চিরকূটে
 কাজরী তিথি জামান
 
 ভালোবাসা’ জমা রেখেছি 
 ছোট্ট এক চিরকূটে ৷
 ... 
এখনও জমা আছে আলপনা,
 আমপাতা,পেতলের কলস—
 মেঘ-বৃষ্টি-জল ৷
 সানাই কেঁদেছিল জানি;
 কেঁদেছিল ‘লাল বেনারসী’….
 চন্দন মুছে যাবে জেনে
 আমার চোখেই জল আসেনি ৷
 ঐ জলটুকু সেই চিরকূটে;
 মেঘ’ডেকেছিল গভীর রাতে
 যতনে আমার গোপন কথা’
 বিনি সূতোয় গাঁথা আছে
 ছোট্ট এক চিরকূটে ৷
 জলের বুকে জল যেমন
 রঙে রঙে যায় মিশে,
 তেমনই আমার ‘ভালোবাসা’
 তুমি হয়ে সেই চিরকূটে’
 রইলে ‘জমা’
 ‘খরচ’ আমি!বৈধ নিলাম
 বাকী স্রোতের চেনা হাটে ৷
 ভা-লো-বা-সি….লিখেছিলে’
 বিদায় বেলার চিরকূটে’
  #
অন্ধচোখে ভালো আছি দয়াল' 
মনের আলোতে... 
চোখে আমার সোনার পিদিম 
তাতে রূপোর সলতে'..... 
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'........ 
... 
#
খেলাও তুমি'..খেলি আমি 
এই ধুলোমাটিতে 
ঘুড়ি নাটাই তোমার হাতে' 
আমি বাঁধা সুতোতে 
দয়ার সাগর,দয়ার সাগর...
আমার গিঁটের ফিতে' 
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'........ 
#
দিয়েছো যে পরাণে সুর' 
তোমার কথায় কয়... 
তুমি বিনা এ ধরাতে 
কে পারাণির ঠাঁই...? 
দয়ার সাগর,দয়ার সাগর...
আমার পারাণির বৈঠে' 
ও দয়ালরে.......ও..ও....দয়াল'..... 
#
মনের ঘরে মানুষ এলো-- 
মানুষ'আমার দু'আনা ; 
বাকী যে রয় চৌদ্দ আনা, 
ষোল পোরে না;মানুষ..... 
ষোল পোরে না.......... 
... 
#
কাঁচা মাটি মানুষের ঘর' 
তাতে রয় 'আঠারো অন্তর' 
ফুটছে গোলাপ দিবানিশি; 
ছুটছে ভ্রমর কালোশশী--- 
একে একে দু'জনেতে 
পুরলো দু'আনা...... 
বাকী সেই চৌদ্দ আনা' 
ষোল পোরে না;মানুষ..... 
#
মানুষের এই ঘর-বসতি 
বসত নামের' বসুমতী' 
হিসেবের নিত্তি ঘোরে' 
'নাগর দোলা' চায় যে কারে? 
পক্ষে পক্ষে দুই কালে 
পনের দিন হাঁটে-চলে... 
বাকী সবই এক আনাতে 
ষোল পোরে না;মানুষ..... 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন