সাফ্ল
অলোকপর্ণা
নীচে পড়ার একটা আরাম আছে, সমস্ত দায়ভার আলগা হয়ে কাঁধ থেকে ঝরে যায়। যেমন আমার হল, ব্যাগ থেকে সবজিগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে গেল যে যার নিজের মত,- মাইগ্রেশান। তিথি চেয়েছিল, ইউনিভার্সিটি থেকে, পরিবার থেকে, আমার থেকেও। বাদবাকীগুলো অনেক ঝড়ঝাপ্টা পার করে তিথিতে পৌঁছালেও আমি দেরী করিনি তাকে ছাড়পত্র দিতে। তিথি যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল, “তুমি যা বলো, তা করেই ছাড়ো।” স্তুতি না দোষারোপ,- আজ অবধি বুঝিনি আমি। তাই এরপরে আমি এমন কিছু বলিনি আর কখনও, যা আমার দ্বারা করা সম্ভব হবে না। তাই আমি বলেছি, অফিসে যাব, অফিসে বোনাস, বৎসরান্তে সি এল নিয়ে দীঘা, গোপালপুর সবই হবে। আমি করিও, বাবাকে হসপিটাল, মা কে ফিজিও, ভাইকে প্রাইভেট ফার্ম- সমস্তই করি। তাও আশ মিটলো কই। রোজ সূর্য ওঠার আগে আমি মনে মনে ভালো হয়ে চলার কথা বলে, ব্রাশ করে, আরো যা যা প্রত্যাশিত সমস্ত ‘করেই ছাড়ি’।
বাজারের পথে পুকুর পার, এখানে এখনো সে সব পুরনো ছায়া পড়ে আছে। সেসব ছায়া এখনো সিগারেট জ্বেলে চোখ বুজে বলে দিচ্ছে সি পি এমের আরও বছর পঞ্চাশ... দীর্ঘশ্বাসগুলো কলেজের দিন ছুঁয়ে ঘুরে ঘুরে টুপ করে জলের মধ্যে পড়ে, ছায়াগুলো ভয়ে কেঁপে যায়। বাজারের ব্যাগ আরও দৃঢ় হয়ে হাত চেপে ধরে, ঠিক যেন তিথি, রাস্তা পার হতে হবে যে। প্রচুর সিগনাল! প্রচুর যানজট। আরও যেসব সেপিয়াগুলো গাছতলায়, মিত্রদের রকে, বঙ্কু টি হাউসে ক্লিপড হয়ে আছে সেগুলোর দিকে তাকাইনা আর। হন হন করে হেঁটে যাই। নাহলে যে চোখে পড়ে যাবে, আজ অবধি যা করার কথা ছিল তার কিছুই আমি করে উঠিনি।
এবছর বাড়িতে ইলিশ এলো না। মা-র প্রিয়। ভাইয়ের মিউজিক সিস্টেম ভাইয়ের পিছু পিছু অফিস ফেরতা ঢুকে গেল ভাইয়ের একান্ত ঘরে। মা,- চিরকালের মত সেদিনও মিউট হয়ে থেকো। আমি আর মা পাশাপাশি ফ্যামিলি ফটোতে যেন সবচেয়ে বেশি সাদাকালো। আর বাবা... বাবা জল চেয়ে চেয়ে চাকরী জীবন থেকে ফিরে শয্যা নিলো যেদিন আমি নিশ্চিত হলাম এবার মরে গেলেই বাবা চাতক হয়ে জন্মাবে। চাতক চাতক, চাতক জীবন, চাতক চোখদুটোও,- এখনো আশা করে, এবারের মোড়টা পেরোলেই তিথিকে দোতলার ছাদে দেখা যাবে। বাজারের ব্যাগটা পর্যন্ত হাওয়ায় দুলে দুলে হেসে উঠলো।
সামনে বালিশে তুলো ভরার দোকান, তার পাশ কাটিয়ে মাংস কাঁটা গলি তিথির সিঁথির মত পশুর রক্তে লালচে। প্রতিবার মরন্ত মুরগী দেখেও নিরামিষাশী হওয়া হোল না। পাতে পড়লেই সব মাংস আমি হয়ে যায়,- আমি আর যাকে খাচ্ছি- সেই মুরগি পর্যন্ত সবই আর কিচ্ছু নই মাংস ছাড়া। তিথিরা আমাদের মাপমত কেটে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তিথিরাই খাচ্ছে কব্জী ডুবিয়ে আমাদের, হাড় থেকে মজ্জা চুষে আলাদা করে নিচ্ছে,- আহ্ এতেও কি তৃপ্তি! “এক কেজি সলিড দেখে, মাথা দেবেন না।” কচকচ আওয়াজটা ঢাকবার জন্য আমি চারদিকে তাকাই। এদিক ওদিক ছিটিয়ে আছে পালক, রক্ত, টেলার, মোবাইল রিচার্য আর নিষেধ সিডি।
বটি থেকে মাথা সরিয়ে নিয়ে আমি স্কুল জীবনে তাকালাম। জ্বলজ্বলে চোখে স্কুল তাকিয়ে আমারই দিকে, মিটমিটে চোখে কলেজ আর অর্ধনিমির্লিত চোখে তিথির ইউনিভার্সিটি। বাবার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স রিচার্যড হোলনা বলে যেখানে পা পড়লো না আর। এক প্লাস্টিক মাংসলো স্বপ্ন নিয়ে আমি চাকরীর বাজারে লাফিয়ে পড়লাম। এইতো লাস্ট ল্যাপ!! ফিনিসিং লাইন ওই যে,... ওই তো... আর একটু! ফিনিসিং লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে বাবার ক্যান্সার আমার গলায় বিজয়মাল্য পড়িয়ে দিল।
আনাজ, শাক আর সময়, মা রোববার রোববার আনতে বলে। আনাজে ঢাকবে স্বচ্ছল পারিবারিক সাপার, শাকে আমাদের এক এক জনের সমস্ত না পারারা ঘুমিয়ে পড়বে শীতের পাতে। তাহলে বাবার হাতে থাকলো আর ছয় মাস। কড় গুনে গুনে বাবা অংক কষেছে আর রাফ করছে, সিঁড়ি ভাঙার অথবা বাঁদর আর তৈলাক্ত বাঁশের। যখন বড় হলাম, দেখলাম, ওসব অঙ্ক মেলাতে গিয়ে বাবা পিছলে পিছলে পড়েছে বার বার, সিঁড়ি থেকে, উঁচু থেকে। ছোটবেলার ইচ্ছে মতো আজ আমি অর্ধেক বাবার মতই হয়েছি, তাই তার গর্বের শেষ নেই আমায় নিয়ে। শেষ ছমাস আমার কাঁধে ভর দিয়ে তাই বাবা রিক্সা থেকে নামবে, সিঁড়ি দিয়ে উঠবে, আর পিছলাবে না।
বাজারের ব্যাগ কাঁধের দায়ের থেকে কোনো দিনই ভারী হয়ে উঠবে না, আমি জানি। আপাতত তাই পঞ্চাশ বছরের নিশ্চিন্তি। অর্ধেক বাবা হয়ে আমিও এমনই একদিন সিঁড়ি ভাঙা অংক কষবো, বাদরের সাথে পাল্লা দিয়ে তৈলাক্ত বাঁশ থেকে পিছলে পিছলে পড়ব, আর বাকি অর্ধেক মা হয়ে সন্তানের স্পষ্ট হয়ে ওঠা নির্বাক দেখব। তিথি তখন কোথায়? তিথির হাত পা বুক পেট নাভি টেলারের ম্যানিকুইনের মত আলাদা আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে থাকবে, কিছু নেবে ওর বর, কিছুটা সন্তান, কিছুটা জীবন। আর আমার চোখে তখন তিথির নানা অংশ সাফল করে নিয়ে নেবে ভীড় বাসের মহিলা সহযাত্রী, হোটেলের রিসেপ্টশানিসস্ট, দুম করে ধাক্কা দিয়ে সরি ছুঁড়ে দিয়ে যাওয়া পথযাত্রীনী। আমি দেখবও না, কি ভাবে তিথির মাথা বসে যাচ্ছে মাঝরাতে বউয়ের মাথায়, তিথির হাত ভাগ করে নিচ্ছে কাজের লোক আর আমার মেয়ে। অফিসের স্টেনো হয়তো পাবে তিথির পিঠ, বাসযাত্রীনী তিথিকোমর থেকে আমার লুব্ধ হাত ছিটকে সরিয়ে দিয়ে হয়তো চেঁচিয়ে উঠবেন –পার্ভার্ট! বলে। কন্ডাক্টার ততক্ষনে আমাকে ছিটকে ফেলে দেবে রাস্তায়।
আমি ফিরে এসে বাজারের ব্যাগ তুলে নিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে পিছলাতে পিছলাতে নামা শুরু করি। আমি বলি ‘সাফল্ড হয়ে চলো, সাফল করে দাও’। যা বলি তা করে ছাড়ার জন্য আমার পিছনে বাজার, তিথি, কলেজ, স্কুল, বাড়ি, মা, বাবা, ভাই, অফিস সমানে সাফল্ড হয়ে যেতে শুরু করে,- সারাজীবন সাফল হয়ে যায়।
নীচে পড়ার একটা আরাম আছে, সমস্ত দায়ভার আলগা হয়ে কাঁধ থেকে ঝরে যায়। যেমন আমার হল, ব্যাগ থেকে সবজিগুলো রাস্তায় ছড়িয়ে গেল যে যার নিজের মত,- মাইগ্রেশান। তিথি চেয়েছিল, ইউনিভার্সিটি থেকে, পরিবার থেকে, আমার থেকেও। বাদবাকীগুলো অনেক ঝড়ঝাপ্টা পার করে তিথিতে পৌঁছালেও আমি দেরী করিনি তাকে ছাড়পত্র দিতে। তিথি যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল, “তুমি যা বলো, তা করেই ছাড়ো।” স্তুতি না দোষারোপ,- আজ অবধি বুঝিনি আমি। তাই এরপরে আমি এমন কিছু বলিনি আর কখনও, যা আমার দ্বারা করা সম্ভব হবে না। তাই আমি বলেছি, অফিসে যাব, অফিসে বোনাস, বৎসরান্তে সি এল নিয়ে দীঘা, গোপালপুর সবই হবে। আমি করিও, বাবাকে হসপিটাল, মা কে ফিজিও, ভাইকে প্রাইভেট ফার্ম- সমস্তই করি। তাও আশ মিটলো কই। রোজ সূর্য ওঠার আগে আমি মনে মনে ভালো হয়ে চলার কথা বলে, ব্রাশ করে, আরো যা যা প্রত্যাশিত সমস্ত ‘করেই ছাড়ি’।
বাজারের পথে পুকুর পার, এখানে এখনো সে সব পুরনো ছায়া পড়ে আছে। সেসব ছায়া এখনো সিগারেট জ্বেলে চোখ বুজে বলে দিচ্ছে সি পি এমের আরও বছর পঞ্চাশ... দীর্ঘশ্বাসগুলো কলেজের দিন ছুঁয়ে ঘুরে ঘুরে টুপ করে জলের মধ্যে পড়ে, ছায়াগুলো ভয়ে কেঁপে যায়। বাজারের ব্যাগ আরও দৃঢ় হয়ে হাত চেপে ধরে, ঠিক যেন তিথি, রাস্তা পার হতে হবে যে। প্রচুর সিগনাল! প্রচুর যানজট। আরও যেসব সেপিয়াগুলো গাছতলায়, মিত্রদের রকে, বঙ্কু টি হাউসে ক্লিপড হয়ে আছে সেগুলোর দিকে তাকাইনা আর। হন হন করে হেঁটে যাই। নাহলে যে চোখে পড়ে যাবে, আজ অবধি যা করার কথা ছিল তার কিছুই আমি করে উঠিনি।
এবছর বাড়িতে ইলিশ এলো না। মা-র প্রিয়। ভাইয়ের মিউজিক সিস্টেম ভাইয়ের পিছু পিছু অফিস ফেরতা ঢুকে গেল ভাইয়ের একান্ত ঘরে। মা,- চিরকালের মত সেদিনও মিউট হয়ে থেকো। আমি আর মা পাশাপাশি ফ্যামিলি ফটোতে যেন সবচেয়ে বেশি সাদাকালো। আর বাবা... বাবা জল চেয়ে চেয়ে চাকরী জীবন থেকে ফিরে শয্যা নিলো যেদিন আমি নিশ্চিত হলাম এবার মরে গেলেই বাবা চাতক হয়ে জন্মাবে। চাতক চাতক, চাতক জীবন, চাতক চোখদুটোও,- এখনো আশা করে, এবারের মোড়টা পেরোলেই তিথিকে দোতলার ছাদে দেখা যাবে। বাজারের ব্যাগটা পর্যন্ত হাওয়ায় দুলে দুলে হেসে উঠলো।
সামনে বালিশে তুলো ভরার দোকান, তার পাশ কাটিয়ে মাংস কাঁটা গলি তিথির সিঁথির মত পশুর রক্তে লালচে। প্রতিবার মরন্ত মুরগী দেখেও নিরামিষাশী হওয়া হোল না। পাতে পড়লেই সব মাংস আমি হয়ে যায়,- আমি আর যাকে খাচ্ছি- সেই মুরগি পর্যন্ত সবই আর কিচ্ছু নই মাংস ছাড়া। তিথিরা আমাদের মাপমত কেটে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তিথিরাই খাচ্ছে কব্জী ডুবিয়ে আমাদের, হাড় থেকে মজ্জা চুষে আলাদা করে নিচ্ছে,- আহ্ এতেও কি তৃপ্তি! “এক কেজি সলিড দেখে, মাথা দেবেন না।” কচকচ আওয়াজটা ঢাকবার জন্য আমি চারদিকে তাকাই। এদিক ওদিক ছিটিয়ে আছে পালক, রক্ত, টেলার, মোবাইল রিচার্য আর নিষেধ সিডি।
বটি থেকে মাথা সরিয়ে নিয়ে আমি স্কুল জীবনে তাকালাম। জ্বলজ্বলে চোখে স্কুল তাকিয়ে আমারই দিকে, মিটমিটে চোখে কলেজ আর অর্ধনিমির্লিত চোখে তিথির ইউনিভার্সিটি। বাবার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স রিচার্যড হোলনা বলে যেখানে পা পড়লো না আর। এক প্লাস্টিক মাংসলো স্বপ্ন নিয়ে আমি চাকরীর বাজারে লাফিয়ে পড়লাম। এইতো লাস্ট ল্যাপ!! ফিনিসিং লাইন ওই যে,... ওই তো... আর একটু! ফিনিসিং লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে বাবার ক্যান্সার আমার গলায় বিজয়মাল্য পড়িয়ে দিল।
আনাজ, শাক আর সময়, মা রোববার রোববার আনতে বলে। আনাজে ঢাকবে স্বচ্ছল পারিবারিক সাপার, শাকে আমাদের এক এক জনের সমস্ত না পারারা ঘুমিয়ে পড়বে শীতের পাতে। তাহলে বাবার হাতে থাকলো আর ছয় মাস। কড় গুনে গুনে বাবা অংক কষেছে আর রাফ করছে, সিঁড়ি ভাঙার অথবা বাঁদর আর তৈলাক্ত বাঁশের। যখন বড় হলাম, দেখলাম, ওসব অঙ্ক মেলাতে গিয়ে বাবা পিছলে পিছলে পড়েছে বার বার, সিঁড়ি থেকে, উঁচু থেকে। ছোটবেলার ইচ্ছে মতো আজ আমি অর্ধেক বাবার মতই হয়েছি, তাই তার গর্বের শেষ নেই আমায় নিয়ে। শেষ ছমাস আমার কাঁধে ভর দিয়ে তাই বাবা রিক্সা থেকে নামবে, সিঁড়ি দিয়ে উঠবে, আর পিছলাবে না।
বাজারের ব্যাগ কাঁধের দায়ের থেকে কোনো দিনই ভারী হয়ে উঠবে না, আমি জানি। আপাতত তাই পঞ্চাশ বছরের নিশ্চিন্তি। অর্ধেক বাবা হয়ে আমিও এমনই একদিন সিঁড়ি ভাঙা অংক কষবো, বাদরের সাথে পাল্লা দিয়ে তৈলাক্ত বাঁশ থেকে পিছলে পিছলে পড়ব, আর বাকি অর্ধেক মা হয়ে সন্তানের স্পষ্ট হয়ে ওঠা নির্বাক দেখব। তিথি তখন কোথায়? তিথির হাত পা বুক পেট নাভি টেলারের ম্যানিকুইনের মত আলাদা আলাদা হয়ে মাটিতে পড়ে থাকবে, কিছু নেবে ওর বর, কিছুটা সন্তান, কিছুটা জীবন। আর আমার চোখে তখন তিথির নানা অংশ সাফল করে নিয়ে নেবে ভীড় বাসের মহিলা সহযাত্রী, হোটেলের রিসেপ্টশানিসস্ট, দুম করে ধাক্কা দিয়ে সরি ছুঁড়ে দিয়ে যাওয়া পথযাত্রীনী। আমি দেখবও না, কি ভাবে তিথির মাথা বসে যাচ্ছে মাঝরাতে বউয়ের মাথায়, তিথির হাত ভাগ করে নিচ্ছে কাজের লোক আর আমার মেয়ে। অফিসের স্টেনো হয়তো পাবে তিথির পিঠ, বাসযাত্রীনী তিথিকোমর থেকে আমার লুব্ধ হাত ছিটকে সরিয়ে দিয়ে হয়তো চেঁচিয়ে উঠবেন –পার্ভার্ট! বলে। কন্ডাক্টার ততক্ষনে আমাকে ছিটকে ফেলে দেবে রাস্তায়।
আমি ফিরে এসে বাজারের ব্যাগ তুলে নিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে পিছলাতে পিছলাতে নামা শুরু করি। আমি বলি ‘সাফল্ড হয়ে চলো, সাফল করে দাও’। যা বলি তা করে ছাড়ার জন্য আমার পিছনে বাজার, তিথি, কলেজ, স্কুল, বাড়ি, মা, বাবা, ভাই, অফিস সমানে সাফল্ড হয়ে যেতে শুরু করে,- সারাজীবন সাফল হয়ে যায়।
Ei dhoroner lekha je tui kotota valo likhis ta ar bolar opekkha rakhena...tor lekhata vishon vishon valo hoyeche re. Suru theke sesh purotai osadharon.
উত্তরমুছুন