শঙ্খচূড় ইমাম- এর কবিতা
পাঁচ পর্বের পেইন
আমার একটা পুকুর আছে-
জলের প্রথম স্তরে যে মাছগুলি
খাবি খেয়েছিল
আজ তার কাটাগুলি শেয়াল পন্ডিতের উঠোনে
বোকা বোকা হাসি
২.
করতলে জিইয়ে রাখা সবুজ
হুতোম পেচার নাচ দেখে -
মাঞ্জাবিহীন ভোকাট্টা ঘুড়ি হবার স্বপ্ন বোনে...
এদিকে আমার ডানায় মুদ্রিত হয়
হলুদ পতার মিছিল!
৩.
শুয়ে আছি বন্দুকের নলের মাথায়
কখন ঘুম আসবে সেই চিন্তায়
গিলে ফেলি কয়েকটি গুলি!
৪.
রাতের করিডোরে কাকপ্রলাপ...
দুঃখেরা জোড়াবেধে ওড়ে...
ঘুমন্ত শহরে চিৎ হওয়া ক্লান্ত রাস্তা
কালোপিচের চশমায় দেখে-
চাঁদের কপালে হলুদ টিপ
আমি ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা
উল্কাপতনট্রাফিক!
৫.
সানকি পুড়িয়ে সাদা সাদা চোখ
থালায় রেখে জবাই করি-
তিন ওয়াক্ত সিজদায়
তবুও আমাদের নাম মানুষ!
কোবাল্ট ব্লু
হলুদ শরীর থেকেও বেরিয়ে আসতে পারে
কোবাল্ট ব্লু
যদি ভেতরে থাকে উষ্ণ তৈলচিত্র
আত্মপ্রবঞ্চনায় যদি খুন হয় তৃণশয্যাতল
তবেই ভেব না পোড়েছে মাটির আধখানা হাত
পালঙশাকদিন কেটে যায় আমার
আর্তচিৎকারে ফেটে পড়ে
ভাতের সাদা রঙ
দিকভ্রান্তে ডেকো না; কিছু বিশুদ্ধ রেখা দাও
তোমাকে দেব-
দ্বিত্বাকাশের বেনীআসহকলা, পূর্ণশষ্যক্ষেত...
খ.
কিছু খুচরো হাবিজাবি আসবে
অই পথে
যাত্রায় ভাঙবে-
আধুলি ঘুম
উপচানো চাওয়া বলি দিতে নাই
চোখ রাখা হোক পাতা পার্লারে
গ.
শীত রাতেই অনুবাদ করলাম
তোমার পাঁজর
বেরিয়ে আসলো অসংখ্য শরৎ
তবু কেন জানি একটা অশরীরি নাচ
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল-
ওখানে হুলস্থুল.. দাহদাহ উত্তেজনা
টান...
আমাকে কাটতে চাচ্ছ তোমার প্লেটে রেখে
ফালি ফালি আপেলে...
ঘ.
টসটসে আপেলে দোপাটি দাত নয়-
এসো বসিয়ে রাখি যুগল মাঙসের চাঁদ
কথা দিচ্ছি, পেটুয়া শকুনের মতো
খাবো না ভেঙে শিরোনাম
আমার এ হাত বাণিজ্য বিভা নয়
খয়েরী বোটা থেকে ঝরিয়ে দিতে পারে রূপোলী ইলিশ
ভাবছো, কোথায় যাবে বিন¤্র এ বিশ্বাস?
এক পা
দুই পা
তিন পা
করে করে হয়তো ডুববো অগ্রাহায়ণদিনে...
সম্পাদনা: কৌণিক (কবিতার কাগজ)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন