সম্পাদকীয়
তোমাদের অনেকদিন লেখা হয়নি। ও হ্যাঁ হ্যাঁ বিজয়ার প্রীতি
শুভেচ্ছা... যার যেটুকু দরকার নিও।
পুজোর পরের সময়টুকু এরকমই, বেশি কথা বার্তা বললে থমকে যায়। দুপুরের গরম
দিয়ে রাগ উগরে দেয় ঠারে ঠারে।
অনেকেই বলেন বেচেঁ থাকা ভালো , এই যে লিখে যাওয়া টুকু। আমার খালি মনে হয় কে যেনো আমাকে
অভিশাপ দিয়েছে - তাই লেখাটুকুতেই শুধু আনন্দ। দিন দিন আমার
ছোটো ছোটো খুশী শিকেয় উঠেছে। এই সেদিন অনেক ঘুমোনোর পর ঝর ঝরে লাগছিল বেশ, নতুন জীবন শুরু হচ্ছে মনে হল - সেই আনন্দও আমি ফেলে রেখে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম তোমাদেরই কারো
কবিতা মনে করতে করতে।
ঘুমের মধ্যে আমার মনে হয়েছিল শুধুই গান শোনার জন্যে আমার
আরেকটা জীবন থাকা উচিত। কিংবা এই ধরো ছবি। খুব বেশি যে বুঝি তা কিন্তু নয় - তবুও বলব ভ্যান গখই শুধু ভাল্লাগে। অনেকে জাদু বাস্তবের কথা
বলবেন, দর্শন নিয়ে কথা।ওর ছবিতে অতীন্দ্রিয় কিছু পান
না অনেকেই। বলে দিতে পারি , ওই যে নিদাঘ দুপুর, কোথাও রেল গাড়ি দাঁড়িয়ে , শুধুই মাছ ধরা নৌকোগুলোর তট। এরম কি কেউ বলেছেন সহজ কথার
ছলে। সহজতার আগে যে বাধা, তা মানুষ কে কৃত্রিম করে তোলে। আমি
কৃত্রিমতায় ভয় পাই, দুঃস্বপ্ন দেখে প্রতিবার এভাবেই ঘুম ভাঙে।
পূজোর ল্যাদ, আড্ডা, ঘুম
কাটিয়ে এই সংখ্যা নিয়ে এলাম আপনাদের ম্যেহেফিলে। শুকনো ভালোবাসার চেয়ে বড় আমাদের এই কবিতা যাপন সাক্ষী থাক
সমস্ত নির্লিপ্ত পাঠের। দীপাবলীর আলোর থেকে দূরে হিম জোড়ো হবে অনেকটা।উষ্ণতা বেচে
আমরা শীত কিনতে যাবো - আর জাস্ট কামড়াতেই তোমাদের মুখে ক্রীম হয়ে
গলে যাবে এই সংখ্যা। অক্টোবর প্রৌঢ় হবে মুচমুচে ভালোবাসায়।
ক্ষেপচুরিয়াসের
পক্ষে—
রাজর্ষি
মজুমদার
কী সুন্দর !
উত্তরমুছুন