লাসভেগাসের প্লেন
প্লেনে উঠার সময় পাইলট কথা দিয়েছিল -
আলোর গতিকে হারিয়ে চোখের পলকে
আমাকে লাসভেগাসে পৌঁছে দিবে।
অথচ চোখ খুলে দেখি পাঁচ বছরের ছোট্ট আমি কাগজের
প্লেনে পায়রার সাথে পাল্লা দিচ্ছি রায়পুর গ্রামের চাতালে;
পাশে দাদু দুহাতে আমার শৈশব নিয়ে সাপলুডু খেলছে,
খেলতে খেলতে সমস্ত শৈশব চলে গেল তার চোখে,
কিছু বোঝার আগেই সেই চোখ বুজে গেল জন্মের মত।
প্লেনটা আর একটু ঝাঁকুনি দিতেই দেখি -
জীয়ন পুকুরের উত্তরমাঠে রাবার ঢিলা হাফ-প্যান্টটাকে
শরমদণ্ডের পোয়াইঞ্চি উপরে টেনে টেনে তুলছি বার বছরের আমি;
আর একটা পোয়াতি বউ-কথা-কও’র ডানায় উড়ে যাচ্ছে
আমারর কিশোরবেলার প্রতিটি ঘুমহীন দুপুর ।
পাশের কুট্টি খালে উদোম গায়ে নাইতে নেমেছে আমার ছোট্ট প্রেমিকা,
জলে ধুয়ে যাচ্ছে প্রেমিকার শৈশব –
যৌবনে সে কোথায় ডলারের আলোয় গা ধুইছে সেটা খুঁজতেই
মেরিলিন মনরোর মৃত্যুদৃশ্য ভেসে উঠল।
হঠাৎ শুনছি পাইলট সুন্দরী বিমানবালাকে বলছে,
ওকে নামিয়েই দাও।
ওর প্লেন কখনো লাসভেগাসে যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন