হারানো চিলেকোঠা ও পুতুলখেলা
আমি শৈশবে ফেরত যেতে চাই
হারানো শৈশবে- যাবে আমার সাথে?
আমার শৈশবে একটি চিলেকোঠা আছে- একটি পুতুল খেলার বাক্সো আছে- একটি আধুনান্তিক খেলাঘর আছে- একটি কাঠের ও মাটির তৈরি সিড়ি আছে। এবং আছে একটি প্লাস্টিক ইয়ো ইয়ো। সারা জীবন চেয়েছি এদেরকে। কিন্তু পাইনি কাছে। একবার বাবার কাছে গোঁ ধরে চেয়েছিলাম আমাকে একটা ইয়ো ইয়ো কিনে দাও। বাবা বলেছিল আগামী বছর। আমি মায়ের চোখে চিকচিকে জল দেখেছিলাম। আহ- জল। আমাকে শৈশবে নিয়ে চল। আমি সেখানে জল নদীতে সাঁতার কাটবো। আশ্রিত হবো সকালের মৃদু জলে। আমি চলে যেতে শুরু করলেই হবে। ঠিক আছে- যাওয়া যাক।
এক
দুই
তিন
ইয়ো ও ও ও
আমি ফেরত গেলাম। ঠিক আছে- না হয় ফেরত যাবার প্রক্রিয়া তোমাকেও শিখিয়ে দেবো। এখন আসো- খেলা শুরু করি। ওঠা শুরু কর মাটির সিঁড়ি বেয়ে। এই সিঁড়ি এখন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ইটের সিড়ি বানানো হবে বলে। এখন এটা নেই। তবুও আছে আমার কল্পনাতে। এসো আমার কল্পনাতে। এখানে কল্পনার জড়বাস্তবতা তোমাকে ও কল্পনাতাড়িত করতে পারে। সুতারাং সাবধান পড়ে যাবে সিঁড়ি ভেঙ্গে।
এইদিকে এখন একটি খাট আছে ভাঙ্গা। ছোটবেলা আমি এটাতেই ঘুমাতাম। এই খাটের তলাতেও রাখা আছে পুতুলের বাক্সো। চকচকে বাক্সোটা এখন জংধরে গেছে। এখনকার চিন্তা কোরো না। আমার চিন্তাতে এসো। একে চিন্তা করো চকচকে ধারালো বাক্সো রূপে। ছোটবেলা আমি একে বাস্কো বলতাম। এখন এঁকে বাক্স বলি। বাস্কো কখন বাক্স হয়ে যায়- জানার উপায় থাকে না।
খুলে দেখো - এখানে একটি ময়লা পুতুল আছে। মায়ের ছিঁড়ে যাওয়া শাড়ির পুরোনো পাড় দিয়ে বানিয়েছিলাম এটাকে। এখন এটাকেই চকচকে পুরোনো পুতুল মনে করো। চেয়ে দেখো আমার নরম আঙ্গুল দিয়ে এঁকে দেয়া চোখ দুটো কেমন যেন হেসে চলেছে। নাকের ফুটো আঁকতে ভুলে গেছিলাম। দেখো নীচেই একটা মুখ আছে। আমি এটাকে এঁকেছিলাম মায়ের মুখের সাথে মিলিয়ে। মায়ের মুখ এখন আর এমন নেই। বুড়ো হয়ে ঝুড়ঝুড়ে হয়েছে। মাকে এখন বড় বেশি বুড়ো মনে হয়। আমারও দাড়ি পেকেছে কয়েকটা। চুল পেকে একাকার। যাইহোক - আমার শৈশবে আবার এসো। এসো, মন দিয়ে দেখবে এখন পুতুল বে’। পুতুলের বে’ হবে ভাবতেই আমার লজ্জা পেত ছোটবেলা। ছোটবেলা- নাকি আমার আসল বয়সে। কে জানে।
আহা- কী সংগীত। পুতুলের বিবাহ শেষ হল। এখন আসো আমরা ইয়ো-ইয়ো খেলব। এঁকে তর্জনীতে লাগিয়ে নিয়ে ছেড়ে দিতে হয় যেমন করে আমি একটু পরেই ছেড়ে দেবো এই ঘর- এই বাড়ি- এই পুতুল খেলার বাক্সো- সবকিছু। ছেড়ে দেবো আমার স্মৃতির অতলে। এঁকে নিয়ে খেলব ইয়ো ইয়ো।
আহা নেবে এসো- এসো বলছি
তুমি আমার মাথায় চড়ে বসেছ
তোমাকে চিলেকোঠাতে বেড়াতে নিয়েছিলাম
তুমি আমার চিলেকোঠা দখল করতে চেয়েছ
সুতারাং নেমে এসো
এক্ষুনি।
এখানে এখন এটা থাকবে না। ইঁটের ঘর উঠবে। মোজাইক টাইলস হবে। জ্বলবে পেন্সিল বাতি। ল্যাম্পের আলো জেলে এখানে কেউ তোমাকে খুঁজতে আসবে না। এখানে নেমে আসবে ইলেকট্রিক অন্ধকার। তারপর খেলা শেষ।
আমি শৈশবে ফেরত যেতে চাই
হারানো শৈশবে- যাবে আমার সাথে?
আমার শৈশবে একটি চিলেকোঠা আছে- একটি পুতুল খেলার বাক্সো আছে- একটি আধুনান্তিক খেলাঘর আছে- একটি কাঠের ও মাটির তৈরি সিড়ি আছে। এবং আছে একটি প্লাস্টিক ইয়ো ইয়ো। সারা জীবন চেয়েছি এদেরকে। কিন্তু পাইনি কাছে। একবার বাবার কাছে গোঁ ধরে চেয়েছিলাম আমাকে একটা ইয়ো ইয়ো কিনে দাও। বাবা বলেছিল আগামী বছর। আমি মায়ের চোখে চিকচিকে জল দেখেছিলাম। আহ- জল। আমাকে শৈশবে নিয়ে চল। আমি সেখানে জল নদীতে সাঁতার কাটবো। আশ্রিত হবো সকালের মৃদু জলে। আমি চলে যেতে শুরু করলেই হবে। ঠিক আছে- যাওয়া যাক।
এক
দুই
তিন
ইয়ো ও ও ও
আমি ফেরত গেলাম। ঠিক আছে- না হয় ফেরত যাবার প্রক্রিয়া তোমাকেও শিখিয়ে দেবো। এখন আসো- খেলা শুরু করি। ওঠা শুরু কর মাটির সিঁড়ি বেয়ে। এই সিঁড়ি এখন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ইটের সিড়ি বানানো হবে বলে। এখন এটা নেই। তবুও আছে আমার কল্পনাতে। এসো আমার কল্পনাতে। এখানে কল্পনার জড়বাস্তবতা তোমাকে ও কল্পনাতাড়িত করতে পারে। সুতারাং সাবধান পড়ে যাবে সিঁড়ি ভেঙ্গে।
এইদিকে এখন একটি খাট আছে ভাঙ্গা। ছোটবেলা আমি এটাতেই ঘুমাতাম। এই খাটের তলাতেও রাখা আছে পুতুলের বাক্সো। চকচকে বাক্সোটা এখন জংধরে গেছে। এখনকার চিন্তা কোরো না। আমার চিন্তাতে এসো। একে চিন্তা করো চকচকে ধারালো বাক্সো রূপে। ছোটবেলা আমি একে বাস্কো বলতাম। এখন এঁকে বাক্স বলি। বাস্কো কখন বাক্স হয়ে যায়- জানার উপায় থাকে না।
খুলে দেখো - এখানে একটি ময়লা পুতুল আছে। মায়ের ছিঁড়ে যাওয়া শাড়ির পুরোনো পাড় দিয়ে বানিয়েছিলাম এটাকে। এখন এটাকেই চকচকে পুরোনো পুতুল মনে করো। চেয়ে দেখো আমার নরম আঙ্গুল দিয়ে এঁকে দেয়া চোখ দুটো কেমন যেন হেসে চলেছে। নাকের ফুটো আঁকতে ভুলে গেছিলাম। দেখো নীচেই একটা মুখ আছে। আমি এটাকে এঁকেছিলাম মায়ের মুখের সাথে মিলিয়ে। মায়ের মুখ এখন আর এমন নেই। বুড়ো হয়ে ঝুড়ঝুড়ে হয়েছে। মাকে এখন বড় বেশি বুড়ো মনে হয়। আমারও দাড়ি পেকেছে কয়েকটা। চুল পেকে একাকার। যাইহোক - আমার শৈশবে আবার এসো। এসো, মন দিয়ে দেখবে এখন পুতুল বে’। পুতুলের বে’ হবে ভাবতেই আমার লজ্জা পেত ছোটবেলা। ছোটবেলা- নাকি আমার আসল বয়সে। কে জানে।
ঢ্যাং কুড় কুড় ঢ্যাং কুড় কুড়
পুতুল খেলার ক্ষণ এলো রে
পুতুল খেলার ক্ষণ এলো রে।।
পুতুল খেলার ক্ষণ এলো রে
পুতুল খেলার ক্ষণ এলো রে।।
আহা- কী সংগীত। পুতুলের বিবাহ শেষ হল। এখন আসো আমরা ইয়ো-ইয়ো খেলব। এঁকে তর্জনীতে লাগিয়ে নিয়ে ছেড়ে দিতে হয় যেমন করে আমি একটু পরেই ছেড়ে দেবো এই ঘর- এই বাড়ি- এই পুতুল খেলার বাক্সো- সবকিছু। ছেড়ে দেবো আমার স্মৃতির অতলে। এঁকে নিয়ে খেলব ইয়ো ইয়ো।
আহা নেবে এসো- এসো বলছি
তুমি আমার মাথায় চড়ে বসেছ
তোমাকে চিলেকোঠাতে বেড়াতে নিয়েছিলাম
তুমি আমার চিলেকোঠা দখল করতে চেয়েছ
সুতারাং নেমে এসো
এক্ষুনি।
এখানে এখন এটা থাকবে না। ইঁটের ঘর উঠবে। মোজাইক টাইলস হবে। জ্বলবে পেন্সিল বাতি। ল্যাম্পের আলো জেলে এখানে কেউ তোমাকে খুঁজতে আসবে না। এখানে নেমে আসবে ইলেকট্রিক অন্ধকার। তারপর খেলা শেষ।
আমিও শৈশবে ফেরত যেতে চাই , চল যাই.........
উত্তরমুছুনচলে আসুন
উত্তরমুছুন