পূর্ণতা
অব্যয় অনিন্দ্য
আমার বয়সের স্কেল
বা জ্ঞানের
কাঠি বুঝি
এভারেস্টটা ছুঁয়েই ফেলল। তা না হলে
দিগম্বরী দেবীর
জীয়ন পুকুরের
সামনে আসলে
- এখন আর
কেন মনে
হয় না
– অই জীয়ন
পুকুরে রবীন্দ্রনাথের
আত্মাটাকে চুবিয়ে আমাকে দিলেই আমি
রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাব।
কৈশোরের সবজান্তা বাবাকে
এখন মাঝে
মাঝেই বড়
বোকা মনে
হয়; এখন
আমি প্রায়ই
ভুলে যাই
- আমার অহংকারী
বুদ্ধিটার ডানা অই বাবা-গাছটার
বাঁকলেই তৈরি;
ওই বোকা
হাত দুটোই
আমার বয়সটার
আদিমতম বডিগার্ড।
যে ঘড়িটা সপ্তর্ষী
মণ্ডলের কাছে
দিয়ে ঝিঁ
ঝিঁর ডাকে
ঘর ছেড়েছিলাম,
ওটা অচল
হবার খবরটাও
পাইনি; কারণ
আমি এখন
নিজেই খবর
হতে প্রাণপন
চেষ্টা করি। ঘড়িটা
কোথায় - ঝিঁ
ঝিঁ কোথায়?
এ প্রশ্নও
মনে আসে
না।
স্বাভাবিকতার সমীকরণে প্রশ্নের ডেটাবেজ মুছে
গেছে।
এখন আমি দক্ষিণ
গোলার্ধে থাকি;
কিন্তু জানতে
চাই না
– দক্ষিণ গোলার্ধের
আকাশে সপ্তর্ষী
মণ্ডল নাই
কেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন