মহাদানবের সাগরতীরে
অতীন্দ্রিয় চক্রবর্তী
অতীন্দ্রিয় চক্রবর্তী
ছত্তিশগড়, ২০১৪
প্লুত-আপ্লুত বহুস্বর, পরিণামের মতো পদতল
খোঁয়াড়ি খোয়াব ইতস্তত ওড়ে নি বহুপথ,
ততটা সূর্য্য সেঁকেছে নগরী-অঞ্চল
যতটা অরণ্যে বাঘের ছায়া, নটরাজ,
সার্বভৌম ও অবধূত,
কেননা তারকা খসে পড়ে শিকড়স্বরে
রক্তপ্রবাল বহুঘরে ভয়চুপ জট
ভালোবাসা ভাত হয়ে ফুটন্ত হাঁড়িতে
নিভে গ্যাছে অনন্ত ইতিহাসি ঠাট্টায়
ঘুমিয়ে সে, তাম্রবর্ণ তমিস্রার নাভিদেশ বুঝি
অথবা করোটিতে শোনিতসিঁদুর
যাতে জাগে কালনাম নিশানী নাবিকের ন্যায়
জাগে দিনমান আলস্যে অতিরেকে
জাগে বাঁচবে বলে মৃত্যুদ্বীপ ধুনকিতে
বাঁচবে বলে বিপুল প্রবল বনস্পতির মতো
নদীপাড় ভেঙে চলে একছত্র আলোছায়ায়,
আঁধারপ্লাবনে।
ছত্তিশগড়, ২০১৪,
মানুষের অগণন সন্ততি আছে,
বর্ণানুগ মিছিল নাই,
সেহেতু প্রত্নস্বর লুকাও সযতন মণিকোঠা
পুষ্টিবর্ধক কিছু ধ্যান ও অবগাহনে
অথবা স্পষ্টবীক্ষ্য স্তুতিরৌরব কিছু ধারণ-তর্পণে
যেমতন ছায় অলীক বিস্রুত জলধি
যেমতন পটরেখা মুছে পটবিবি
বিস্তারে দিগন্ত-অবয়ব, অথবা আদিমাতা
ঝর্ণার পাশ মুড়ে মুঠিআঁট প্রগাঢ় নিজস্ব বেদনা
বুঝি গেলে দেবে ডাইনের ভাঁটাচোখ,
থেঁতো হবে হৃদয়ের শেষ আহ্লাদ
অথচ ক্ষমাহীন গ্রহণের ভয়ে ধুলোচাঁদ
ছুটে চলে অযুত পাতার আড়াল-আড়ম্বরে
অথচ চুড়ান্ত বন্যা এলে চিৎকার ধরে পাথর-পার্বণ!
কান বুঁজে থাকো সনাতন
চোখ বুঁজে থাকো সনাতন
অন্ধকারে অষ্টাবক্র দ্যাখো,
নৈঃশব্দ শোনো, গান হবে, স্তন হবে অমিত অমৃতদায়িনী
সোনার শস্য হয়ে ঝরে যাবে বুটের অঢেল বয়ানে।
এখানে অহল্যার অপেক্ষা অতএব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন