গোপাল লাহিড়ী-এর কবিতা
শেষবেলা
আদরের, উষ্ণতার চৌকাঠ পেরিয়ে
গোলাপ সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসি,
ভালবাসা, মুক্তির স্বপ্ন দেখানো,
গ্রীবা ছুঁয়ে কঠিন প্রতিজ্ঞা,
অসাধ্য নয়, কিছুই এখন.
সময় সময় রক্তপ্রবাহ আসলে
মাংসপেশী ছোঁয়াছুঁই নয়,
শরীর নিয়ে উদ্ভিন্ন,
ঠোঁটের লবণ স্বাদ,
জলেরই সূচনা।
ঝড়ো হাওয়ায় ঝুঁকে পড়ছে গাছের ডালপালা
মিশরীয় জারে, জলজ কণাগুলি,
গড়িয়ে নেমে আসা
মিলেমিশে থাকার কথা,
দুশ্চিন্তা কেবলি তাদের.
জানলার ওপাশে তখন কাঁপে বসন্তের নতুন পাতা
এতকাল অক্ষত ভালবাসা-
ঠান্ডা কাচের শার্সি থাকুক বন্ধ.
আলো অন্ধকারে আমার দুজন মানুষ-
একধরনের মায়াজাল বুনতে থাকে শেষবেলা.
লুপ্ত গৌরব
অপেক্ষায় থেকেছি যদি সুযোগ পেয়ে যাই কখনো
কোনও লুপ্ত গৌরব প্রত্যক্ষ করার অবকাশ।
প্রতিটি নামের পাশে লেখা আছে স্বাধীনতা.
ক্ষতচিহ্নে ভরে গিয়েছে চারপাশ।
পায়ের নিচে আগুনে পোড়া ধ্বংসস্তুপ,
হাতে হাতে মুছে যায় কলঙ্কের ইতিহাস
আর একটু ভেবে দেখি, আর একটু সময় চাই
জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু
অনেক রকম সন্দেহ সৃষ্টি করে কোলাহল,
ক্রমশ রক্তাক্ত হচ্ছে আকাশ.
আগুন জ্বালিয়ে যায় শেষরাতের তারা.
এ এক অদ্ভূত খেলা চলতে থাকে.
চরম মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুত হওয়া
ছিন্নভিন্ন লাশ ও রক্তপাতের ধারা
প্লাবিত করে নিজস্ব প্রতিরোধ।
আমাদের সংকল্প , আমাদের শক্ত চোয়াল
শুনিয়েছে অবশেষে বিজয় সঙ্গীত
বেঁচে থাকার, অবগাহনের সূচিপথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন