বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

প্রতিবেদন - সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়

সাগরপারের প্রতিবেদন

আনন্দমেলা না স্বাধীনতা দিনের ভাবনা !

সীমা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়




মাম ১৮থ অগস্ট আমার ফ্রেন্ড -এর বার্থ-ডে। তুমি জাস্ট আমাকে ড্রপ করে দিতে পারো তবে তোমাকেও যেতে বলেছে। সব ফ্রেন্ডস-এর মাম-দের ইনভাইট করেছে। -কবে? -১৮থ. অগস্ট..এ

-একদম না। সেদিন ইন্ডিয়ান আনন্দমেলা আছে। তুমি তোমার ফ্রেন্ড-কে বলে দেবে সেদিন তুমি এ্যটেন্ড করতে পারবে না। ওখে এ...?

-বাট হোয়াই মাম ? হোয়াট ইজ আনন্দমেলা?

-আর এক...টিও কথা না। আমি কোন- ও কথা শুনতে চাই না। সেদিন বিরাট ফেয়ার আছে। তুমি আরো বেশী এনজয় করতে পারবে সেখানে।

-বাট মাম, সব ফ্রেন্ড-রা আসবে আমি ছাড়া।

নদীর দুই স্রোতের মধ্যে যেটা মুখ্য স্রোত সেটা কখনও বয় চরের উত্তর পূর্ব প্রান্তে কখনও বা চরের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে। এ নিয়ে যে লেখালিখি বা তর্ক করা হয় তা মূলতঃ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মুখ্য স্রোতের মধ্য রেখার ভাগে পড়ে বলে মনে হয়।

যাই হোক, ৮ বছরের ক্রিশ আর কি করে...পরের দিন স্কুলে গিয়ে বার্থডে বন্ধুকে জানিয়ে দেয় ১৮থ আসতে পারবে না কারণ তার মাম-এর আগে থেকে স্কেডিউল করা আছে। তারা কোনও ইমপর্ট্যান্ড ফেয়ার এটেন্ড করতে যাচ্ছে আর সেটা খুব দরকারি, তাদের যেতেই হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল আরেক খুদে বাঙ্গালী ফ্রেন্ড অর্ক। সে বলে উঠল... -আমি জানি। সেদিন মাম আর ড্যাড দের ইন্ডিয়ান ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে। কিন্তু আমার মামি ড্যাডি যাবে না সেখানে, কারণ বড্ড বোরিং নাকি সেই ফেয়ার। লটস অফ সাউন্ড। গ্লুমি এনভাইরণমেন্ট। -সো হোয়াট... দেয়ার ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে। আমরা সেখানে গিয়ে কি করব! মাম তো আমাকে তা বলে নি, বলেছে আনন্দমেলা আছে।

খুদেরা আস্তে আস্তে সব ভু্লে এবার খেলতে লেগে গেল।

১৮থ আগস্ট শনিবার কাজেই ক্রিশ-রা একটু দেরি করে সকালে উঠল। তারপর মা বাবার সাথে ক্রিশও রেডি হয়ে নিল। ক্রিশ-এর মা বাবা আসলে মারাঠি কিন্তু কলকাতার কলেজে পড়ার জন্য বাংলা বলতে পারে। ওরা নাগপুরের বাসিন্দা। এখন আছে টেক্সাসের ডালাস সিটি তে।

ঠিক বিকেল ৪টেয় ওরা স্টার্ট করল আনন্দমেলার উদ্দেশ্যে। মা পড়েছে কমলা শাড়ি আর সবুজ ব্লাউজ আর বাবা সাদা শর্টস আর কমলা টি-শার্ট। ক্রিশ-এর পুরো সাদা জামা আর প্যান্ট। ধুম ধারাক্কা গান শুনতে শুনতে ওরা পৌঁছে গেল বিশাল খোলামেলা মাঠ আনন্দমেলায়।

বিকেল ৫-৩০টা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলবে এই মেলা। সে এক এলাহি কান্ড কারখানা। সত্যি চোখ ধাঁধানো মেলা। ক্রিশ তো একেবারে আহ্লাদে টইটুম্বুর। (ক্যারাউজ্যাল) নাগরদোলা থেকে শুরু করে হরেক রকমের খেলা। কত রকমের খাবার দাবার আছে সব সুন্দর সুন্দর বুথ -এ সাজানো, ড্যান্স-ড্রামার জন্য স্টেজ।

মাম ড্যাড-এর সাথে হাত ধরে ঘুরতে লাগল। নানা রকম ফায়ার ওয়ার্ক্স এর কারসাজি সারা আকাশ জুড়ে। খুব ভাল লাগছিল ক্রিশ-এর, মনে মনে ভাবল ওর আর সব ফ্রেন্ডস-রা আসলে বেশ ভাল হোত। হঠাত মাম ড্যাডকে দাঁড়াতে দেখে ক্রিশ ও দাঁড়িয়ে পড়ল... প্যারেড করা ব্যান্ডপার্টির সাথে দেখল একটা কালো গাড়ির(সিটি মেয়র) দুদিকের জানলায় একদিকে আমেরিকার ফ্ল্যাগ আর আরেকদিকে আরেকটা ফ্ল্যাগ-এ অরেঞ্জ আর সবুজ বর্ডারের মাঝখানে সাদা বর্ডার। তার ঠিক সেন্টারে একটা হুইল আছে।

মাম কে জিগেস করতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল, ও ছিল ওর ড্যাডির কাঁধে, তাই ড্যাডিকেই সাহস করে জিগেস করল...অন্য ফ্ল্যাগটা কি, ড্যাডি? আমার হুইল-টা খুব ভাল লেগেছে, জানো তো, ড্যাডি। -ওটা ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাগ।

আরো অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু মাম -এর ভয়ে চুপ করে গেল। বাইরে বেশি কথা বলা মাম একদম পছন্দ করে না। ফ্ল্যাগ-টাকে যে খুব ভালবেসে ফেলেছে ক্রিশ।

প্যারেড চলে যাবার পর আবার সবাই হৈ হুল্লোড় করতে লাগল। ওরা রাত সাড়ে ১২টায় বাড়ি ফিরে এল। ক্রিশের একদম বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করছিল না। কি জমজমাট মেলা।

রবিবার ব্রেকফাস্ট খেয়ে মামি আর ড্যাডির সাথে ইন্ডিয়ান চ্যানেল-এ জি টিভি দেখতে দেখতে খুব এক্সাইটেড হয়ে উঠল ক্রিশ। জিগেস -ই করে ফেলল... -মামি! আমি জানি ১৮থ ছিল ইন্ডিয়ার ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে। অর্ক বলেছে আমাকে।

তোমরা কেন বললে ইন্ডিয়ান আনন্দমেলা। আর জি টিভি কেন বলছে ১৫থ ইন্ডিয়ান ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে? অ্যাম কনফিউজড মাম!

ড্যাডি আর মামি একসাথে বলে উঠল। -তোমাআ...কে জানতে হবে না, এতো। তুমি এই আমেরিকায় জন্মেছো আর ৪র্থ জুলাই এই আমেরিকার ইন্ডেপেন্ডেন্স ডে, এটাই মনে রেখো সব সময়। এমনকি আমরাও এই দেশের সিটিজেন এখন। আন্ডারস্টান্ড!

- ও তাই অর্ক-এর মামি ড্যাডিরা যায় নি আনন্দমেলায়। তারা আমেরিকান্স। তাহলে আমরা কেন গেলাম ফ্রেন্ড-এর বার্থডে-তে না গিয়ে।

-উফস! বড্ড বাজে প্রশ্ন করো আজকাল। কারণ জানি না। আমরা আনন্দমেলায় গেছিলাম, তুমি বেশি এনজয় করেছো, তাই না? যাও তোমার রুমে চলে যাও। ডিস্টার্ব কোরো না।

অন্নদাশঙ্কর রায়ের এই জনপ্রিয় ছড়াটা অনেকটা এইরকম হয়ে গেল না?
তেলের শিশি ভাঙ্গল বলে খুকুর পরে রাগ করো
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো
তার বেলা ?

এই আনন্দমেলা আর স্বাধীনতা দিবসের কুইজ-টা লেগেই থাকে এখন। মা বাবার সময় থাকে না, না, নিজেরাই এড়িয়ে যায় খুদে-দের কাছ থেকে এই 'ইন্ডিয়ান ইনডেপেন্ডেন্স' দিনটাকে বোঝানোর হাত থেকে।




তবে দুই যুগ আগে আমি যখন প্রথম এসেছিলাম লুইজিয়ানায়, তখন ১৫ই আগস্ট যে কখন আসত আর কখন চলে যেত জানতেও পারতাম না। তখন আমি আমার সমস্ত ডানা মেলে খুঁজছিলাম আমার ওড়ার আকাশ; আজ আমি ডানা গুটিয়ে বসেছি আমার সাজানো আস্তানায়।

অ-বাঙ্গালীরা অবশ্য একটা ফ্ল্যাগ লাগাত ওদের তৈরী করা বেদিক সোসাইটি-তে। বাঙালি? না না। বাঙ্গালীরা ওখানে যাবে কেন? যে কয়জন হাতে গুণে বাঙ্গালীর বাস, তারা তো অন্য কাজ-এ ব্যস্ত, সময় নষ্ট করার পক্ষপাতি তারা হবে কেন?

কি মুশকিল! আরে, আমিও তো বাঙ্গালী ...কাজেই আমিও যেতাম না। একবার গেছিলাম। কারণ টা অবশ্য-ই নিজেদের পারশোনাল প্রফিট-এর ব্যাপারে। আমার বাপের সরি দাদাদের বাড়ির যে সাইড বিজনেস ইন্ডিয়ান স্টোর! -তার প্রচার করা। খাবারটা গেছিল আমাদের দোকান থেকে। কাজেই আমরা নামক বাঙ্গালীরা সশরীরে হাজির।

জীবনের একটা বড় অংশই তো জীবিকা। জীবিকার অনুরোধে আজেবাজে কাজ না করে উপায় কী? তাই না?

জন গন মন অধি......”- হচ্ছে! হোক না...এদিকে তো খাবার লাইন হয়ে গেছে সেখানে। প্রথমে না দাঁড়ালে তো ঠান্ডা খাবার খেতে হবে, বা শেষমেশ তলানি জুটবে, কাজেই লাইন -এ দাঁড়িয়েই সবাই “জন গণ থেকে বন্দেমাতারম...” গাইতে গাইতে খাবার নিচ্ছে।

ওদিকে দারুণ দেশভক্ত কয়েকজন গায়ে সাদা পাজামা পাঞ্জাবী আর খালি পায়ে ফ্ল্যাগ উড়িয়ে সব কটা দেশাত্মবোধক গান গেয়ে চলেছে, খুদেরা পিসজা খেয়ে লুকোচুরি খেলে চলেছে তাদের চারপাশে।

আহা! এই অভিবাসী দেশে তাও তো আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে উদ্ধার করে দিচ্ছি। এরকমটি তো দেখি নি দেশে থাকতে। দেশের স্কুলে থাকতে যাও বা গলার শিড় ফুলিয়ে একটু সবার সাথে গলা মেলাতাম, জব্বলপুরে গিয়ে সেটাও শিকেয় উঠিয়ে দিযেছিলাম...কলেজ বন্ধ থাকত। বাড়িতে ভাত মাছ খেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা। ব্যাস! ওই পর্যন্ত। কাজেই এই অভিবাসীদেশে আর এটা নতুন কি?

তাও নিউ ইয়র্ক-এ বেশ সাজানো গোজানো গাড়িতে করে দেশ থেকে হিন্দী সিনেমা আর্টিস্টদের নিয়ে প্যারেড হয় আর মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরে। স্বাধীনতা দিবস না বলিউড বিগ ম্যান দিবস, বোঝা মুশকিল। আমি খুব একটা টি ভি এডিক্টেড নই, সেই আমিও সাত তাড়াতাড়ি বসে পরি টি ভি-এর সামনে...না না ফ্ল্যাগ ওঠানো দেখব বলে না। ~ আহা! সেই সব ভারত থেকে আসা জ্যান্ত দেবতাদের যাদের টি ভি-র পর্দায় দেখেই চোখ ছানাবড়া করি।

টিভি টা খুলে তাও তো দেখে সবাই। আর আমি? ধ্যুস! বাঙ্গালী তো। ঘরে বসে খালি বড় বড় বাত মারি। আর সবার খুঁত খুঁজে বেড়াই। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের কথায়ঃ” এই দুনিয়ায় আমি-ই সচ্চা আর সব ঝুটা মাল।”

কই আমরা বাঙ্গালিরা তো কিছু করে দেখাই না? এক বাঙ্গালীদের উৎসবগুলো ছাড়া? আর সেখানেই বা কজন অ-বাঙ্গালী থাকে? অ-বাঙ্গালীদের সাথে মিশবে তবে তো। তারা তো অ-বাঙ্গালী । কই আর তো কেউ বলে না যে, অ-গুজরাতি বা অ-মাদ্রাজী...যাই হোক। আমার না সবতাতেই বাড়াবাড়ি ব্যাপার, এই জন্যেই আমার আজ পর্যন্ত কিছুই হল না। কাজেই আমরা বাঙ্গালীরা তখন হয় আসন্ন পূজার রিহার্সাল বা কারুর বাড়ির পার্টিতে বসে আঁতেল গল্প করছি। মানুষের জীবনে একটা সময় আসে যখন বিত্তের চেয়ে সময়ের মূল্য বেশী।

আমরা খালি দল গড়ি আর দল ভাঙ্গি। ওই যে আছে না, হারাধনের দশটি ছেলে এদিক ওদিক করে একটিতে ঠেকল, ঠিক সেই অবস্থা এই 'আমরা' নামক বাঙ্গালী দলদের। তাই আমি বাবা কোন দলেই আমার নাম লেখাই নি, হাজার ডাকাডাকিতেও এক্কেবারে পিঠে কুলো আর কানে তূলো দিয়ে থাকি। সুস্থ শরীর-কে অসুস্থ করার কি কোন মানে আছে?

দেশের স্বাধীণতাকে স্মরণ করতে গেলে 'স্বরাজ', 'স্বরাজ' বলে চেঁচালে চলবে না-কি? দেশের আজকালকার উঠতি ছেলেমেয়েরা কি বলতে পারবে- কারা ছিলেন শহীদ খুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশ, ননীবালাদেবী? এখানকার ছেলেমেয়েদের কথা না হয় বাদ-ই দিলাম।

এখানে খুদে-দের গল্পচ্ছলে পরিষ্কার করে বোঝালেই তো হয় ভারতের স্বাধী্নতা দিবসের গল্প। তবেই তো ওরা জানবে, ওরা ভালবাসবে মামি ড্যাডির দেশ ভারতবর্ষ-কে।

এখন যারা নতুন প্রজন্মেরা এসেছে তারা কিন্তু অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, হাতের কাছে ইচ্ছে থাকলেই করতে পারছে, তাহলে তারা পিছিয়ে কেন? এক একটা বড় শহর তো আর আমেরিকানদের একপেশে নয়, সেখানে তো ভারতীয়, চাইনীজ, ভিয়েটনামীজ, জাপানীজদের মার মার কাট কাট, ঠিক যেমন দেশের মুখার্জ্জী পাড়া, বোস পাড়া সেইরকম। আমার তো এক এক সময় মনে হয়, আমরা ভারতের -ই কোন যায়গায় থাকি, অবশ্য-ই আমার এই মাথা মোটা বুদ্ধিতে।

কাজেই বর্তমান ইমিগ্রান্ট-রা যদি চেষ্টা করে, খুদেদের কিন্তু দেশপ্রেমী গড়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। সবাই বলবে খালি মুখে মারিতং জগতং...

আরে বাব্বা! তাই তো স্পিকটি নট হয়ে আছি। কে বাবা কেঁচো খুড়তে সাপ বার করবে?

তবে এটাও ঠিক, জীবন যদি বিচিত্র না হয় তা হলে সাহিত্যও বিচিত্র হতে পারে না। আর আমি তো সত্যি সাহিত্যের কী-ই বা বুঝি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই তো লিখেছেন, “এরে ভিখারী সাজায়ে কী রঙ্গ তুমি করিলে।”

আমার ও বিশ্বাস ছিল আমিও লিখতে পারব একখানি কি দুখানি রম্যক্লাসিক, যদি অখন্ড মনোযোগ দি আর বিশ্বের জ্ঞানের ভান্ডারে একটু আধটু উঁকিঝুঁকি মারি। অন্নদাশঙ্কর রায়ের মতন আমারও একটা Tryst with destiny আছে, আমার নিজস্ব স্বাধীনতা থাকবে আমার লেখায়।

দেখুন প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ, সব কথা সকলের নয়। আমি যা বলছি, হয়তো সেটা আমারই কথা। সেটাকে এই অভিবাসী দেশে থাকা সবার কথা বলে বুঝতে গেলেই কিন্তু ভুল বুঝবে্ন। আমাকে গাল দিয়ে বসবেন। একের কথার উপর আরেক মানে চাপিয়েই পৃথিবীতে কিন্তু মারামারি খুনোখুনি হয়।

এবার আমার নিজের কথাটা স্পষ্ট করেই না-হয় আপনাদের বলি। রূপক দিয়েই বলতে ভাল লাগে, নইলে এ-সব কথার রূপ চলে যায়– কথাগুলো লজ্জাবতী লতার মতন করে লজ্জিত হয়ে ওঠে। দেশের সঙ্গে আমার সম্বন্ধ নাড়ির ভালোবাসারই, কিন্তু সে যেন “ঘড়ায়-তোলা জল– প্রতিদিন তুলব, প্রতিদিন ব্যবহার করব।”

1 comments:

Soumitra Chakraborty বলেছেন...

একেবারেই সময়োচিত পোস্টমর্টেম। দক্ষতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সমাজের উদাসীন বিকৃত মানসিকতার জ্যান্ত প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন সীমা। তাঁর গদ্য রচনার সঙ্গে ইতিপূর্বে পরিচয় ছিলনা। মনে হচ্ছে অনেক মূল্যবান চিন্তা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তবে বেটার লেট দ্যান নেভার।
সত্যিকথাটা হল আমরা জ্ঞানপাপীর দল। জানি সব, বুঝি সব, কিন্তু সময়ে নিজেদের স্বার্থের বা কুঁড়েমির খোলস ছেড়ে বেরোতে পারিনা। সেটা এদেশেই হোক কিম্বা প্রবাসে।
শুভেচ্ছা সীমাকে এবং ধন্যবাদ এরকম চমৎকার চিন্তার খোরাক দেবার জন্য।