অভিদেব মুখোপাধ্যায়
স্বর্গ
প্রেমের কবিতা আর পোষায় না। কাউকে যদি চুমু খেতাম তা’লে অন্য। এখন ঘরবন্দি থাকি। দেওয়ালভর্তি খিস্তি লিখেছিঃ চারঅক্ষর পাঁচঅক্ষর ষোলোঅক্ষরের। হ্যাঁ মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দেখি। দেখি সেই আশ্চর্য পথ যার শেষে একটা কাফে। ভেতরে হলুদ আলো। সেই আলোয় সব্বাইকে জন্ডিসরোগী মনে হয়। ঐ টেবিলে আমি নিজেকে দেখতে পাই- যেখানে সাজানো ছিল তাস, সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল অঁরিকে জোচ্চুরি করছিল ব’লে, ধার করা হয়েছিল তিনবোতল মদ, ক্রমাগত হাসি হোহোহোহো ক’রে, যেখানে হিঙের গন্ধ ভেসে আসছিল আর সেই গন্ধে বারবার চেপে ধরছিলাম নাক, আর ততোবার বাঁ হাতে আমার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিল কেউ...
আশ্চর্য সাইকেল চড়ে
আশ্চর্য সাইকেল চড়ে বনভূমে গেছি। টনটন করেছে ব্লাডার- চেপে রাখা পেচ্ছাব স্নায়ুকে দিয়েছে নিষেধ- টাটিয়ে উঠেছে খুলি। দেখেছি মুখের সারি- তারা কী অনুপম খিঁচিয়ে রয়েছে আমায়। ভৌতিক লেগেছে স্বর- যেভাবে অন্ধকারে বেজে ওঠে তীক্ষ্ণতর সাইকেল বেল। নিজের ভেতর যদি ভ্যাকুয়াম কল্পনা করে নেওয়া যায় তবে যে চিৎকার উঠে আসে অনেক ফ্যাদম নিচ থেকে- তার চেয়ে মহান সংগীত আর ধারণায় নেই। - আশ্চর্য সাইকেলে চড়ে গেছি বনভূমে, আলো আঁধার, বৃক্ষ, পাতার খসখস- (এদের কী মানে আছে, এক সাংঘাতিক মানে, ওহহ) -অথচ কিছুই বুঝিনি। টনটন করছে ব্লাডার- চেপে রাখা অনেকক্ষণ- হুহু করে বয়ে গ্যালো প্রান্তবর্তী বাতাস। -এদিকে ইউরিনাল কোনো...
আবার ঘুম পেয়ে গ্যালো। এইমাত্র শেষ হয়েছে ‘এইট অ্যান্ড হাফ’, অব্যর্থ ঘুম পেয়ে যায়। কুঁকড়ে মুকড়ে আমি শুই- শোবার সময় থাই দিয়ে ঘষে ঘষে মাস্টার্বেট করি। নিজেকে বলিঃ ‘এই শেষবার, আর ককখনো খেঁচব না’। আস্তে আস্তে খসে যায় জল- নিহত ক্রৌঞ্চের মতো পড়ে থাকি বিছানায়। আবার জেগে উঠে ছিঁড়ব কাগজ, কলেজের ফর্ম (মুছে নেব হাত) আর হাতড়ে হাতড়ে যাব ডাস্টবিনের দিকে। - কোন অনশ্বর স্বর্গে তুমি রয়েছ তোমার কাছে যেতে পারছি না যে... বহুদিন দেখিনি তোমায়।।
প্রথমে যেতে হবে কাঁকড়াবিছের কাছে। সে আমাকে দেখিয়ে দেবে কোথায় পাওয়া যায় গুপ্তঘাতকের খোঁজ। তারপর খুঁজতে হবে আর্তনাদ। তার জন্যে চলে যাব কোকিলের প্রতি। হ্যাঁ ঐ কোকিল যা ডাকে তা আর্তনাদ ছাড়া কিছু না। সবচে’ বিভীষিকাময় আর্তনাদ কারণ তা মধুর শোনায়। - আমি দেখেছি ম্যানহোল খুলে বেরিয়ে আসছে দেবদূত, তার সর্বাঙ্গে ঝরছে ডালিমের রস। আমি দেখেছি ছুঁচের মধ্যে দিয়ে উটেরা আর সহজে গলে যায় না। আমি দেখেছি অক্টোপাস পেয়ে গ্যাছে তার কাঙ্ক্ষিত ডানা কিন্তু সে ট্রপোস্ফিয়ার দিয়ে উড়তে চাইছে না। - ইদানীং স্যারিয়াল পদ্য লেখা আমি ছেড়ে দিয়েছি যেহেতু ডাক্তার বলেছেন আমার টিবি হয়েছে। (এলাইনটা কোথথেকে টোকা রে, যাহ্ ভুলে গেছি) - ভালো থেকো। আমেন।
যৌনতা সম্বন্ধে আমি কিছু বলব না। ইউরো কাপ সম্বন্ধেও না। আমি চাই সেই অলৌকিক শব্দদের যারা আমাকে একসময় চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছিল- সেই কবর খুঁড়ে আমি উঠে এসেছিলাম। আজকাল সারল্যের বড়ো অভাব বোধ করি। ঘুম আসবে বলে ট্রাংকুইলাইজার খেয়ে শুয়েছিল– কে? (‘এইট অ্যান্ড হাফ’; লুইসা।) -সর্বদা চশমা পরে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। আমি ডাইরিতে লিখেছি, এখন থেকে শুধু ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতাই পড়ব। - পরপর দু’বার মাস্টারবেট করে যারপরনাই ক্লান্ত। এখন ঘুমোবো।
সাইকেলের চেন পড়ে গ্যাছে। বনভূমে কোনো সাইকেল সারানোর দোকান দেখি নি। সারাবছর এখানে বিরাজ করে আর্দ্রতা, ভূত, সবুজ পাতা, ও অন্ধকার। এখানে কোনো চিৎকার নেই, ফিসফিসের শব্দ নেই। সন্ধে নেমে এলে সব অরণ্যই কেমন ভৌতিক দ্যাখায়। যা দেখছি সব স্বপ্ন অথচ কী বাস্তব লাগে! আমি নিজের গায়ের গন্ধ পাচ্ছি- নতুন কারো শরীর শুঁকছি মনে হয়। প্রাণপণ টেনে যাচ্ছি চেন ধরে, কে দাঁড়িয়ে দেখছে। আশ্চর্য হাওয়া বয়ে যাচ্ছে বনভূমে। আমার পেছনে যে দাঁড়িয়ে আছে- ভলকে ভলকে তাকে ঢেকে দিচ্ছে অন্ধকার। - একসময় ঘুমের মধ্যে আমি অসাড়ে পেচ্ছাব করে দিই...
স্বর্গ
প্রেমের কবিতা আর পোষায় না। কাউকে যদি চুমু খেতাম তা’লে অন্য। এখন ঘরবন্দি থাকি। দেওয়ালভর্তি খিস্তি লিখেছিঃ চারঅক্ষর পাঁচঅক্ষর ষোলোঅক্ষরের। হ্যাঁ মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দেখি। দেখি সেই আশ্চর্য পথ যার শেষে একটা কাফে। ভেতরে হলুদ আলো। সেই আলোয় সব্বাইকে জন্ডিসরোগী মনে হয়। ঐ টেবিলে আমি নিজেকে দেখতে পাই- যেখানে সাজানো ছিল তাস, সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল অঁরিকে জোচ্চুরি করছিল ব’লে, ধার করা হয়েছিল তিনবোতল মদ, ক্রমাগত হাসি হোহোহোহো ক’রে, যেখানে হিঙের গন্ধ ভেসে আসছিল আর সেই গন্ধে বারবার চেপে ধরছিলাম নাক, আর ততোবার বাঁ হাতে আমার পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিল কেউ...
আশ্চর্য সাইকেল চড়ে
আশ্চর্য সাইকেল চড়ে বনভূমে গেছি। টনটন করেছে ব্লাডার- চেপে রাখা পেচ্ছাব স্নায়ুকে দিয়েছে নিষেধ- টাটিয়ে উঠেছে খুলি। দেখেছি মুখের সারি- তারা কী অনুপম খিঁচিয়ে রয়েছে আমায়। ভৌতিক লেগেছে স্বর- যেভাবে অন্ধকারে বেজে ওঠে তীক্ষ্ণতর সাইকেল বেল। নিজের ভেতর যদি ভ্যাকুয়াম কল্পনা করে নেওয়া যায় তবে যে চিৎকার উঠে আসে অনেক ফ্যাদম নিচ থেকে- তার চেয়ে মহান সংগীত আর ধারণায় নেই। - আশ্চর্য সাইকেলে চড়ে গেছি বনভূমে, আলো আঁধার, বৃক্ষ, পাতার খসখস- (এদের কী মানে আছে, এক সাংঘাতিক মানে, ওহহ) -অথচ কিছুই বুঝিনি। টনটন করছে ব্লাডার- চেপে রাখা অনেকক্ষণ- হুহু করে বয়ে গ্যালো প্রান্তবর্তী বাতাস। -এদিকে ইউরিনাল কোনো...
আবার ঘুম পেয়ে গ্যালো। এইমাত্র শেষ হয়েছে ‘এইট অ্যান্ড হাফ’, অব্যর্থ ঘুম পেয়ে যায়। কুঁকড়ে মুকড়ে আমি শুই- শোবার সময় থাই দিয়ে ঘষে ঘষে মাস্টার্বেট করি। নিজেকে বলিঃ ‘এই শেষবার, আর ককখনো খেঁচব না’। আস্তে আস্তে খসে যায় জল- নিহত ক্রৌঞ্চের মতো পড়ে থাকি বিছানায়। আবার জেগে উঠে ছিঁড়ব কাগজ, কলেজের ফর্ম (মুছে নেব হাত) আর হাতড়ে হাতড়ে যাব ডাস্টবিনের দিকে। - কোন অনশ্বর স্বর্গে তুমি রয়েছ তোমার কাছে যেতে পারছি না যে... বহুদিন দেখিনি তোমায়।।
প্রথমে যেতে হবে কাঁকড়াবিছের কাছে। সে আমাকে দেখিয়ে দেবে কোথায় পাওয়া যায় গুপ্তঘাতকের খোঁজ। তারপর খুঁজতে হবে আর্তনাদ। তার জন্যে চলে যাব কোকিলের প্রতি। হ্যাঁ ঐ কোকিল যা ডাকে তা আর্তনাদ ছাড়া কিছু না। সবচে’ বিভীষিকাময় আর্তনাদ কারণ তা মধুর শোনায়। - আমি দেখেছি ম্যানহোল খুলে বেরিয়ে আসছে দেবদূত, তার সর্বাঙ্গে ঝরছে ডালিমের রস। আমি দেখেছি ছুঁচের মধ্যে দিয়ে উটেরা আর সহজে গলে যায় না। আমি দেখেছি অক্টোপাস পেয়ে গ্যাছে তার কাঙ্ক্ষিত ডানা কিন্তু সে ট্রপোস্ফিয়ার দিয়ে উড়তে চাইছে না। - ইদানীং স্যারিয়াল পদ্য লেখা আমি ছেড়ে দিয়েছি যেহেতু ডাক্তার বলেছেন আমার টিবি হয়েছে। (এলাইনটা কোথথেকে টোকা রে, যাহ্ ভুলে গেছি) - ভালো থেকো। আমেন।
যৌনতা সম্বন্ধে আমি কিছু বলব না। ইউরো কাপ সম্বন্ধেও না। আমি চাই সেই অলৌকিক শব্দদের যারা আমাকে একসময় চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছিল- সেই কবর খুঁড়ে আমি উঠে এসেছিলাম। আজকাল সারল্যের বড়ো অভাব বোধ করি। ঘুম আসবে বলে ট্রাংকুইলাইজার খেয়ে শুয়েছিল– কে? (‘এইট অ্যান্ড হাফ’; লুইসা।) -সর্বদা চশমা পরে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। আমি ডাইরিতে লিখেছি, এখন থেকে শুধু ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতাই পড়ব। - পরপর দু’বার মাস্টারবেট করে যারপরনাই ক্লান্ত। এখন ঘুমোবো।
সাইকেলের চেন পড়ে গ্যাছে। বনভূমে কোনো সাইকেল সারানোর দোকান দেখি নি। সারাবছর এখানে বিরাজ করে আর্দ্রতা, ভূত, সবুজ পাতা, ও অন্ধকার। এখানে কোনো চিৎকার নেই, ফিসফিসের শব্দ নেই। সন্ধে নেমে এলে সব অরণ্যই কেমন ভৌতিক দ্যাখায়। যা দেখছি সব স্বপ্ন অথচ কী বাস্তব লাগে! আমি নিজের গায়ের গন্ধ পাচ্ছি- নতুন কারো শরীর শুঁকছি মনে হয়। প্রাণপণ টেনে যাচ্ছি চেন ধরে, কে দাঁড়িয়ে দেখছে। আশ্চর্য হাওয়া বয়ে যাচ্ছে বনভূমে। আমার পেছনে যে দাঁড়িয়ে আছে- ভলকে ভলকে তাকে ঢেকে দিচ্ছে অন্ধকার। - একসময় ঘুমের মধ্যে আমি অসাড়ে পেচ্ছাব করে দিই...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন