকাল দেবী রোজ রাতে
এঁটো কাপড় জড়িয়ে নিজের দায় পাতে
তারপরেতেই সামাল সামাল সুর নিশানা
মন রে কৃষি কাজ জানো না, কেন জানো না?
অ-যাচিত
নৈঃশব্দ্য জারিত শুভেচ্ছা যেখানে
অশালীন বোধে আক্রান্ত পণ্য
বন্ধ্যা প্রার্থনা হাঁড়িকাঠে গলা গুঁজে
উপর্যুপরি ঘৃণা ছড়ায়,
নষ্টসংস্কারের সেই বেশরম উঠোনে
খুঁজে নিও কোনো ত্রিনয়নী;
পেলেও পেতে পারো অনাচারী সেই
শঙ্খপ্রবাল হাত।
ওঁ স্বাহা
সর্পগন্ধা তাচ্ছিল্য কটাক্ষে হীন করে
জঙ্গল ভাসা শহরের সিংহদুয়ারি নহবৎ
অযথা প্রলাপ ছাতিম গন্ধের নব্যাচারে
সরলতার সুযোগে শেখায় শিকারি সহবৎ।
বিপন্ন ব্যাধ প্রমাদ গোনে অহর্নিশ
নিরামিষাশী হরিণ দুলে উঠেছে
তাজা খুন চেটে আচমকা
কোমল ডাগর চোখে বেজে যায়,
"আমিষ, চাই আমিষ!"
সমাধি
ডুবে যাও অহঙ্কারের শেষ অতলে
যতটা পারো ডুবে যাও
তবু পায়ের নিচে জমিন পাবে না,
তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়েমড়িয়ে ধরেছে
যে সব গর্বোজ প্রাণ,
সে আমারই;
ভুলে গেছ, আমি তোমার অহমিকা।
লুকোচুরি
যাবতীয় কুটনো-মশলা প্রহর হাঁফ ছাড়লেই
উঁকি মেরে যায় ম' ম' ছাতিম ফুল
সন্ধ্যে থেকে তার অবাধ যাতায়াত
অ্যান্ড্রয়েড বেয়ে যন্তরমন্তরে
তবুও সে কথা চাপা থাক;
নিষিদ্ধ প্রসিদ্ধিলাভ তেজস্ক্রিয়।
দিগ্দর্শন
সকালজঙ্গল বেয়ে সার বাঁধে
উদ্ভ্রান্ত খোলাম সেঁকে ঝোলানো
বীতশোক রাতজাগা মনস্কাম
মানতবৃক্ষ হাসে ধৈবত নিষাদে
ছড়বিহীন বেহালায় ছক মেলানো
অমিল গুনে কাটে অকল্পযাম
রূপ ছড়ানো খেলায় দিবানিশি
প্রহর চেটে খায় ভয়াল মুক্তকেশী
শুধু কানাগলি,
পথ নেই, পথ নেই।
হুঁশিয়ারি
মাঝেমাঝে নৌকা ভাসিয়ে নিশ্চুপ চেয়ে দেখি
বৈঠাহীন বেয়ে যাই প্রহরসাগর
উড়ুক্কু ক্ষণ বিলি কেটে যায় ওড়ার ফাঁকে
পলকে পলকে গুচ্ছের অভিমানী প্রবাল
ডলফিন সওয়ার হয়ে গান গেয়ে যায়;
কিনারা খুঁজে ফেরে বুঝি
নির্বোধ, মায়াবিনী মৎস্যকন্যা;
সতর্কবার্তা বয়ে আসে,
জালে উঠে এলেও
বন্ধ বোতলের মুখ না খোলাই বিধেয়।
ফলকনামা
সন্তাপ অধ্যুষিত নিখাদ সাতনরী
অযথা গ্রহণ করে হৈমন্তী শুষ্কতা
স্তব্ধ চরাচর ভেসে যায় হলাহলে
ময়ূরকণ্ঠী দৃশ্যপট আবহমান
অন্ত্যমিলের অস্পষ্টতা চিরশাশ্বত
পরাজয় স্বীকার নব্যইন্দ্রিয়গত
দশপ্রহরণ ত্যজ্য বিস্ময়বহুল
সমাধিস্থল প্লাবিত অনন্য সন্ধানে
শিউলি সঞ্চয়নে অবগাহন করো
ভিন্ন ভিন্ন তারে সাজাও সদ্যমূর্ছনা
অকাতরে প্রশ্বাসে ভরাও হিমবাহ
ভাসাও পানসি শ্বেতপদ্মে কুহকিনী
জমাট শোণিতে মুখরিত হও নিত্য
আহ্লাদ বিস্মৃতই হয়ে থেকো আহ্লাদী।
জ্ঞানপাপী
বকলমে লিখে যাওয়া পুরনো অভ্যেস
লজ্জা পেয়ে চিঠি লেখা হয় না
ধুনুরি ডাকিয়ে বদ আমি কে
রিফ্রেশ করে তুলে রাখি নিমপাতায়
তুমি স্মার্ট ক্যারিব্যাগে করে
তা নিয়ে বেড়াতে যেও কিন্তু।
সারাদিন তোমার মন দখল করে থাকি জেনেও
ন্যাকামির আড়ালে লুকোচুরিতে সরাতে থাকি
একের পর এক তোমার ইশারা।
দুষ্টুমি মজ্জাগত হয়ে গেছে তুমি বুঝেছ,
তবু, রাগ করো না এখন;
তাকিয়ে দেখো, তোমার পাশেই
নিমছায়ায় বসে থাকে
আমার যত ক্যাবলামি ভরা
"এই যে, শোনো..."!
তবু, বিশ্বাস
আগুন তরলে ভেতর পুড়িয়ে
জ্বলতে জ্বলতে বাঁচার তাগিদে
তোমার প্রথম রিফ্লেক্স যখন আমি,
একটানা "ভালোবাসি" আশ্বাসে
নিজেকে ভোলাতে চাওয়ার নাম,
তোমার কাছে, সেই আমি;
কথার পিঠে কথা কিছু বলতে চেয়েছি,
বলেছ, শুধু পূজো নাও, মানসী...
অঞ্জলি দিও না।
ল্যান্ডমাইন বোধোদয়ে ক্রমাগত
কাঁপা গলায় বি-ফ্ল্যাটে গেয়েছ,
আমার, আমার, আমার,
বাস্তবে ভয় হারাবার;
আশ্চর্য, পরাবাস্তবে জন্ম নেয়
এক স্নেহশীল পিতা,
বোহেমিয়ান প্রেমিক হৃদয়ে।
রুদ্ধ
যত এগিয়েছি তোমার দিকে,
আলপথ বেয়ে কুটিল, নিদানখেকো
হিলহিলে চেরা জিভের দল
পেঁচিয়ে ধরেছে প্লেটোনিক বাতিক,
উন্মত্ততায় নাগাড়ে আউড়ে যাও
আকরিক আখর।
মাঝরাতে ঘুণ পোকা কর্কর্কর্
গ্যালাক্সিচারি হতে চেয়ে ঘুরে দেখি,
ফেলে আসা সময়যান;
উল্টো জামার
প্রকট সেলাই উৎকট,
তবু সোজা করা যায় না।
আ-শ্লেষ
বিশ্বাস করো,
হেরে যেতে কোনো কষ্ট পাবো না
তবু ছায়াযুদ্ধে নামতে চাই,
দুই গলিত ধাতু মিশে যেতে যেতে
কতো সহস্র গ্রহ উপহার দেয়,
চেখে দেখার লোভ আমার চিরন্তন,
জমিয়ে চুমুক দেবো তোমার ভ্যাবাচ্যাকায়;
এখনো ভেবে চলেছ,
প্রেম কখন রণদামামা বাজালো!
দর
উচ্ছিষ্ট রোদ সঙ সেজে তামাশা করে যায়
দু আঙ্গুলে তুড়ি মেরে ইশারায় ডাকে
"সস্তা পাবি; কে নিবি, আয়।"
সদর্প ভিক্ষা
খেলাম, লজ্জার মাথা
চাইলাম, তোমার ফুসফুস ভর্তি ধোঁয়া
দেখলাম, সরিয়ে নিলে বাড়ানো হাত
শুনলাম, প্রতিজ্ঞা করেছি,
নিঃশ্বাস মেশাবো কর্কট গন্ধহীন
অহংকারী, গরবিনী,
সেদিন আক্ষরিক ছোঁবই তোমায়
দেবেই তুমি অনিচ্ছুক ইচ্ছেধরা।
ক্রমশঃ
একান্নবর্তী চাঁদের বঙ্কিম ধারাপাত বর্ষণ
ক্ষুন্নিবৃত্তি পর্যায়ে অক্ষম বেওয়ারিশ প্রেম তার
সুঠাম বাতায়নে জড়িয়ে মরে
সুললিতা সোহাগিনী জুঁইজ্যোৎস্না;
সলাজ ঘোমটায় বয়ে চলে
নির্বাক ঢেউছবি।
শান্তি
চল আমি, আমার সাথে নরকে চল
কে যেন বলেছে চলে যেতে সেখানেই চিরতরে,
যেখানে সংযম মাথা কুটে মরে না
তীব্র অপাপ কামনা পাঁচিলে
মেকি সর্বংসহা দ্বৈত স্বত্বা
বারুদ বর্ণে কনে বৌ সেজে বসে
শুভদৃষ্টি সেরে নেয় মৃত অন্তরাত্মার সাথে;
নিরন্তর সতীত্বমশাল জ্বলে যায়
উজ্জ্বল অন্ধকারে।
আরে ছোঃ!
দয়া বাবু ছুটেছেন বাজারের ব্যাগ হাতে
আঁটসাঁট ডিম পেট ইলিশটা চাই পাতে
ঝড়তি কুমড়ো শাক
কেতোর ভাগেই থাক
ব্যাটা বড়ো প্রতিবাদী, ছোটলোক হাভাতে।
করজোড়ে ভিক্ষা, ভোট দিও আমাকেই
সেতো গেছে ল্যাঠা চুকে, কয় মাস পূর্বেই
আজ দয়া নেতা ভারি
হাঁকডাক রাশভারী
কেতো শালা থাক পড়ে যে কে সেই আঁধারেই।
আ-মরণ
আশ্চর্য এক অসম যুদ্ধ করে যাই
এক অতিবেগুনি আমি'র মুখোমুখি
এক লাল-উজানি আমি
শুরুর কালে নেপথ্যে বেজেছিল
পাঞ্চজন্য
অমীমাংসার সংঘাতে ছারখার
হয়ত পরজন্ম
তবু নির্ভয়ে পেতে রাখি
নিজের হাতে শরশয্যা
প্রতীক্ষা সেই অন্য দিনের।
ভাঙ্গন
প্রশ্রয় পাওয়া চঞ্চল ঝুরিহাত
শ্বাসরোধী তল উথলিয়ে হয়রান
সংযম দর্পণে ভণ্ড বিলাসিনী
এঁকে চলে ঝরা সিঁদুরে
অভিশপ্ত তৃতীয় নয়ন;
আগত প্রলয়, সুস্বাগতম!
ধ্যাত্
ঘুম পাচ্ছে ভীষণরকম, যা তা
শিরীষ আঠা জুড়ছে চোখের পাতা
মেলা কাজের ভারে
নিদ্রাদেবী হারে
ঘড়ির কাঁটা খসখসিয়ে ভরছে সাদা খাতা।
করিৎকর্মা
আলতাদুপুর চিমটি রোদে মেহগানী
জঙ্গুলে চান আলতো চেটোয় আকাশবাণী
অনেক দামী হালকা নদীর পলকা পাড়
ভুলছে সবই, তবু শিরায় খুন অসাড়
বন্দি মতের কালো কালির জোর তেহাই
আঙুল তুলে ভদ্রবেশে গণরেহাই
গুটিয়ে রাখা পাখনা কেমন খুলছে মুখ
লাইন ধরে ঝুপড়ি বিলোয় ব্যর্থ সুখ
শিউলি গন্ধা সকাল দেবী রোজ রাতে
এঁটো কাপড় জড়িয়ে নিজের দায় পাতে
তারপরেতেই সামাল সামাল সুর নিশানা
মন রে কৃষি কাজ জানো না, কেন জানো না?
অ-যাচিত
নৈঃশব্দ্য জারিত শুভেচ্ছা যেখানে
অশালীন বোধে আক্রান্ত পণ্য
বন্ধ্যা প্রার্থনা হাঁড়িকাঠে গলা গুঁজে
উপর্যুপরি ঘৃণা ছড়ায়,
নষ্টসংস্কারের সেই বেশরম উঠোনে
খুঁজে নিও কোনো ত্রিনয়নী;
পেলেও পেতে পারো অনাচারী সেই
শঙ্খপ্রবাল হাত।
ওঁ স্বাহা
সর্পগন্ধা তাচ্ছিল্য কটাক্ষে হীন করে
জঙ্গল ভাসা শহরের সিংহদুয়ারি নহবৎ
অযথা প্রলাপ ছাতিম গন্ধের নব্যাচারে
সরলতার সুযোগে শেখায় শিকারি সহবৎ।
বিপন্ন ব্যাধ প্রমাদ গোনে অহর্নিশ
নিরামিষাশী হরিণ দুলে উঠেছে
তাজা খুন চেটে আচমকা
কোমল ডাগর চোখে বেজে যায়,
"আমিষ, চাই আমিষ!"
সমাধি
ডুবে যাও অহঙ্কারের শেষ অতলে
যতটা পারো ডুবে যাও
তবু পায়ের নিচে জমিন পাবে না,
তোমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়েমড়িয়ে ধরেছে
যে সব গর্বোজ প্রাণ,
সে আমারই;
ভুলে গেছ, আমি তোমার অহমিকা।
লুকোচুরি
যাবতীয় কুটনো-মশলা প্রহর হাঁফ ছাড়লেই
উঁকি মেরে যায় ম' ম' ছাতিম ফুল
সন্ধ্যে থেকে তার অবাধ যাতায়াত
অ্যান্ড্রয়েড বেয়ে যন্তরমন্তরে
তবুও সে কথা চাপা থাক;
নিষিদ্ধ প্রসিদ্ধিলাভ তেজস্ক্রিয়।
দিগ্দর্শন
সকালজঙ্গল বেয়ে সার বাঁধে
উদ্ভ্রান্ত খোলাম সেঁকে ঝোলানো
বীতশোক রাতজাগা মনস্কাম
মানতবৃক্ষ হাসে ধৈবত নিষাদে
ছড়বিহীন বেহালায় ছক মেলানো
অমিল গুনে কাটে অকল্পযাম
রূপ ছড়ানো খেলায় দিবানিশি
প্রহর চেটে খায় ভয়াল মুক্তকেশী
শুধু কানাগলি,
পথ নেই, পথ নেই।
হুঁশিয়ারি
মাঝেমাঝে নৌকা ভাসিয়ে নিশ্চুপ চেয়ে দেখি
বৈঠাহীন বেয়ে যাই প্রহরসাগর
উড়ুক্কু ক্ষণ বিলি কেটে যায় ওড়ার ফাঁকে
পলকে পলকে গুচ্ছের অভিমানী প্রবাল
ডলফিন সওয়ার হয়ে গান গেয়ে যায়;
কিনারা খুঁজে ফেরে বুঝি
নির্বোধ, মায়াবিনী মৎস্যকন্যা;
সতর্কবার্তা বয়ে আসে,
জালে উঠে এলেও
বন্ধ বোতলের মুখ না খোলাই বিধেয়।
ফলকনামা
সন্তাপ অধ্যুষিত নিখাদ সাতনরী
অযথা গ্রহণ করে হৈমন্তী শুষ্কতা
স্তব্ধ চরাচর ভেসে যায় হলাহলে
ময়ূরকণ্ঠী দৃশ্যপট আবহমান
অন্ত্যমিলের অস্পষ্টতা চিরশাশ্বত
পরাজয় স্বীকার নব্যইন্দ্রিয়গত
দশপ্রহরণ ত্যজ্য বিস্ময়বহুল
সমাধিস্থল প্লাবিত অনন্য সন্ধানে
শিউলি সঞ্চয়নে অবগাহন করো
ভিন্ন ভিন্ন তারে সাজাও সদ্যমূর্ছনা
অকাতরে প্রশ্বাসে ভরাও হিমবাহ
ভাসাও পানসি শ্বেতপদ্মে কুহকিনী
জমাট শোণিতে মুখরিত হও নিত্য
আহ্লাদ বিস্মৃতই হয়ে থেকো আহ্লাদী।
জ্ঞানপাপী
বকলমে লিখে যাওয়া পুরনো অভ্যেস
লজ্জা পেয়ে চিঠি লেখা হয় না
ধুনুরি ডাকিয়ে বদ আমি কে
রিফ্রেশ করে তুলে রাখি নিমপাতায়
তুমি স্মার্ট ক্যারিব্যাগে করে
তা নিয়ে বেড়াতে যেও কিন্তু।
সারাদিন তোমার মন দখল করে থাকি জেনেও
ন্যাকামির আড়ালে লুকোচুরিতে সরাতে থাকি
একের পর এক তোমার ইশারা।
দুষ্টুমি মজ্জাগত হয়ে গেছে তুমি বুঝেছ,
তবু, রাগ করো না এখন;
তাকিয়ে দেখো, তোমার পাশেই
নিমছায়ায় বসে থাকে
আমার যত ক্যাবলামি ভরা
"এই যে, শোনো..."!
তবু, বিশ্বাস
আগুন তরলে ভেতর পুড়িয়ে
জ্বলতে জ্বলতে বাঁচার তাগিদে
তোমার প্রথম রিফ্লেক্স যখন আমি,
একটানা "ভালোবাসি" আশ্বাসে
নিজেকে ভোলাতে চাওয়ার নাম,
তোমার কাছে, সেই আমি;
কথার পিঠে কথা কিছু বলতে চেয়েছি,
বলেছ, শুধু পূজো নাও, মানসী...
অঞ্জলি দিও না।
ল্যান্ডমাইন বোধোদয়ে ক্রমাগত
কাঁপা গলায় বি-ফ্ল্যাটে গেয়েছ,
আমার, আমার, আমার,
বাস্তবে ভয় হারাবার;
আশ্চর্য, পরাবাস্তবে জন্ম নেয়
এক স্নেহশীল পিতা,
বোহেমিয়ান প্রেমিক হৃদয়ে।
রুদ্ধ
যত এগিয়েছি তোমার দিকে,
আলপথ বেয়ে কুটিল, নিদানখেকো
হিলহিলে চেরা জিভের দল
পেঁচিয়ে ধরেছে প্লেটোনিক বাতিক,
উন্মত্ততায় নাগাড়ে আউড়ে যাও
আকরিক আখর।
মাঝরাতে ঘুণ পোকা কর্কর্কর্
গ্যালাক্সিচারি হতে চেয়ে ঘুরে দেখি,
ফেলে আসা সময়যান;
উল্টো জামার
প্রকট সেলাই উৎকট,
তবু সোজা করা যায় না।
আ-শ্লেষ
বিশ্বাস করো,
হেরে যেতে কোনো কষ্ট পাবো না
তবু ছায়াযুদ্ধে নামতে চাই,
দুই গলিত ধাতু মিশে যেতে যেতে
কতো সহস্র গ্রহ উপহার দেয়,
চেখে দেখার লোভ আমার চিরন্তন,
জমিয়ে চুমুক দেবো তোমার ভ্যাবাচ্যাকায়;
এখনো ভেবে চলেছ,
প্রেম কখন রণদামামা বাজালো!
KeyA bAt! OshAdhAron BanglA bhAshA-r proyog! :-) *hats off*
উত্তরমুছুনThnx a lot :)
মুছুনWow!how cn i xprs maslf why i feel readin thease tiny outburst of an xtraordinry heart..
উত্তরমুছুনKudos..mrs rychoudri..
*
উত্তরমুছুনWow!how cn i xprs maslf wht i feel readin thease tiny outburst of an xtraordinry heart..
Kudos..mrs rychoudri..
Keep goin..u r here to stay..u hv it in u.
Thnx Sonamann(piyush Banerjee):)
মুছুনasadharan.. prottek ta just awesome. ami ageo bolechi abaro bolchi j tomar bangla bhashar upor dokhol atotai valo jeta anek boroboro poets dero thakena. tai ato sundor lage, r bhashar vitor diye sobkichu express ato finely hoy j tomar kobita bujhte kakhono problem hoyna... carry on this great work.. u r a bright star of the world of writting.. :) :) :)
উত্তরমুছুনThanx a lot. M honoured.....
উত্তরমুছুনsob kobita guli asadharon .tarmodhay prothom duto kobita jeno extraordinary.
উত্তরমুছুনThnq dada. :)
উত্তরমুছুনAlthough bujhlam na onektai..tobe besh bhalo laglo pore..shobgulo porar chesta korechi..love you didi.. :-))
উত্তরমুছুনThnx re...porechhis koshto kore , etai jotheshto ... bhalo thakis. :)
মুছুন