শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

কবিতা - ইলিয়াস কমল

পরিযায়ী কবিতা
ইলিয়াস কমল


০১.

তোমার বাগান জুরে কেবল হরিণ শৈশবের গল্প লেখা; সময় আর অসময়ে কে তোমাকে লিখে দেয় এইসব ইতিহাস? সে কি জানে না, হাওয়াও মাঝেমাঝে হারিয়ে যায় নিজেরই ভূমিজ পৃথিবীতে-

সে এসেছিলো সন্ধ্যা; এসে আকাশের নাম দিয়ে গেছে ময়ূর- আর তাই প্রতিসন্ধ্যায় বৃষ্টির মতো অন্ধকার বাসা বাধে ভুলে যাওয়া ঠিকানার ওঠানে।

প্রতিবেশী বাতাসের স্কোরবোর্ডে কেবল শূন্যের পর শূণ্য বসিয়ে যাচ্ছে সময়, ভুলে যাচ্ছে অসময়েও সময় থাকে, তার কোনও নাম থাকে না।

­

০২.

আর বেলা মাছের ইতিহাস পড়াতেন জিওগ্রাফি স্যার, লাল টুকটুকে বউ মাছগুলোর গল্প বলতেন তিনি; সেবার আমাদের স্কুলে চাঁদ বিষয়ক একটা লাইব্রেরি চালু হয়েছিলো। সেখান প্রতি পুর্ণিমায় আমরা চাঁদের গর্ভবতি রূপ দেখতাম। বালিকারা লজ্জা পেয়েছিলো প্রতিবারই।



০৩.

কবে মৃত্যুর পাহাড় বেয়ে চূড়ায় উঠবে রক্তিম জবা ফুল
তার শরীরে কি আজও বাতাসের গন্ধ মেখে বসে আছে
       রাতের কুসুম?
ঈশ্বরের বেগুনি ঠুঁটে চুমু খাওয়ার বদলে সে তাই বসে আছে
আর এক পৃথিবীর যৌন তৃষ্ণা মেটাতে
কারণ, ছুটি পেলেই পালিয়ে যাবে ঘাস ফড়িং।



০৪.

হাতের কাছে গোলাপী ঘড়ি সময়ের নাম ভুলে জিকির তুলে
এই পথের পথিকের হাতে ছিলো ডানাভাঙা ঘুড়ির চিত্রনাট্য

আপনার হাতে কি ঘুড়ি উড়ানোর সময় হবে?
এই প্রশ্ন তাকেও করেছিলো পাশের বাড়ির ব্যাঙ
রোজকার গল্পে যে কিনা একটি হাতিশালের মালিক
তবুও অন্ধ হরিণের ডানার কথা কেউ কেউ
মনে করে থাকতে পারে

আমি আসলে তেমন একটা রাজপুত্রের
                  দিঘী’র কথা বলতে চেয়েছিলাম
যে কিনা রাত আর দিনের পার্থক্য বুঝে।