অপু মেহেদীর গুচ্ছ কবিতা
রাতের ছায়া
হাওয়ার প্ররোচনায় ভবঘুরে দিন উড়ে গেলে থেকে যায় নাটকীয় রাত। আমাকে কেবলই ডেকে যায় হেঁয়ালি অন্ধকার।
বেআব্রু নক্ষত্রের চোখে ঘুমসিগন্যাল। পরে থাকে ছায়াহীন শহর। তুমি বলো, রাত মাত্রই নীলগন্ধ রুমাল। রুমালের মধ্যে একটি হলুদ ফুল। ফুলের মধ্যে এক টুকরো আগুন। আগুনের ভেতর কিছু অযাচিত অন্ধকার...
আমি বলি, প্রতিটি রাত এক একটি রেললাইন। রেললাইনের উপর একটি ধূসর ট্রেন। ট্রেনের ভিতর একজন নিঃসঙ্গ যাত্রী। যাত্রীর চোখে পরাবাস্তব ঘুম...
ঘুম আর অন্ধকারে মিলিয়ে যায় রাতের ছায়া। আমি তখন বিষন্ন বিড়ালের চোখে খুঁজি সরাইখানার
অনুসিদ্ধান্ত
মিছিলের শহরে মৃত্যু বাজে। কেউটে বিড়ালের পায়ে ঝুলে থাকে পৃথিবীর উচ্ছিষ্ট পাপ।
বর্তুল শিম্পাঞ্জীর দল দেশলাই জ্বালিয়ে পোড়ায় মানুষ না হওয়ার আর্তনাদ।
জাফরানি মেঘেঝরা দিনে নাচঘরে নাচে টাটকা রমনী।
তার ব্রয়লার বুকে ভাসে অমরত্বের কৌনিক উপপাদ্য।
অথচ আমি, মিছিলফেরত শিম্পাঞ্জীর চলতি পুরুষ।
মোনালিসার ব্লাউজ শুঁকেই পেয়ে যাচ্ছি অনুসিদ্ধান্ত।
দ্বিধা
হাওয়ার সাথে দর কষাকষি শেষ হলে বেঁচে দেব কাঠঠোকরার কবন্ধ ভাষা।
আমার উঠোনে ঘর পালানো রোদ; জন্মান্ধ ফড়িংয়ের উড়াউড়ি। হলুদ পাতার দিনে এসে ভিড় করে লাল নীল অবৈধ চিঠি।
স্মৃতি মাত্রই অতীত নয়। কিছু হয় প্রশ্নাতীত। কিছু প্রশ্ন উত্তরাতীত।
অতীত ও স্মৃতির দ্বিধায় কেটে গেছে সকল প্রশ্নবিদ্ধ দিন। তবু উত্তরের ত্রিবেণী গিঁট খোলার সাহস হয়নি শুধু এই ভেবে- আমি শুধু প্রশ্নেই ছিলাম; উত্তরে নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন