বুধবার, ১৫ মে, ২০১৩

ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন দেবদাস - মিলন চট্টোপাধ্যায়

ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন দেবদাস
মিলন চট্টোপাধ্যায়


আমার কন্যার জন্য
দেবদাস আচার্য


আমার কন্যাকে রক্ষা করো অন্ধকার থেকে, আলো দাও
আর কোন প্রার্থনা নেই
আমার কন্যা যেন স্বপ্ন দেখতে পায়
আর কোন প্রার্থনা নেই
আমার কন্যা যেন স্বপ্ন দেখতে পায়
আর কোন সান্ত্বনা নেই, আজ শুধু
শুধু তাকে যেন দেখতে পাই আলোয়, পথিক হয়ে যেতে

প্যালেটে রক্তের লাল, ক্যানভাসে দুরু দুরু কাঁপে
কন্যার হৃদপিণ্ড আমার
আমি চোখ খুলতে ভয় পাই
আমি চোখ খুলতে পারি না ...

( জলঙ্গী কবিতা উৎসব - ১৪১৯ এর স্মারকপত্র থেকে )

'আমি চোখ খুলতে ভয় পাই
আমি চোখ খুলতে পারি না ...'

  • কারণ - চোখ খুললেই তো সংবাদপত্রের পাতায় কন্যাদের শুকিয়ে কালো হয়ে যাওয়া রক্তের দাগ, টিভি'র পর্দায় সাতকাহন ধর্ষণের । চোখ খুললেই কালির ফোঁটা'র সংখ্যা গোনায় ব্যস্ত মুখের মিছিল ।
  • রাজপথ থেকে গলি, প্রাসাদ থেকে ঝোপড়ি, উচ্চবর্ণ থেকে অন্ত্যজ ~ সব একাকার ধর্ষণ মুখরতায় ।আমরা দেখি, লজ্জা পাই, ভুলে যাই আবার চিন্তাগ্রস্থ হই । মনে মনে বলি -
"আমার কন্যা যেন স্বপ্ন দেখতে পায়
আর কোন সান্ত্বনা নেই.. "
  • বিগত পাঁচদশক ধরে এভাবেই দেবদাস আচার্য মফঃস্বলী রাস্তায় ' মৃৎ-শকট ' বাহিত হয়ে দেখে চলেছেন মানুষ আর গড়ে চলেছেন ' মানুষের মূর্তি ' ।

  • দেবদাস তাঁর চারপাশে যে বীভৎসা দেখেছেন তাতে তাঁর পক্ষেই সম্ভব বাংলা কবিতার জগতে 'ভাইরাস' আবিষ্কারের ! যে ভাইরাস পত্রিকা তদানীন্তন তরুণ প্রজন্মের কাছে ছিল আত্মপ্রকাশের গরিমা-ভূমি ।

2 comments:

illutionist milan বলেছেন...

এখানে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি জলঙ্গী কবিতা উৎসব - ১৪১৯ এর স্মারকপত্র থেকে নেওয়া । শিল্পী - শাম্ব পি বিশ্বাস ।

illutionist milan বলেছেন...

সম্পাদনায় ব্যস্ত ছিলাম, শরীরও সঙ্গ দেয় নি - ফলে এই লেখাটি যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম তা হয়ে ওঠে নি । তবে কথা দিচ্ছি - এই লেখা আরো অন্যরকম করে বর্ধিত কলেবরে দেবো ।