সৌমিত্র চক্রবর্তী
লাল কাঁকুড়ে ল্যাটেরাইট মাটিতে সূর্য ওঠার আগের হিম আর সকালের প্রারম্ভ রোদ্দুর ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ে। টলমল পায়ে হাঁটে, খিলখিল হাসে। হাসে আর লুটোপুটি খায়। গায়ে মেখে নেয় লাল ধূলোর আদুরে আস্তরণ। ভাঙে নিজেদের অহং, আজন্ম লালিত সংস্কার, অন্ধ কানাগলির বোধ। ভাঙতে ভাঙতে একসময় বিদ্যুৎ চমকের মতো জন্ম নেয় গোলাপী মুক্তোর খন্ড।
একমুখ দাড়ি, গোঁফ আর ঝাঁকড়া চুল, কতদিনের না কাচা জামা আর বোতাম ছেঁড়া জিনস সম্বল লোকটা হেঁটে চলে সযত্নে মুক্তোগুলোকে পাশ কাটিয়ে। সম্পূর্ণ উদাস দুটো চোখে পৃথিবীর কোনো অনাচার কিম্বা আপাত দুর্লভ সম্পদমায়া কোনো ছাপই ফেলতে পারেনা। একে একে পার হয় রুক্ষ অকৃষিযোগ্য মাঠের আল।
কোন দূরে সদগোপ গৃহস্থ সন্ধানী চাউনিতে খুঁজে ফেরে আগের রাতে গোয়ালের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে না ফেরা গাভীর ঝুন্ড। সেদিকে একঝলক তাকিয়েই এলোমেলো লোকটার মনে পড়ে যায় গতরাতের স্বপ্নে রাগী মোষের লেজ কেটে নেওয়ার বিক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত। ঘুম ভাঙা পাখিদের চমকে দিয়ে একাকী প্রান্তর কাঁপিয়ে হা হা করে হেসে ওঠে সে। স্বপ্নেও তাকে পালাতে হয় ক্রুদ্ধ মোষের তাড়া থেকে উদাসীন জীবন বাঁচানোর নিস্ফল চেষ্টায়।
এইভাবে জীবনও তাড়া করে। আশেপাশে লোভী হাত যখন নির্জন রাতে কাজ ফেরত যোনির ওপর হামলে পড়ে। নেশাড়ু মননে ফাঁকা রাস্তায় ব্লাউজ ছিঁড়ে অনাবৃত করে সুডৌল স্তন।
যখন বলিরেখা আঁকা মুখের সামনে নেচে বেড়ায় শেষ বয়সের সম্বল দেবার আশ্বাসে অর্থলোলুপ হাত। বহু বসন্ত দেখা বৃদ্ধ চোখের সামনে নেমে আসে গাঢ় শীত। বরফ পড়ে। পাতা হারিয়ে সবুজ গাছেরা মৃতপ্রায়।
যখন চোদ্দ বছরের বিবাহিত জীবনে নপুংসক কিলবিলে হাত শুধু ঘুষি মেরে যায় কোমল প্রত্যঙ্গে। কালসিটে দেখে ভোগ করে নরকের দাউদাউ আনন্দ। চুরি করে বেচে দেয় কামনা মেটানো সোনালি শৈশব।
তখনও লোকটা দৌড়ায়। আধঘন জঙ্গলের আঁকাবাঁকা গাছেদের এড়িয়ে খোলা প্রান্তরের সীমানার দিকে।
খোঁচা খোঁচা আগাছার ভিড়ে শুধু মশাদের গুনগুন। সূর্য ওঠে। লাফ দেয় দেরি হয়ে যাওয়া নৈমিত্তিক দিনের শুরুতে। লোকটা হাঁটে নির্বোধপ্রায় চাউনির মরা আভা দিয়ে পথ খুঁজে খুঁজে।
কোথাও ধানকলের ভোঁতা সাইরেন জানান দেয়, - ভাত দাও গো! বড় খিদে আজ চড়া পড়া এ পেটসর্বস্ব দেহে!
লাল কাঁকুড়ে ল্যাটেরাইট মাটিতে সূর্য ওঠার আগের হিম আর সকালের প্রারম্ভ রোদ্দুর ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ে। টলমল পায়ে হাঁটে, খিলখিল হাসে। হাসে আর লুটোপুটি খায়। গায়ে মেখে নেয় লাল ধূলোর আদুরে আস্তরণ। ভাঙে নিজেদের অহং, আজন্ম লালিত সংস্কার, অন্ধ কানাগলির বোধ। ভাঙতে ভাঙতে একসময় বিদ্যুৎ চমকের মতো জন্ম নেয় গোলাপী মুক্তোর খন্ড।
একমুখ দাড়ি, গোঁফ আর ঝাঁকড়া চুল, কতদিনের না কাচা জামা আর বোতাম ছেঁড়া জিনস সম্বল লোকটা হেঁটে চলে সযত্নে মুক্তোগুলোকে পাশ কাটিয়ে। সম্পূর্ণ উদাস দুটো চোখে পৃথিবীর কোনো অনাচার কিম্বা আপাত দুর্লভ সম্পদমায়া কোনো ছাপই ফেলতে পারেনা। একে একে পার হয় রুক্ষ অকৃষিযোগ্য মাঠের আল।
কোন দূরে সদগোপ গৃহস্থ সন্ধানী চাউনিতে খুঁজে ফেরে আগের রাতে গোয়ালের নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে না ফেরা গাভীর ঝুন্ড। সেদিকে একঝলক তাকিয়েই এলোমেলো লোকটার মনে পড়ে যায় গতরাতের স্বপ্নে রাগী মোষের লেজ কেটে নেওয়ার বিক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত। ঘুম ভাঙা পাখিদের চমকে দিয়ে একাকী প্রান্তর কাঁপিয়ে হা হা করে হেসে ওঠে সে। স্বপ্নেও তাকে পালাতে হয় ক্রুদ্ধ মোষের তাড়া থেকে উদাসীন জীবন বাঁচানোর নিস্ফল চেষ্টায়।
এইভাবে জীবনও তাড়া করে। আশেপাশে লোভী হাত যখন নির্জন রাতে কাজ ফেরত যোনির ওপর হামলে পড়ে। নেশাড়ু মননে ফাঁকা রাস্তায় ব্লাউজ ছিঁড়ে অনাবৃত করে সুডৌল স্তন।
যখন বলিরেখা আঁকা মুখের সামনে নেচে বেড়ায় শেষ বয়সের সম্বল দেবার আশ্বাসে অর্থলোলুপ হাত। বহু বসন্ত দেখা বৃদ্ধ চোখের সামনে নেমে আসে গাঢ় শীত। বরফ পড়ে। পাতা হারিয়ে সবুজ গাছেরা মৃতপ্রায়।
যখন চোদ্দ বছরের বিবাহিত জীবনে নপুংসক কিলবিলে হাত শুধু ঘুষি মেরে যায় কোমল প্রত্যঙ্গে। কালসিটে দেখে ভোগ করে নরকের দাউদাউ আনন্দ। চুরি করে বেচে দেয় কামনা মেটানো সোনালি শৈশব।
তখনও লোকটা দৌড়ায়। আধঘন জঙ্গলের আঁকাবাঁকা গাছেদের এড়িয়ে খোলা প্রান্তরের সীমানার দিকে।
খোঁচা খোঁচা আগাছার ভিড়ে শুধু মশাদের গুনগুন। সূর্য ওঠে। লাফ দেয় দেরি হয়ে যাওয়া নৈমিত্তিক দিনের শুরুতে। লোকটা হাঁটে নির্বোধপ্রায় চাউনির মরা আভা দিয়ে পথ খুঁজে খুঁজে।
কোথাও ধানকলের ভোঁতা সাইরেন জানান দেয়, - ভাত দাও গো! বড় খিদে আজ চড়া পড়া এ পেটসর্বস্ব দেহে!
ধন্যবাদ খেপচুরিয়ানস!
উত্তরমুছুনPorlam dada bhalo legechhe apnar dhoroner bairer dhoron
উত্তরমুছুন