সম্পাদকীয়
মানুষগুলো গিরিগিটির মতো খোলোস ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে যায় রঙ থেকে রঙে। বিশেষত, এই বাংলায় এখন যেন মানুষের একমাত্র পরিচয় রঙে। রঙ দিয়ে যায় চেনা। রঙের আমি রঙের তুমি। ভারতীয় না। বাঙালিও না। সে অর্থে রঙিন। শুধু বন্দুকের নলই নয়, রঙও ক্ষমতার উত্স। রঙ বলে দেবে তুমি কোন পথে যাবে। রঙ বলে দেবে তুমি কি স্বপ্ন দেখবে। হীরক রাজার যন্তর-মন্তরে মগজ ধোলাই করে রঙ তোমাকে শিখিয়ে দেবে তোতাবুলি। জপতে থাকবে অন্ধবিশ্বাসীর মতো। আবার হাজার অপরাধ কর না তুমি, রঙ মিলে গেলে ফাঁসি হবে না। যমের দুয়ার থেকে বাঁচিয়ে আনবে। আর, গণতন্ত্রকে রঙ মাখিয়ে শালুতে পুঁটুলি বেঁধে গুমঘরের প্রেতকোণে টাঙিয়ে রাখবে। তাই, তুমি মানুষ না জানোয়ার? তুমি হিন্দু না মুসলমান? তুমি ধনী না দরিদ্র? তুমি শিশু না বৃদ্ধ? তুমি নারী না পুরুষ? এসব কিছুই বড় কথা নয়। বড় কথা তুমি কোন রঙে নিজেকে শিয়াল সাজিয়েছ! বেরং থেকেছ তো, হর্তা-কর্তা-বিধাতার লুকোনো তুলির তীক্ষ্ণ টানে টুকটুকে করে তুলবে তোমার মন, তোমার পরিচ্ছদ। ঘর-গেরস্থালি, ভিটে মাটিতেও সেই তুলির একছোপে আঁকা হয়ে যাবে নিমেষেই ধ্বংসরুপ।
হয়তো একদিন সাত রঙে রংধনু আঁকা হবে বাংলার আকাশে আকাশে। একদিন সত্যি সব রং খেলা যাবে কোনো এক বসন্তদিনে। হয়তো একদিন কোনো রঙ মানুষকে দলতন্ত্রে বাধ্য করবে না আর কোনোদিন। হয়তো কোনো শিশুর হাত পুড়বে না রঙের দাপটে। কোনো ঘর-গেরস্থালি, ভিটে মাটিতে আঁকা হবে না রঙিন নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা, বর্বরতা; বরং, মানুষের প্রতি ঘরে ঘরে রঙেরা এঁকে দেবে রাশি রাশি ভালোবাসা। গাছে গাছে আরো বেশি কিছু ফুল। একদিন নিশ্চয়ই সব রঙ নিজেদের সঁপে দেবে কবিতার পায়ে। কবিতাও যে প্রতিবাদেরই এক অনন্য উচ্চারণ। আর সেইদিন অবশ্যই কবিতারঙে রেঙে উঠবে মহাপৃথিবীর ‘বাতাস জল আকাশ আলো’। আসুন বন্ধুরা! এপার বাংলা, ওপার বাংলা, প্রবাসী বাংলা(লক্ষণার্থে)র সমস্ত বন্ধুরা আসুন আমরা সকলে মিলে সেইদিনের প্রতীক্ষায় বন্দুকের নল নয়, কবিতাকে শক্তিশালী করে তুলি। সকলে ভালো থাকুন! কবিতায় থাকুন! সর্বোপরি কবিতার জয় হোক...
রঙ-বেরং এ সাজল পুতুল ছোট্টো শিশুর হাত ধরে
ভোটরঙ্গে বঙ্গপুতুল মাতল খুনে, ছোট্টো শিশুর হাত পোড়ে...
মানুষগুলো গিরিগিটির মতো খোলোস ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে যায় রঙ থেকে রঙে। বিশেষত, এই বাংলায় এখন যেন মানুষের একমাত্র পরিচয় রঙে। রঙ দিয়ে যায় চেনা। রঙের আমি রঙের তুমি। ভারতীয় না। বাঙালিও না। সে অর্থে রঙিন। শুধু বন্দুকের নলই নয়, রঙও ক্ষমতার উত্স। রঙ বলে দেবে তুমি কোন পথে যাবে। রঙ বলে দেবে তুমি কি স্বপ্ন দেখবে। হীরক রাজার যন্তর-মন্তরে মগজ ধোলাই করে রঙ তোমাকে শিখিয়ে দেবে তোতাবুলি। জপতে থাকবে অন্ধবিশ্বাসীর মতো। আবার হাজার অপরাধ কর না তুমি, রঙ মিলে গেলে ফাঁসি হবে না। যমের দুয়ার থেকে বাঁচিয়ে আনবে। আর, গণতন্ত্রকে রঙ মাখিয়ে শালুতে পুঁটুলি বেঁধে গুমঘরের প্রেতকোণে টাঙিয়ে রাখবে। তাই, তুমি মানুষ না জানোয়ার? তুমি হিন্দু না মুসলমান? তুমি ধনী না দরিদ্র? তুমি শিশু না বৃদ্ধ? তুমি নারী না পুরুষ? এসব কিছুই বড় কথা নয়। বড় কথা তুমি কোন রঙে নিজেকে শিয়াল সাজিয়েছ! বেরং থেকেছ তো, হর্তা-কর্তা-বিধাতার লুকোনো তুলির তীক্ষ্ণ টানে টুকটুকে করে তুলবে তোমার মন, তোমার পরিচ্ছদ। ঘর-গেরস্থালি, ভিটে মাটিতেও সেই তুলির একছোপে আঁকা হয়ে যাবে নিমেষেই ধ্বংসরুপ।
‘তবু দূর আকাশে চাঁদ হাসে,
তবু ফুল ফোটে তার সুবাসে’...
হয়তো একদিন সাত রঙে রংধনু আঁকা হবে বাংলার আকাশে আকাশে। একদিন সত্যি সব রং খেলা যাবে কোনো এক বসন্তদিনে। হয়তো একদিন কোনো রঙ মানুষকে দলতন্ত্রে বাধ্য করবে না আর কোনোদিন। হয়তো কোনো শিশুর হাত পুড়বে না রঙের দাপটে। কোনো ঘর-গেরস্থালি, ভিটে মাটিতে আঁকা হবে না রঙিন নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা, বর্বরতা; বরং, মানুষের প্রতি ঘরে ঘরে রঙেরা এঁকে দেবে রাশি রাশি ভালোবাসা। গাছে গাছে আরো বেশি কিছু ফুল। একদিন নিশ্চয়ই সব রঙ নিজেদের সঁপে দেবে কবিতার পায়ে। কবিতাও যে প্রতিবাদেরই এক অনন্য উচ্চারণ। আর সেইদিন অবশ্যই কবিতারঙে রেঙে উঠবে মহাপৃথিবীর ‘বাতাস জল আকাশ আলো’। আসুন বন্ধুরা! এপার বাংলা, ওপার বাংলা, প্রবাসী বাংলা(লক্ষণার্থে)র সমস্ত বন্ধুরা আসুন আমরা সকলে মিলে সেইদিনের প্রতীক্ষায় বন্দুকের নল নয়, কবিতাকে শক্তিশালী করে তুলি। সকলে ভালো থাকুন! কবিতায় থাকুন! সর্বোপরি কবিতার জয় হোক...
ক্ষেপচুরিয়াসের পক্ষে
বাণীব্রত কুণ্ডু ও নাশিদা খান চৌধুরী
বাণীব্রত কুণ্ডু ও নাশিদা খান চৌধুরী
anoboddo
উত্তরমুছুন