সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সুচেতা রায়

পর্বে পর্বে আলেক্ষ্য - জুবিনের নিভৃত গৃহ

কবি পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্তের সময় সেতু অথবা জুবিন কথা

সত্তর দশকের অসামান্য এক কবি - ম্যাজিক রিয়েলিজম্‌ এর ভাবে ভাবিত ওর মনন যাত্রা আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে প্রাণসঞ্চার করেছে জুবিনময়তার। আমি জানি, জুবিন কে নিয়ে কেন লেখেন, কেউ কাউকে নিয়ে তখনি লেখে যখন প্রেমের চেয়েও বেশী কোন অন্য রহস্যময়তার সন্ধান পাওয়া যায়।
জুবিনজুবিন নামক ভাবাদর্শটি ঘিরে সম্মকভাবে জীবনের আত্মকথা - জুবিনেরচৌদিকে আবর্তিত সমস্ত গ্রহ উপগ্রহ নিয়ে সমগ্রে জীবনের 'জুবিনতা'কেই রঙের আশ্লেষে তুলে ধরেছেন তিনি। এই কবিতাগুলির কবি তাই মধ্যস্থে রয়েছেন জীবনের,রঙ্গিন বাসনায় ছুঁয়ে রয়েছেন পরবর্তী অনন্ত দিনগুলি রাতগুলি তার... অদ্ভুত মমতায় উনি প্রকাশ করেছেন চেতনা যা জীবনকে করে তোলে জুবিনময় - রঙ্গিন - নতুন - চির পরিবর্তনশীল একটা ক্যানভাসকবি বিভিন্ন ভাবে ভাব প্রকাশ করেছেন এই সমগ্রতাকে তুলে ধরতে... দেখাতে চেয়েছেন প্রতিটা রঙ - ভালো মন্দচিরাচরিত নির্বেদ প্রবাহ সমস্ত
শুধু মানুষ জুবিন বা কবি জুবিনে নয়, জুবিন একটি প্রতিতীও বটেজুবিন একটিপুনরুজ্জীবন - একটা বেঁচে থাকা কোনো প্রতিভাবান শিল্পীর গুণে মুগ্ধ হয়ে তাকে ঘিরে কবিতার জাল বোনার কথা নতুন নয়। কিন্তু নিজের উত্তরসূরী কোনো প্রতিভাবান শিল্পীর লেখায় মুগ্ধ হয়ে তাকে উৎসাহিত করার জন্য তাকে ঘিরে পুরো একটা অসাধারণ সিরিজ লেখার ঘটনা সত্যিই বিরল। এই পর্বের ভিতরে কবি ভ্রমণ করেছেন জুবিনল্যাণ্ড। অদ্ভূত সুন্দর সেই অঞ্চলে কবির ভ্রমণ কখনও স্লেজ গাড়িতে, আবার কখনও জুবিন প্রবাহে। সারাগায়ে প্রাকৃতিকগন্ধ মেখে কবি বেরিয়ে পড়েছেন।    
আপোশ করেন নি উনি, প্রয়োজনে চলে গিয়েছেনভাবনার সমান্তরাল বিস্তারে - বিভিন্ন সংকেত / অতিসংকেতের গভীর ব্যাঞ্জনায়চলে গিয়েছেন অন্য কোন মাত্রার উপান্তে, পরাবাস্তবতায়, কখনো সত্য কে অতিক্রমকরেছেন, অভিনব তার অধিবাস্তবতা  সেই ভাবকেই মূর্ত করে তুলবেন বলেফলতঃ আমরা পেয়েছি বেশ কয়েকটি অতুলনীয় চিত্রের কোলাজ - এমনি সুষমাসমৃদ্ধ যা জীবনময় - জুবিনময়
জুবিন ছাড়াও প্রতিভাসে উঠে এসেছে আবর্তিত নানা চরিত্র। কখনও বা সাথে নিয়েছেন মন্দরীকে। কবির ভাষায় মন্দরীর সংজ্ঞা  ‘সে এক রাভা বস্তির মেয়ে’ ।  সেই মেয়েই গানের সুরে ভুলিয়ে রেখেছে চারপাশ। সে প্রলেপ দিয়েছে জুবিনের ব্যথায়। আর অতি-জুবিন হয়ে সে অনায়াসে কাটিয়ে উঠেছে সব বাধা। অপূর্ব সব চিত্রের সমারোহে, মিশ্রণ ঘটেছে কবি ও জুবিনসত্তার। প্রতিভাসে উঠে এসেছে দুইযুগের দুই প্রতিভাবান শিল্পী।
 
পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত
জুবিনের নিভৃতগৃহ -১

কবি চমৎকার বাতাস ভরে নিলেন পেনড্রাইভে
পকেট ভর্তি সমকাল ঘুমিয়ে মুখর আহা জিরাফের জীবন
কফিনের পেরেক নির্বিচার ইডিওলজির স্ববিরোধিতায় ঠকাঠক ঠকাঠক
আমি রচনাকাঠামোয় বুঁদ জুবিন তারুণ্যের উপন্যাসে নতুন জার্নাল
বাঙলা কবিতায় ওরিয়েন্টালএক্সপ্রেস আসলে খেজুরের রস
আমার ফ্রেমবদ্ধ পাখিটিকে স্বপ্নচারী করো
বিষাদ-খচিত মানুষের কাছাকাছি রাখো ও জুবিন দুয়ার খুলেছি...

1 comments:

অপরাজিতা বলেছেন...

এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।