অনুবাদক - গৌতম চট্টোপাধ্যায়
মূল কবিতা - the listners
Walter de la Mare
শ্রোতা
“কেউ কি আছে এখানে?” প্রশ্ন তোলে আগন্তুক।
চাঁদের স্মিত আলো দরজায় করাঘাত করে,
নিস্তব্ধ রাতে একলা মজে ঘোড়া
জঙ্গলের মনভোলানো ঘাস ফুলেই;
হঠাৎ এক আনমনা পাখি
শূন্যতা ভেঙে উড়ে গেল
দ্বিতীয় বারও চর্চিত করাঘাত,
“কেউ কি আছে এখানে?” সে একলাই বলে চলে।
কেউ শোনে নি,কেউ শোনে না,
ভদ্রতার শিখরে অবাঞ্ছিত রূপ
কেবল ছাই মাখা চোখ দৃষ্টি কাটে
যেখানে সে তপ্ত,তবু শান্ত মনে মনে।
কেবল জনাকয়েক অচেনা শ্রোতা,
ভগ্ন বাড়ির আধিপত্য যার
জ্যোৎস্না রাতের অধীর কণ্ঠায়,
শুনছে তারা,ত্যাগের মায়ার অলঙ্কার।
তখন কেবল আবছা খেলা সিঁড়ির পারে,
অদূরে বয়ে চলে সুদীর্ঘ হলঘরে;
বাতাস রেখা কম্পমান,
আগন্তুকের শব্দের ভেলায়।
হৃদয় বুঝেছে ভিন্ন উপস্থিতি,
নিঃশব্দই কান্নার আবেগ;
কেবল তার ঘোড়ার শব্দ,
পাতায় মোড়া খোলা আকাশের নিচে।
জ্বরে আর জোড়ে ধাক্কা খায় সুদূর প্রান্তর,
গম্ভীর স্বর প্রাণবন্ত ভেসে চলে,
“ওদের বোলো,এসেছি আমি কিন্তু নিরক্ষর,
কথা দিয়ে করেছি মান্যতা।”
সেই অচেনা শ্রোতার দল
চুপিসারে শোনে মানুষের ডাক;
কথা ধাক্কা খায় শব্দের প্রাচীরে,
নিজ মনে ফিরে আসে বার বার।
হা,তারা শুনেছে জুতোর আওয়াজ ঘোড়ার কাছে,
শুনেছে লোহার ক্ষুরের শব্দ;
জানে,কিভাবে আবার সন্ধ্যে নামে,
যখন হাহাকার নেয় বিদায়।।
মূল কবিতা - the listners
Walter de la Mare
শ্রোতা
“কেউ কি আছে এখানে?” প্রশ্ন তোলে আগন্তুক।
চাঁদের স্মিত আলো দরজায় করাঘাত করে,
নিস্তব্ধ রাতে একলা মজে ঘোড়া
জঙ্গলের মনভোলানো ঘাস ফুলেই;
হঠাৎ এক আনমনা পাখি
শূন্যতা ভেঙে উড়ে গেল
দ্বিতীয় বারও চর্চিত করাঘাত,
“কেউ কি আছে এখানে?” সে একলাই বলে চলে।
কেউ শোনে নি,কেউ শোনে না,
ভদ্রতার শিখরে অবাঞ্ছিত রূপ
কেবল ছাই মাখা চোখ দৃষ্টি কাটে
যেখানে সে তপ্ত,তবু শান্ত মনে মনে।
কেবল জনাকয়েক অচেনা শ্রোতা,
ভগ্ন বাড়ির আধিপত্য যার
জ্যোৎস্না রাতের অধীর কণ্ঠায়,
শুনছে তারা,ত্যাগের মায়ার অলঙ্কার।
তখন কেবল আবছা খেলা সিঁড়ির পারে,
অদূরে বয়ে চলে সুদীর্ঘ হলঘরে;
বাতাস রেখা কম্পমান,
আগন্তুকের শব্দের ভেলায়।
হৃদয় বুঝেছে ভিন্ন উপস্থিতি,
নিঃশব্দই কান্নার আবেগ;
কেবল তার ঘোড়ার শব্দ,
পাতায় মোড়া খোলা আকাশের নিচে।
জ্বরে আর জোড়ে ধাক্কা খায় সুদূর প্রান্তর,
গম্ভীর স্বর প্রাণবন্ত ভেসে চলে,
“ওদের বোলো,এসেছি আমি কিন্তু নিরক্ষর,
কথা দিয়ে করেছি মান্যতা।”
সেই অচেনা শ্রোতার দল
চুপিসারে শোনে মানুষের ডাক;
কথা ধাক্কা খায় শব্দের প্রাচীরে,
নিজ মনে ফিরে আসে বার বার।
হা,তারা শুনেছে জুতোর আওয়াজ ঘোড়ার কাছে,
শুনেছে লোহার ক্ষুরের শব্দ;
জানে,কিভাবে আবার সন্ধ্যে নামে,
যখন হাহাকার নেয় বিদায়।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন