অমলেন্দু
চন্দের গুচ্ছ কবিতা ...
১ -প্রতারনা সব সময় কেমন বীরদর্পে থাকে - আর প্রতারিত যেন টাউন বাসের ভিড়ে গুটি সুটি মেরে যায় –
তার দর্প চুরি হয়ে গেছে
২ -ভাবলেশহীন চোখের পলকে সময়েরা খুব ভারী হয়ে বসে থাকে
৩ -অনভ্যস্ত চোখের আর দোষ কি - তোমরাই শুধু কারণ খোঁজো, আরে বাবা সান-গ্লাসে চোখ ঢাকলেই কি সব
আড়াল হয়
৪ -লীলার বিলুপ্তি হলে বাস্তবে জগত তার সমস্ত মায়া হারাবে, আফটার অল ওই লীলাতেই তো ঈশ্বরকণা
৫ -বাল্যকালে বিদ্যাসাগর শিখিয়েছিল ছড়া
ইদুর ছানা ভয়ে মরে
ঈগল পাখী পাছে ধরে
সেই যে এক ছেলেবেলার পড়া
ঘাড় থেকে আর নামল না সেই মড়া
ইদুর ছানা ভয়ে মরে
ঈগল পাখী পাছে ধরে
সেই যে এক ছেলেবেলার পড়া
ঘাড় থেকে আর নামল না সেই মড়া
৬ -আসুক - হাস্কি গলায় সে ডেকে অস্তিত্ব জানান দিক - উই মসিয়ো - তার পাতলা ঠোঁটের কোনায় ঝুলে
থাকা প্রগাঢ় নীলাভ ষোল ওয়াটের আলোয় লাগান শেডের থির থির কাঁপন - উই মসিয়ো - আহা ঘুম আজ
তোমায় ফরাসি ভাষায় ডাক দিয়ে প্রেম নিবেদনের কথা মনে হল - কিন্তু ফরাসি জানি না তাই তুমি–
জানলেনা আমি কেন মধ্য রাতে এভাবে জেগে আছি
৭ -ধৈর্য রা আজকাল মোমবাতির আগুনের মত - আলো আছে বটে, তবে সারাক্ষন কেঁপেই অস্থির, বড় আগলে
রাখতে হয়, নিবে না যায় –
৮ -চিত্তপ্রিয় ভালো আছ? সেই কোন জাতকজন্মের সময়ের থেকেই বুদ্ধমগধ পেরিয়ে নৈরাশ্যের রেশম বুনে বুনে
এখনও যাচক হয়ে আছ চেনা শোনা জলের পুরানে! কি খোঁজার ছলনায় খুঁজে যাও আক্ষরিক ধাপ্পার জগৎ।
তথাগত আজও জানলেনা পরমান্ন নিবেদন ছাড়া আরও কিছু জাঞ্চা ছিল দুর্লভ মুহূর্তের শাল্মলীতলে - না কি
পেয়েছ বলেই আজও অন্তস্থ আগুনে নদীকে সাঁতার শেখানর খেলায় ভেসে যাচ্ছ সেই জলে!
৯ -সময় থামেনা শুধু বাঁধা ধরা বরাদ্দটুকু ফুরোনর ঢাকে বাজে বিসর্জনের বাজনায়
১০ -সেই তো চলে যেতে হবে, কি হবে জেনে!
- জানতে চেয়ো না, তারপর একদিন শুনবে নিলামওয়ালা কানাকড়ির হাঁক শুনে হাতুরি ঠুকে দিয়েছে, শুধু
- জানতে চেয়ো না, তারপর একদিন শুনবে নিলামওয়ালা কানাকড়ির হাঁক শুনে হাতুরি ঠুকে দিয়েছে, শুধু
ডাক টা তুমি দাও নি
১১ -রাক্ষুসী তোমার কাছে কাছাকাছি হলে
অদ্ভুত আড়ষ্টতায় নতজানু হয়ে গেছি
তুমিও মৃত্যুর মত অদ্ভুত অমোঘ আমাকে সম্মত রেখেছ
নিঃস্বতার মর্যাদায়
প্রেমিক আর সর্বহারা খুব কাছাকাছি এভাবেই
হাঁটু মুড়ে পড়ে থাকে
অদ্ভুত আড়ষ্টতায় নতজানু হয়ে গেছি
তুমিও মৃত্যুর মত অদ্ভুত অমোঘ আমাকে সম্মত রেখেছ
নিঃস্বতার মর্যাদায়
প্রেমিক আর সর্বহারা খুব কাছাকাছি এভাবেই
হাঁটু মুড়ে পড়ে থাকে
১২ -তালপুকুরে_ঘটি_ডোবে_না কৌলিন্যের খানদানী সুখানুভব - পিত্তরস কুপিত করা সম্প্রদানেই তাঁর
বনেদিয়ানার (?) ন্যায্যতা - টু বি এব্ল টু গিভ অফেন্স ইজ দ্য অ্যারিস্টোক্র্যাটিক প্লেজার
১৩ -কতটা নীরবতার শর্তে কথা মুচলেকা দিলে তবেই. বাঙ্ময়তা মুখর হয়
১৪ –রোজ সন্ধ্যেতে রাস্তার বাতিগুলো জ্বলবার আগে একটা পাগল হাত ছুঁড়ে সূর্যকে হাঁক দেয় - এইবার তোর
ছুটি আজকের মত, বাধ্য সেয়ানার মত মিচকে সূর্যটাও টুপ করে। পাগল পাগল
ছুটি আজকের মত, বাধ্য সেয়ানার মত মিচকে সূর্যটাও টুপ করে। পাগল পাগল
১৫ -পথ বলে হাম তো অন্ধা বাবুজী। পন্থার আলজিভের নড়া চড়ায় অদ্ভুত কৌতুকি ছোঁয়া। জানি, শেরি জানি,
শুধু মানি না, তা বলে খোঁপার আলগোছ-বাঁধা-পাওয়া গন্ধের নিরালা সোফায় আমি ভালবাসার
বারট্র্যান্ড রাসেল হব না এমন কথা তো বলি নি। হেঁতালের জঙ্গলে তাই গুঁড়ি মেরে বসে থাকা কখন –
পুষ্পপত্রে লেখা প্রেম আড়াই আখরে - বাঘিনীর মত হেলে দুলে আসে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন