বোধের
দাঁত
সোম
সরকার
বোধের
দাঁত আছে ? আছে সরু সরু বিশ্লেষণী
ব্রাশ ? আর সাথে কি আছে এক দু'টিপ নীতির পেস্ট ? একটু
মেজে নাও তাহলে না হলে, না করলে, তা না-ই বা মাজলে । বোধের কদর্য দুই পাটি দিয়ে যেটা খুশি হন্তদন্ত
খিঁচিয়ে করছো অমতের মতপ্রকাশ, কোনোটার
ছাপিয়ে যেতে পারার কথা নয় এপক্ষের ঝকঝকে হাসিকে ।
চার
নম্বর ফ্ল্যাটের মিসেস চট্টোপাধ্যায় জানে না যে সে রাস্তার ধার ধরে হাঁটছে না ফুটপাথের
ধার, সে শুধু জানে ওপক্ষের বিতিকিচ্ছিরি হাসির দড়ি
ঝুলে আছে ।
থামাবো
কি ওকে ? নাকি ফুটপাথে উঠিয়ে দিলেই হবে ? বুঝতে পারছি না । তোমরা আগে মেজে দেখো আর দেখো কি অন্যায় করেছি
ওর সাথে ? ওই যে হেঁটেই যাচ্ছে, দেখে তো মনে হচ্ছে না দুপক্ষের ধার ধরে আছে চাট্টুজ্যে অান্টি
।
সব দেখে
ফেলেছিলাম । সব, সব, প্রথম
থেকে-ই সব । ভোরের জানালা খোলার আগে
পর্যন্ত কে জানতো আজকের ভোর এমন-ই ? এমন
অসময়ে ? না, কেউই
না । আন্টিও না । আমিও না । এমনকি তার পাঁচ বছরের প্রেমিকও
না ।
সারারাতের
হাসি ছিটকে ছিটকে লেপ্টে গেছিলো আন্টির সারাশরীরে, সাথে
মুখের হাসিটাও বেঁচে ছিলো ভোরের আগে, আমার
চোখে ওর চোখ পড়ার আগে পর্যন্ত । তাই বলি, আছে
কী কিছু তোমাদের ? সমাজের ? নাহলে মেজে নাও আরো ঘষে । কোন যে পক্ষের জন্য মাজা তার আমি কি বুঝি ?!
এখনো
আছে বাকি, অনেক বাকি । তবু, ওই বিপক্ষের পক্ষে হাঁটছে মিসেস চট্টোপাধ্যায় । এই পক্ষের বিপক্ষে পড়ে
রয়েছে তার সেই নির্মল হাসি, তার সেই নির্মেদ শরীর, তার সেই নির্বোধ প্রেমিক । যা সব একসাথে মিলিয়ে গেছিলো
আমার সামনে-ই ।
জলদি
জলদি মেজে দেখো আর ভাবো যে আমি কিন্তু হতে পারতাম সেই প্রেমিক বা তোমরাও হতে পারতে
সেই প্রেমিক । এর ফাঁকে কল্কি অবতারের
আসার চান্স একেবারে বেকার, যদি বা কোনোদিন এসে থাকলে
সেও বনে যেতো কলি প্রেমিক, সে বিষয়ে নিশ্চিত । আর ভেবে দেখো নির্বোধের
দাঁত যে আমাদের কারোর মাজা-ই হয় নি কোনো কালে ।
ঝকঝকে
হাসি থেকে অনেক দূরে চলে গেছে আন্টি । ইতিমধ্যে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন