মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

কবিতা - প্রলয় মুখোপাধ্যায়

কলা
প্রলয় মুখোপাধ্যায়


দাদুরা কলা বেচতেন গণ্ডায়, ছড়ায়। আমাদের সময় ডজন বিখ্যাত হল। এখন দেখছি কলা আর যৌথ ভূমিকায় নেই। সিঙ্গেল পিস তিনটাকা। মানে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ । কেননা কলার নিজস্ব ওজন, উচ্চতা সাম্রাজ্যের মত ফুলে উঠলে যে সমস্ত ছাগল খোসা খেয়ে ঋদ্ধ হত তারা নিজেরাই আজ মোচার জন্ম দিচ্ছে। সুতরাং কলা কমলালেবুর দাবী নস্যাৎ করবে এ তো জানা কথা। এদিকে আগামী ভোরে কমলার থেঁতো বীজ থেকে নাকি নতুন কাঁঠালি চারার জন্ম হয়েছে!কমলার ডালে ঝুলন্ত মর্তমান দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। নিয়ম হয়ে উঠছে সব কিছু লম্বা আর মোটা হতে হবে। যা কিছু গোল তার মাঝখানে একটা করে কলা গজিয়ে উঠবেই। এই দন্ডসুলভ আচরণে একদিন সবকিছু পিটিয়ে লম্বা হচ্ছে। কুঁকড়ে থাকা কলা গুলো রাতারাতি ফুলে উঠছে। এখন চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র, ধূমকেতু সব এক একটা কলা। যেমন সমস্ত কলাদের মধ্যে মস্ত বড় থাকে, তার খুব মন হল আজন্ম কাল ধরে ফুলতে থাকবে। ও ফুলছে তো ফুলছে। ছোটোরা হাত তালি দিচ্ছে, মেজরা হাততালি দিচ্ছে, ছাগল গুলো খোসা খাওয়ার অপেক্ষায় ঋদ্ধ হচ্ছে। একসময় মস্তের মনে হল ওকে ফুলে ওঠার অধিকার কে দিচ্ছে? সেই প্রথম কলাটি ভয় পায়। আসলে ও বিশাল কালো অন্ধকার গর্তের মধ্যে ফুলছিল। যা আদতে টুকরো কমলার খোসা ছাড়া কিছু না।