উল্কার ২০ টি কবিতা
স্বপ্ন
প্রজাপতি চীৎকার-
ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠে রাইভেল সমবেদনা
সূর্যমুখীরা প্রভাত ফেরির আগেই
মুছে দিয়েছে নতুন দিনের গায়ে হলুদ…
ক্যামেরা
ফিল্ম লোড: মৃত্যুরা আরাম পায়না
লেন্স সেট: মৃত্যুরা আরাম চাইছে
ফ্ল্যাশ অন: মৃত্যুরা আরাম খুঁজলো
ক্লিক টোন...
ডার্ক রুম! অপমৃত্যু...
হুইস্ল
মিউট স্বীকারোক্তি-
জুতোর ফিতের অলিখিত বিয়োজক, অসূয়া।
প্রভাতীর স্তনে খাস তেহেল্কা যোগের প্রসেস
তৃতীয় স্তবকে এসে আটকেছে জারজ সন্তান...
ময়না তদন্তে পেরিস্টলসিস থামার ফুট প্রিন্ট
লিটিল ম্যাগের জঞ্জালে খোঁজে বেওয়ারিশ হ্যান্ডকাফ
দলাদলি খেলা খেলে চিনা আর মাটির ক্রকারি!
সজ্জা
আতসবাজির আতিশয্যে আতঙ্ক সাজাই
বালিতে সাজাই চোরাবালির চাক্ষুস চোরামি
ভয় সাজাই ভাবনাগুলোর পরিত্যক্ত খোলসে
যোগসূত্র খুঁজে সম্পর্ক সাজাই ভাঙা কুলোয়।
বিষণ্ণতা সাজাই তুমুল বানের জলোচ্ছ্বাসে
আর যা কিছু সাজাই গোলাপকাঁটার ফ্রেমে।
জাজমেন্ট ডে
কাকচোর ছিপ ফেলে
তুলে আনে নিশুতির মুখ...
দণ্ডিত পৃথিবী-
লুটোপুটি মেরু স্ক্যাণ্ডেল!
এলিভেটর, স্বর্গের ম্যাগনেট দোরে
বাতি দেয় নিবিরুর ভিনগ্রহী শব
স্লিপ ওয়াকিং মোড
স্ট্যান্ডবাই...
বিচারের শেষ কটা রাত ঘুম নেই
বেঁকে যাওয়া কক্ষপথের ক্যারাভ্যানে...
বিনিময়
আমি হারাতে চাইনি ওকে
সনেট কবিতা বিনিময়ে...
আটকে ফেলেছি যত দুই তিন লাইনের ক্ষোভ
গিনিপিগ খাঁচার চাকায় ওরা ফোঁসফোঁস
দৌড়ায় এক ফালি লাল অন্দর।
শিউলির ডালে বসে হাওয়া ভরি
পালক উড়ান...
ওয়েটিং লিস্ট থেকে উঁকিঝুঁকি কনফার্ম কবিতার প্লটে
ব্রেল পুঁতে মুছে দিই আনকোরা ইগো অনটন
সনেট কবিতা থেকে খুঁজে ফিরি চতুর্দশী রাত
বিনিময়ে হারিয়েছি জীবন্ত চোখের মহড়া।
ইনফ্যাচুয়েশান
অঙ্ক স্যারের চোখে ঝিলিমিলি লোমের পর্দা ছিঁড়ে
স্পেকট্রামে তেড়ে এল 'অ' এ অজগর-
কম্পাস এঁকে দিয়ে একপাতা বৃত্ত রেখা
থেমে গেছে শুরু থেকে অবশেষ বিন্দু অধরে
প্রথম রাউন্ড কিস আর সোজা সার্জারি
পিন গহ্বর
ঘূর্ণন সংজ্ঞায় পড়ে থাকে এক সাইকেল ইনফ্যাচুয়েশান!
অনু-সঙ্গ
গ্লোবাল ওয়ারমিং
তবে দুটো গাছের কবিতা হোক...
পাতা জোড়া মাত্রাবৃত্ত ঘুরপাকে কাণ্ডজ্ঞ্যান
ফেলে যায় পতঙ্গ স্তব
চায়ের পাতায় জমা পড়ে রেয়ার ব্ল্যাক আউট!
আমি তবু ছাতায় ভাসিনি...
স্কুল গার্ল ঝুঁটির রিবন খুলে দেয় ই ভি এস ঝিম
ক্লোরোফিলে চুবে আছে একটি ভাওয়েল
পঞ্চ ব্যাঞ্জন রাঁধা পড়ে আছে ইগলুর কোনে...
দলবৃত্তে কেঁপে উঠল শেষ রাত্রির স্যাকারিন!
রোদ চশমা
উন্মুক্ত তামাক প্যাকেটে লাইফ ইন্সিওরেন্স
ইনফিনিটির ফিনকি ছুটিয়ে জ্বালিয়ে দিল
রোদ চশমার ওয়ারেন্টি পিরিয়ড।
চোখপটে ব্রেক ফেল অস্ত্রোপচার
এলোমেলো ছড়িয়েছে কনিষ্ক চেহারার খোঁজে...
সতীদাহে অগুনতি আগ্নেয় ফোস্কা
জমাট বেঁধেছে সুফলা সপ্তম গর্ভের লোমে
জন্ম নিয়েছে কিছু অথর্ব শ্যামের প্রলাপ
রোদ চশমায় আগুনের রঙগুলো
সেই থেকে সাদাই রয়েছে...
ক্যান্টিন
প্রেম চাঁদোয়ায় একজোড়া শালিখ
মিটিমিটি
নিরামিষ মেনুকার্ডে ঝলসানো দুধের পোশাক
গায়ে র্যাম্প হাঁটে বনসাই বিকেলের রোদ...
ককপিটে আজ আমি একাই চালক
র্যাডার জলসায় রাখি নিয়ম আজুবা কুলুপ
বই দু তিন থেকে হাবিজাবি লেবার গ্রাহক
রবীন্দ্র সেলফে জেগে শুয়ে থাক শীতল শোধন।
চায়ের কাপের ধোঁয়া অটুট গলির রেখায়...
কবিতায় বেঁচে থাক ঝগড়ুটে শালিখের দল!
এয়ার পকেট
একচোখ কালো করা ঘুমটা দোলন!
গোলাপি ঠোঁট চাপা ইংলিশ ফন্ট
শেষের উড়ানে কটা বাংলা গড়িয়ে পড়েছিল।
ঘুরে দাঁড়ালেন নম্র বিমান সেবিকা
মূকাভিনয়
চৌকো নখ
লাল নেল পালিশ
জড় পা নেট লেগিন্স
পেডিকিওর
হাতে অক্সিজেন মুখোশ
তুলোর পুতুল ভরা বেডরুমে শৈশব কাল
স্কাটে ঝোলে এয়ার পকেট
ওঠে নামে মেঘেদের পথ
রানওয়ে
আবহ সঙ্গীতে পা ফেললেন নারী...
সেমি ফাইনাল
আমি ঘুমিয়ে পড়লে শহর গড়িয়ে যায়
পয়ঃপ্রণালীর বদ্ধ জলাশয়ে
ছিপে টোপ ফাতনা কাহন
ব্যাঙাচির লেজ খসে পড়ে যায়
অ্যাডাল্ট মোচড়-
ঘুমের ঘোরে আমি
সেমি ফাইনাল নজরে বেড়েছি...
সময়
পশম রাত্রি হানা
বাটখারা শুধু জানে কত ধানে কত হয় চাল
এক পেট খিদে নিয়ে আগুনেও হাওয়া গিলে নেয়
মানুষের চামড়ায় লেগে থাকে ওমের প্রলেপ।
হাড়ে মাসে কনকেভ বছরে বছর-
ধর্ষিত স্ত্রীলিঙ্গে গোঁজা আছে দশ টাকা ফ্রি
বেওয়ারিশ ষ্ট্যাম্প আঁটে জাপানি তেলের পোস্টার!
পশম রাত্রি ফেরি করে ব্রেনে ঢালে
মগজ ওয়াশিং পাউডার!
হাফেরও হাফের ফ্রি দামে...
দাঁড়িপাল্লায় দামে বাড়ে দুটো কাঁচকলা!
রঙ
বেমানির রঙটা ঠিক কেমন?
প্রশ্নটা শুনে উত্তরের সাথে
তৎসম সদ্ভাব জমাতে জমাতেই-
আরে আরে...ধর ধর...
ধুর্!
ওটা ক্লাস সেভেন ভৌতবিজ্ঞানের
পাতায় মোড়া বিলীয়মান রঙ ছিল যে...
মা এবং...
মায়ের চুল উড়িয়ে ছুটে চলেছে
তুফান এক্সপ্রেস-
সাদা কালো অ্যারাইভালো
কুড়ি কেজি স্মৃতির ওজোন স্তর ভেদ করে
নেমে আসে আপেল বেলুন
ঘূর্ণির ঘোড়া কুলফির দুধ গোলা জল
আলো আর বাহারি আদর
বোধনের সন্ধ্যেকে বিদায় জানাতে পারছেনা
আপার বার্থে কেবেল ফল্ট!
রিসেন্ট আপডেট-
আমি হারিয়ে যাচ্ছি মা...
অ্যাস-ট্রে-নামি
পর্দায় দেখে শেখা লুকোচুরি ফার্স্ট লাভ
ব্লিচকাম-পাস কিছুটা অজানা রাত
মুখে যৌনতা চিপে ঘোরে প্যাণ্টির ম্যাজেন্টা রোগ
পিথাগোরাসের তিন ভুজ ভাষা
স্কোয়ার জামানা শিরোনাম ছুঁড়ে মারে
খয়েরির কিছু পক্ষ কবিতা ডানা কাটা পরী
ডেটল সাবান মর্গ সাফ করে ফেলে যায়
পেনড্রাইভ ভরা গলা মোমের ঠিকুজী
লিজের ম্যানিয়া ডরপোক চোরা চোখ
প্রেসক্রিপশন ডুপ্লেক্স ট্রুপ
ক্যাচ আউট সুপার হিম্যান
ব্যালে নখ জুড়ে প্ল্যাটিপাস হারপিস
সেমি কোলন...
রেয়ার মেথড শুঁকে হাঁচি পায় প্রেমের আরকে!
অনুভূতি
আর যত আরাম জমিয়েছি তোর নামে
শামুখের খোলের প্রতিটা ঘুরপাকে,
তিনশো-ষাট ডিগ্রি
সেটস্স্কোয়ারের গা থেকে মুছে গেছে কাটা দাগ
তাই ব্যাসার্ধ হিসেব গুলিয়েছে যতবার
তিনশো-ষাটে লাল হয়েছে উত্তেজিত শরীর।
নিষিদ্ধ রদবদল
হঠাৎ কটা রদবদলের প্রয়োজন হলো
ক্লান্ত শরীরটা সিঁড়িতে ঘষে ছাপ রাখলাম
ভাঙা দরজা চৌকাঠের আধখাওয়া পাপোষে।
লেবুলঙ্কা কামশৈলী হয়ে ঝোলে দরজায়
কামুক জ্বালা জানলায় পর্দা, হাওয়ার ধাক্কায় ছটফট করে
আমি ক্যাকটাসে কামড় বসাই।
পাঁচ মেশালি ফ্লেভারের কব্জায় মগজাস্ত্র...
দুরভিসন্ধির বুলেটিনে বেছানো লাল কার্পেট।
দুর্ধর্ষন যাচ্ঞা
প্রার্থনা তেলজল
একমুঠো বিঠোভেনে কৃত্রিম কাপুরুষ
ভেনমে ভার্জিনিটি!
আকাশ ফাটিয়ে অঙ্গীকার
রদদল নির্যশ নিষিদ্ধ।
কা কস্য পরিবেদনা...
অসম
আধখানা পাউরুটি পেতে
শয্যার ডিঙা পেরলাম
সাথে দুটো আলু আর ভাতে
শাক দিয়ে গলা টিপলাম।
কেরোসিন আর পোড়া ঘুঁটে
দাম কার বেশি গুনলাম
মাছ ধরি মাছরাঙা দিয়ে
তবু ভুলে জাল বুনলাম!
মননে বেশ
বিপন্নতার সাথে আমার ঘর
নুন মেখে রাখা পান্তা ফুরিয়ে যায়
কব্জা করেছি দু-গাছি বুনো ঘাস
নিঙড়ানো রসে কবিতারা রূপ পায়
আদরের ভাষা কোলাহলো-চিৎকার
নেপথ্যে থাকে বিতিকিচ্ছিরি ছাই
মনের ঘরে ভারা বেঁধে মেরামতি
আলো থেকে ঝরে আঁধারের রোশনাই।
স্বপ্ন
প্রজাপতি চীৎকার-
ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠে রাইভেল সমবেদনা
সূর্যমুখীরা প্রভাত ফেরির আগেই
মুছে দিয়েছে নতুন দিনের গায়ে হলুদ…
ক্যামেরা
ফিল্ম লোড: মৃত্যুরা আরাম পায়না
লেন্স সেট: মৃত্যুরা আরাম চাইছে
ফ্ল্যাশ অন: মৃত্যুরা আরাম খুঁজলো
ক্লিক টোন...
ডার্ক রুম! অপমৃত্যু...
হুইস্ল
মিউট স্বীকারোক্তি-
জুতোর ফিতের অলিখিত বিয়োজক, অসূয়া।
প্রভাতীর স্তনে খাস তেহেল্কা যোগের প্রসেস
তৃতীয় স্তবকে এসে আটকেছে জারজ সন্তান...
ময়না তদন্তে পেরিস্টলসিস থামার ফুট প্রিন্ট
লিটিল ম্যাগের জঞ্জালে খোঁজে বেওয়ারিশ হ্যান্ডকাফ
দলাদলি খেলা খেলে চিনা আর মাটির ক্রকারি!
সজ্জা
আতসবাজির আতিশয্যে আতঙ্ক সাজাই
বালিতে সাজাই চোরাবালির চাক্ষুস চোরামি
ভয় সাজাই ভাবনাগুলোর পরিত্যক্ত খোলসে
যোগসূত্র খুঁজে সম্পর্ক সাজাই ভাঙা কুলোয়।
বিষণ্ণতা সাজাই তুমুল বানের জলোচ্ছ্বাসে
আর যা কিছু সাজাই গোলাপকাঁটার ফ্রেমে।
জাজমেন্ট ডে
কাকচোর ছিপ ফেলে
তুলে আনে নিশুতির মুখ...
দণ্ডিত পৃথিবী-
লুটোপুটি মেরু স্ক্যাণ্ডেল!
এলিভেটর, স্বর্গের ম্যাগনেট দোরে
বাতি দেয় নিবিরুর ভিনগ্রহী শব
স্লিপ ওয়াকিং মোড
স্ট্যান্ডবাই...
বিচারের শেষ কটা রাত ঘুম নেই
বেঁকে যাওয়া কক্ষপথের ক্যারাভ্যানে...
বিনিময়
আমি হারাতে চাইনি ওকে
সনেট কবিতা বিনিময়ে...
আটকে ফেলেছি যত দুই তিন লাইনের ক্ষোভ
গিনিপিগ খাঁচার চাকায় ওরা ফোঁসফোঁস
দৌড়ায় এক ফালি লাল অন্দর।
শিউলির ডালে বসে হাওয়া ভরি
পালক উড়ান...
ওয়েটিং লিস্ট থেকে উঁকিঝুঁকি কনফার্ম কবিতার প্লটে
ব্রেল পুঁতে মুছে দিই আনকোরা ইগো অনটন
সনেট কবিতা থেকে খুঁজে ফিরি চতুর্দশী রাত
বিনিময়ে হারিয়েছি জীবন্ত চোখের মহড়া।
ইনফ্যাচুয়েশান
অঙ্ক স্যারের চোখে ঝিলিমিলি লোমের পর্দা ছিঁড়ে
স্পেকট্রামে তেড়ে এল 'অ' এ অজগর-
কম্পাস এঁকে দিয়ে একপাতা বৃত্ত রেখা
থেমে গেছে শুরু থেকে অবশেষ বিন্দু অধরে
প্রথম রাউন্ড কিস আর সোজা সার্জারি
পিন গহ্বর
ঘূর্ণন সংজ্ঞায় পড়ে থাকে এক সাইকেল ইনফ্যাচুয়েশান!
অনু-সঙ্গ
গ্লোবাল ওয়ারমিং
তবে দুটো গাছের কবিতা হোক...
পাতা জোড়া মাত্রাবৃত্ত ঘুরপাকে কাণ্ডজ্ঞ্যান
ফেলে যায় পতঙ্গ স্তব
চায়ের পাতায় জমা পড়ে রেয়ার ব্ল্যাক আউট!
আমি তবু ছাতায় ভাসিনি...
স্কুল গার্ল ঝুঁটির রিবন খুলে দেয় ই ভি এস ঝিম
ক্লোরোফিলে চুবে আছে একটি ভাওয়েল
পঞ্চ ব্যাঞ্জন রাঁধা পড়ে আছে ইগলুর কোনে...
দলবৃত্তে কেঁপে উঠল শেষ রাত্রির স্যাকারিন!
রোদ চশমা
উন্মুক্ত তামাক প্যাকেটে লাইফ ইন্সিওরেন্স
ইনফিনিটির ফিনকি ছুটিয়ে জ্বালিয়ে দিল
রোদ চশমার ওয়ারেন্টি পিরিয়ড।
চোখপটে ব্রেক ফেল অস্ত্রোপচার
এলোমেলো ছড়িয়েছে কনিষ্ক চেহারার খোঁজে...
সতীদাহে অগুনতি আগ্নেয় ফোস্কা
জমাট বেঁধেছে সুফলা সপ্তম গর্ভের লোমে
জন্ম নিয়েছে কিছু অথর্ব শ্যামের প্রলাপ
রোদ চশমায় আগুনের রঙগুলো
সেই থেকে সাদাই রয়েছে...
ক্যান্টিন
প্রেম চাঁদোয়ায় একজোড়া শালিখ
মিটিমিটি
নিরামিষ মেনুকার্ডে ঝলসানো দুধের পোশাক
গায়ে র্যাম্প হাঁটে বনসাই বিকেলের রোদ...
ককপিটে আজ আমি একাই চালক
র্যাডার জলসায় রাখি নিয়ম আজুবা কুলুপ
বই দু তিন থেকে হাবিজাবি লেবার গ্রাহক
রবীন্দ্র সেলফে জেগে শুয়ে থাক শীতল শোধন।
চায়ের কাপের ধোঁয়া অটুট গলির রেখায়...
কবিতায় বেঁচে থাক ঝগড়ুটে শালিখের দল!
এয়ার পকেট
একচোখ কালো করা ঘুমটা দোলন!
গোলাপি ঠোঁট চাপা ইংলিশ ফন্ট
শেষের উড়ানে কটা বাংলা গড়িয়ে পড়েছিল।
ঘুরে দাঁড়ালেন নম্র বিমান সেবিকা
মূকাভিনয়
চৌকো নখ
লাল নেল পালিশ
জড় পা নেট লেগিন্স
পেডিকিওর
হাতে অক্সিজেন মুখোশ
তুলোর পুতুল ভরা বেডরুমে শৈশব কাল
স্কাটে ঝোলে এয়ার পকেট
ওঠে নামে মেঘেদের পথ
রানওয়ে
আবহ সঙ্গীতে পা ফেললেন নারী...
সেমি ফাইনাল
আমি ঘুমিয়ে পড়লে শহর গড়িয়ে যায়
পয়ঃপ্রণালীর বদ্ধ জলাশয়ে
ছিপে টোপ ফাতনা কাহন
ব্যাঙাচির লেজ খসে পড়ে যায়
অ্যাডাল্ট মোচড়-
ঘুমের ঘোরে আমি
সেমি ফাইনাল নজরে বেড়েছি...
সময়
পশম রাত্রি হানা
বাটখারা শুধু জানে কত ধানে কত হয় চাল
এক পেট খিদে নিয়ে আগুনেও হাওয়া গিলে নেয়
মানুষের চামড়ায় লেগে থাকে ওমের প্রলেপ।
হাড়ে মাসে কনকেভ বছরে বছর-
ধর্ষিত স্ত্রীলিঙ্গে গোঁজা আছে দশ টাকা ফ্রি
বেওয়ারিশ ষ্ট্যাম্প আঁটে জাপানি তেলের পোস্টার!
পশম রাত্রি ফেরি করে ব্রেনে ঢালে
মগজ ওয়াশিং পাউডার!
হাফেরও হাফের ফ্রি দামে...
দাঁড়িপাল্লায় দামে বাড়ে দুটো কাঁচকলা!
রঙ
বেমানির রঙটা ঠিক কেমন?
প্রশ্নটা শুনে উত্তরের সাথে
তৎসম সদ্ভাব জমাতে জমাতেই-
আরে আরে...ধর ধর...
ধুর্!
ওটা ক্লাস সেভেন ভৌতবিজ্ঞানের
পাতায় মোড়া বিলীয়মান রঙ ছিল যে...
মা এবং...
মায়ের চুল উড়িয়ে ছুটে চলেছে
তুফান এক্সপ্রেস-
সাদা কালো অ্যারাইভালো
কুড়ি কেজি স্মৃতির ওজোন স্তর ভেদ করে
নেমে আসে আপেল বেলুন
ঘূর্ণির ঘোড়া কুলফির দুধ গোলা জল
আলো আর বাহারি আদর
বোধনের সন্ধ্যেকে বিদায় জানাতে পারছেনা
আপার বার্থে কেবেল ফল্ট!
রিসেন্ট আপডেট-
আমি হারিয়ে যাচ্ছি মা...
অ্যাস-ট্রে-নামি
পর্দায় দেখে শেখা লুকোচুরি ফার্স্ট লাভ
ব্লিচকাম-পাস কিছুটা অজানা রাত
মুখে যৌনতা চিপে ঘোরে প্যাণ্টির ম্যাজেন্টা রোগ
পিথাগোরাসের তিন ভুজ ভাষা
স্কোয়ার জামানা শিরোনাম ছুঁড়ে মারে
খয়েরির কিছু পক্ষ কবিতা ডানা কাটা পরী
ডেটল সাবান মর্গ সাফ করে ফেলে যায়
পেনড্রাইভ ভরা গলা মোমের ঠিকুজী
লিজের ম্যানিয়া ডরপোক চোরা চোখ
প্রেসক্রিপশন ডুপ্লেক্স ট্রুপ
ক্যাচ আউট সুপার হিম্যান
ব্যালে নখ জুড়ে প্ল্যাটিপাস হারপিস
সেমি কোলন...
রেয়ার মেথড শুঁকে হাঁচি পায় প্রেমের আরকে!
অনুভূতি
আর যত আরাম জমিয়েছি তোর নামে
শামুখের খোলের প্রতিটা ঘুরপাকে,
তিনশো-ষাট ডিগ্রি
সেটস্স্কোয়ারের গা থেকে মুছে গেছে কাটা দাগ
তাই ব্যাসার্ধ হিসেব গুলিয়েছে যতবার
তিনশো-ষাটে লাল হয়েছে উত্তেজিত শরীর।
নিষিদ্ধ রদবদল
হঠাৎ কটা রদবদলের প্রয়োজন হলো
ক্লান্ত শরীরটা সিঁড়িতে ঘষে ছাপ রাখলাম
ভাঙা দরজা চৌকাঠের আধখাওয়া পাপোষে।
লেবুলঙ্কা কামশৈলী হয়ে ঝোলে দরজায়
কামুক জ্বালা জানলায় পর্দা, হাওয়ার ধাক্কায় ছটফট করে
আমি ক্যাকটাসে কামড় বসাই।
পাঁচ মেশালি ফ্লেভারের কব্জায় মগজাস্ত্র...
দুরভিসন্ধির বুলেটিনে বেছানো লাল কার্পেট।
দুর্ধর্ষন যাচ্ঞা
প্রার্থনা তেলজল
একমুঠো বিঠোভেনে কৃত্রিম কাপুরুষ
ভেনমে ভার্জিনিটি!
আকাশ ফাটিয়ে অঙ্গীকার
রদদল নির্যশ নিষিদ্ধ।
কা কস্য পরিবেদনা...
অসম
আধখানা পাউরুটি পেতে
শয্যার ডিঙা পেরলাম
সাথে দুটো আলু আর ভাতে
শাক দিয়ে গলা টিপলাম।
কেরোসিন আর পোড়া ঘুঁটে
দাম কার বেশি গুনলাম
মাছ ধরি মাছরাঙা দিয়ে
তবু ভুলে জাল বুনলাম!
মননে বেশ
বিপন্নতার সাথে আমার ঘর
নুন মেখে রাখা পান্তা ফুরিয়ে যায়
কব্জা করেছি দু-গাছি বুনো ঘাস
নিঙড়ানো রসে কবিতারা রূপ পায়
আদরের ভাষা কোলাহলো-চিৎকার
নেপথ্যে থাকে বিতিকিচ্ছিরি ছাই
মনের ঘরে ভারা বেঁধে মেরামতি
আলো থেকে ঝরে আঁধারের রোশনাই।
khub bhalo laglo
উত্তরমুছুন