শহরতলি থেকে
কিঙ্কিণী বন্দ্যোপাধ্যায়
খুচরো পয়সার ভিড়-
অচল সিকি, আধুলি, কুড়িয়ে বাড়িয়ে
চার-পাঁচটা একটাকা দুটাকাও
খুঁজলে পাওয়া যাবে কি?
-এরপর তোমার ধুলোজামা আমায় ভিজে গিয়ে
মেঘে মেঘে অস্পষ্ট-
দুর্বোধ্য-এসবই দুর্বোধ্য-আমি-
বুঝতে পারিনা-বুঝিনা কিছু
শুধু খিদে পেটে মাঝে মাঝে কিছু অসংলগ্ন
প্রলাপ বকে যাই।
মেঘলা বিকেল-বন্ধ ঘর-
অসহ্য ভ্যাপসা গন্ধ-ভাল লাগে
এই গন্ধ ভাল লাগে
এই ভ্যাপসা ভাল লাগে
এই অসহ্য ভাল লাগে।
এলে না কেন? অপেক্ষা করতে করতে
করতে করতে অপেক্ষা করতে করতে
মুছে ফেলেছি পুরো ইনবক্স!
একি করলাম আমি ঠাকুর!
সবই তোমার জন্য-তোমার জন্য!
তুমি আসনি বলেই তো মুছে ফেলেছি ওসব।
তবে আবার কবে দেখা হবে? আবার?
কুবো পাখি ডাকা বনে?
আমি কখনও দেখিনি সে পাখি-
জানোই তো, আমি শহরতলির মেয়ে-
ভাসতে ভাসতে এসে পড়িনি তোমাদের শহরে।
অনেকক্ষণ হেঁটে হেঁটে খিদে পেটে পৌঁছতে পেরেছি
-মাঝে তো দুবার ছিঁড়েও গেল চটির স্ত্র্যাপ।
প্রথমবার ওই বুড়ো মুচির কাছে গেলাম-
চারটে আধুলি খরচা করে।
পরেরবার তাই নিজের হাতেই সেফটিপিন,
না না, পায়ে ফুটে যাবে না, ওসব অভ্যেস আছে আমার
-বললাম না, ভাসতে ভাসতে আসিনি এ শহরে।
শহরতলির মেয়ে আমি। সারাদিন রিক্সার প্যাঁক-পুক,
স্টেশনের রাস্তায় ব্যস্ত ভিড়-
অটোর লাইনে মারপিট-এসবই জানি আমি।
তোমাদের মেগাসিটির ট্রাফিক পুলিশ,
জেব্রা ক্রশিং, মেট্রো-টেট্রো সবই
তাই ভালোলাগে আমার।
ভালোলাগে পোড়া ডিজেলের গন্ধ, সাজানো ফুটপাতে
সাজানো মানুষের ঢল।
ল্যাম্পপোস্টের গোড়ায় ভিখারি, তার পাশেই
বসে উকুন বাছছে একা পাগলী।
আর তারপর-
আর একটা মোড় ঘুরলেই তোমার বাড়ি-
তাই তো? জানি আমি। সেইজন্যেই তো শহরে আসা।
আসছি। দাঁড়াও একটু। আর একটা মোড় তো? জানি-
একটু দাঁড়াও।
কিঙ্কিণী বন্দ্যোপাধ্যায়
খুচরো পয়সার ভিড়-
অচল সিকি, আধুলি, কুড়িয়ে বাড়িয়ে
চার-পাঁচটা একটাকা দুটাকাও
খুঁজলে পাওয়া যাবে কি?
-এরপর তোমার ধুলোজামা আমায় ভিজে গিয়ে
মেঘে মেঘে অস্পষ্ট-
দুর্বোধ্য-এসবই দুর্বোধ্য-আমি-
বুঝতে পারিনা-বুঝিনা কিছু
শুধু খিদে পেটে মাঝে মাঝে কিছু অসংলগ্ন
প্রলাপ বকে যাই।
মেঘলা বিকেল-বন্ধ ঘর-
অসহ্য ভ্যাপসা গন্ধ-ভাল লাগে
এই গন্ধ ভাল লাগে
এই ভ্যাপসা ভাল লাগে
এই অসহ্য ভাল লাগে।
এলে না কেন? অপেক্ষা করতে করতে
করতে করতে অপেক্ষা করতে করতে
মুছে ফেলেছি পুরো ইনবক্স!
একি করলাম আমি ঠাকুর!
সবই তোমার জন্য-তোমার জন্য!
তুমি আসনি বলেই তো মুছে ফেলেছি ওসব।
তবে আবার কবে দেখা হবে? আবার?
কুবো পাখি ডাকা বনে?
আমি কখনও দেখিনি সে পাখি-
জানোই তো, আমি শহরতলির মেয়ে-
ভাসতে ভাসতে এসে পড়িনি তোমাদের শহরে।
অনেকক্ষণ হেঁটে হেঁটে খিদে পেটে পৌঁছতে পেরেছি
-মাঝে তো দুবার ছিঁড়েও গেল চটির স্ত্র্যাপ।
প্রথমবার ওই বুড়ো মুচির কাছে গেলাম-
চারটে আধুলি খরচা করে।
পরেরবার তাই নিজের হাতেই সেফটিপিন,
না না, পায়ে ফুটে যাবে না, ওসব অভ্যেস আছে আমার
-বললাম না, ভাসতে ভাসতে আসিনি এ শহরে।
শহরতলির মেয়ে আমি। সারাদিন রিক্সার প্যাঁক-পুক,
স্টেশনের রাস্তায় ব্যস্ত ভিড়-
অটোর লাইনে মারপিট-এসবই জানি আমি।
তোমাদের মেগাসিটির ট্রাফিক পুলিশ,
জেব্রা ক্রশিং, মেট্রো-টেট্রো সবই
তাই ভালোলাগে আমার।
ভালোলাগে পোড়া ডিজেলের গন্ধ, সাজানো ফুটপাতে
সাজানো মানুষের ঢল।
ল্যাম্পপোস্টের গোড়ায় ভিখারি, তার পাশেই
বসে উকুন বাছছে একা পাগলী।
আর তারপর-
আর একটা মোড় ঘুরলেই তোমার বাড়ি-
তাই তো? জানি আমি। সেইজন্যেই তো শহরে আসা।
আসছি। দাঁড়াও একটু। আর একটা মোড় তো? জানি-
একটু দাঁড়াও।
Vishon valo ekta dirghokobita...chobigulo khub sundor vabe futiye tulechis.
উত্তরমুছুন