শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৩

দুটি কবিতা - দেবযানী বসু

দুটি কবিতা - দেবযানী বসু
নামান্তর- ১


তাকিয়ে দেখার কিছু আছে বলেই বুট ও বুটিকের প্যাঁচানো রিবননাচ ভালো লেগে যায়। লটারিতে বার বার উঠে আসছে গুঁড়ি মাকড়শাটি। লালচে ইতিহাসের খুচরো সাজাতে সালতামামির বাহারিপাম আর পাথরের হাতি নড়ে চড়ে বসছে ... বারবার। উজ্জ্বয়িনী মালব্যর হাতে গড়া রুটি অবধি পৌঁছেছি মাত্র। হরিণের ত্বকে লেখা রন্ধন- প্রণালী। হরিণ মাংসের। যে কোনো অধিবেশনের শেষে কাচের খাবার টেবিল পুরোপুরি ভাঙেনি কোনো ইতিহাস। এইরকম টেবিলের নিচে লালচে নুড়ির আলোয় কিশোর মমির কৈশোরকাল পড়ি।


নামান্তর- ২

একজন মাত্র ক্রেতা, খেলা ও খেলাৎ সবই তার জন্য। মেলা ও পসরা দুসরা হাত ঘুরে কোথাও যাবে না। আসল দরজার আন্তরিক অবস্থান খুঁজে ফিরি। আঞ্চলিক অবস্থান বলে দেয় ঠুকঠাক মিথ্যে কিছু। মুখের আউটলাইন ধরে কোলকাতার ভোর আসছে। তার দেয়াল চিত্র জুড়ে খামওয়ালা সৌধ , লুকাচ্ছুপা চুরি। কোলকাতার রূপকাঁথায় শৈশবের সইসাবুদ । মানুষ গুনতে গিয়ে, কোকিল গুনছে। গুণাগার নেই । ভিড় জমানো নীড়ে বারোমাসে কোকিলের কুচকাওয়াজ আওয়াজ ইত্যাদি ।

৩টি মন্তব্য:

  1. এতোক্ষণ প্রায় অনেকগুলো লেখা পড়া হলো ব্লগের। কি কমেন্ট করবো বুঝতে পারছিলাম না। নিজেকেই সন্দেহ হচ্ছিল।

    দেবযানী বসু, আপনার লেখা দুটো পড়লাম। আপনার লেখা আমাকে সেই আত্মসন্দেহের হাত থেকে এ যাত্রা রক্ষা করলো। লেখা দুটো ভালো লেগেছে আমার।

    ‘তাকিয়ে দেখার কিছু আছে বলেই বুট ও বুটিকের প্যাঁচানো রিবননাচ ভালো লেগে যায়।’

    আহ!

    উত্তরমুছুন